মাঝ আগস্টেই মোদির রদবদল
দেবারুণ রায়: দিল্লি, ২৮ জুলাই– আগামী মাসের মাঝামাঝি নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করতে চলেছেন৷ সংসদের বর্তমান অধিবেশন শেষ হচ্ছে ১৪ আগস্ট৷ তারপরই প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিপরিষদে ১২ জনের মতো মন্ত্রী নেবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দু’টি বিষয়ের ওপর নজর দেবেন৷ প্রথমত, সব রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব যেন ঠিকভাবে হয় মন্ত্রিসভায় এবং দ্বিতীয়ত, বিশেষ গুণ ও প্রতিভা যেন স্বীকৃতি পায়৷ এখন মোদির মন্ত্রিপরিষদে মোট ৪৪ জন সদস্য আছেন৷ এর মধ্যে ২২ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ২২ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী৷ যেসব নতুন মুখকে মোদি মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই দিতে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে শোনা যাচ্ছে হাজারিবাগের সাংসদ জয়ম্ত সিংহর নাম৷ ইনি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশোবম্ত সিংহের পুত্র৷ নেতাদের ছেলেমেয়েদের মন্ত্রী না করার ব্যাপারে একটা প্রাথমিক সিদ্ধাম্ত নিয়েছিলেন মোদি৷ এবার হয়ত সে সিদ্ধাম্ত বদলাচ্ছে৷ যশোবম্তের পুত্র জয়ম্ত সিংহকে দেওয়া হতে পারে অর্থ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ৷ আলোচনায় আছে আরেকজন নতুন মুখ৷ ইনি হলেন বি জে পি-র সাধারণ সম্পাদক জয়প্রকাশ নাড্ডা৷ কথা ছিল, নাড্ডাই হবেন বি জে পি-র সভাপতি৷ কিন্তু শেষ পর্যম্ত অমিত শাহর কাছে নাড্ডাকে হার মানতে হয়৷ বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনার কথা নতুন করে শোনা যাচ্ছে৷ বাবুল যোগগুরু বাবা রামদেবের সমর্থনের ভরসায় রয়েছেন৷ মন্ত্রিসভা রদবদল করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু সিনিয়র মন্ত্রীর দায়িত্ব কমাবেন৷ যাঁরা ২টি বা ৩টি দপ্তর দেখছেন, তাঁদের দায়িত্ব কমানো হবে৷ নির্মলা সীতারামনের বাণিজ্য ও শিল্পের স্বাধীন দায়িত্ব বহাল রাখার পাশাপাশি তাঁর অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব কমানো হতে পারে৷ উল্লেখ্য, অরুণ জেটলি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাওড়েকার, পীযূষ গোয়েল প্রমুখ একাধিক দপ্তর সামলাচ্ছেন৷ নতুনদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই হতে পারে আজমেড়ের সাংসদ সানোয়ার লাল জাঠের এবং রাজ্যসভার সদস্য ভূপেন্দ্র যাদবের৷ এভাবেই রাজস্হান আরও দুই মন্ত্রী পেতে পারে৷ বর্তমানে মোদির মন্ত্রিপরিষদে রাজস্হানের একমাত্র মন্ত্রী গঙ্গানগরের সাংসদ নিহালচন্দ্র ৷ উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে রাজস্হানের ২৫টি আসনেই বি জে পি জিতেছে৷ উত্তরাখণ্ডের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবার মন্ত্রী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ এঁরা হলেন ভগৎ সিং কোশিয়ারি ও রমেশ পোখারয়াল নিশঙ্ক৷ লোকসভা নির্বাচনের সময় বাবা রামদেব বি জে পি-কে সমর্থনই করেছেন৷ এদিকে, গোপীনাথ মুন্ডের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভায় যে আসন শূন্য হয়েছে তা পূর্ণ করতে পারেন চন্দ্রপুরের সাংসদ হংসরাজ গঙ্গারাম আহির অথবা আমেদনগরের সাংসদ দিলীপ গান্ধীর মধ্যে একজন৷ শিবসেনার আরও একজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে৷ মন্ত্রী হতে পারেন অপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেল৷ এছাড়া সেকেন্দরাবদের সাংসদ বন্ডারু দত্তাত্রেয় তেলেঙ্গানার প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী হতে পারেন৷ এদিকে দলের সঙ্গে সরকারের সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়টিতে জোর দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি৷ ঠিক হয়েছে, মাসে একবার করে মন্ত্রীরা যাবেন দলের সদর দপ্তরে৷ তাতে দেশের নানা জায়গা থেকে আসা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটবে৷ আগামী বুভার থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি৷ প্রথম দিন যাচ্ছেন ভারি শিল্প দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পি রাধাকৃষ্ণন৷ বিকেল চারটে থেকে ছ’টা পর্যম্ত থাকবেন তিনি দলীয় সদর দপ্তরে৷
দেবারুণ রায়: দিল্লি, ২৮ জুলাই– আগামী মাসের মাঝামাঝি নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করতে চলেছেন৷ সংসদের বর্তমান অধিবেশন শেষ হচ্ছে ১৪ আগস্ট৷ তারপরই প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিপরিষদে ১২ জনের মতো মন্ত্রী নেবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দু’টি বিষয়ের ওপর নজর দেবেন৷ প্রথমত, সব রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব যেন ঠিকভাবে হয় মন্ত্রিসভায় এবং দ্বিতীয়ত, বিশেষ গুণ ও প্রতিভা যেন স্বীকৃতি পায়৷ এখন মোদির মন্ত্রিপরিষদে মোট ৪৪ জন সদস্য আছেন৷ এর মধ্যে ২২ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ২২ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী৷ যেসব নতুন মুখকে মোদি মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই দিতে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে শোনা যাচ্ছে হাজারিবাগের সাংসদ জয়ম্ত সিংহর নাম৷ ইনি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশোবম্ত সিংহের পুত্র৷ নেতাদের ছেলেমেয়েদের মন্ত্রী না করার ব্যাপারে একটা প্রাথমিক সিদ্ধাম্ত নিয়েছিলেন মোদি৷ এবার হয়ত সে সিদ্ধাম্ত বদলাচ্ছে৷ যশোবম্তের পুত্র জয়ম্ত সিংহকে দেওয়া হতে পারে অর্থ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ৷ আলোচনায় আছে আরেকজন নতুন মুখ৷ ইনি হলেন বি জে পি-র সাধারণ সম্পাদক জয়প্রকাশ নাড্ডা৷ কথা ছিল, নাড্ডাই হবেন বি জে পি-র সভাপতি৷ কিন্তু শেষ পর্যম্ত অমিত শাহর কাছে নাড্ডাকে হার মানতে হয়৷ বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনার কথা নতুন করে শোনা যাচ্ছে৷ বাবুল যোগগুরু বাবা রামদেবের সমর্থনের ভরসায় রয়েছেন৷ মন্ত্রিসভা রদবদল করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু সিনিয়র মন্ত্রীর দায়িত্ব কমাবেন৷ যাঁরা ২টি বা ৩টি দপ্তর দেখছেন, তাঁদের দায়িত্ব কমানো হবে৷ নির্মলা সীতারামনের বাণিজ্য ও শিল্পের স্বাধীন দায়িত্ব বহাল রাখার পাশাপাশি তাঁর অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব কমানো হতে পারে৷ উল্লেখ্য, অরুণ জেটলি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাওড়েকার, পীযূষ গোয়েল প্রমুখ একাধিক দপ্তর সামলাচ্ছেন৷ নতুনদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই হতে পারে আজমেড়ের সাংসদ সানোয়ার লাল জাঠের এবং রাজ্যসভার সদস্য ভূপেন্দ্র যাদবের৷ এভাবেই রাজস্হান আরও দুই মন্ত্রী পেতে পারে৷ বর্তমানে মোদির মন্ত্রিপরিষদে রাজস্হানের একমাত্র মন্ত্রী গঙ্গানগরের সাংসদ নিহালচন্দ্র ৷ উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে রাজস্হানের ২৫টি আসনেই বি জে পি জিতেছে৷ উত্তরাখণ্ডের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবার মন্ত্রী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ এঁরা হলেন ভগৎ সিং কোশিয়ারি ও রমেশ পোখারয়াল নিশঙ্ক৷ লোকসভা নির্বাচনের সময় বাবা রামদেব বি জে পি-কে সমর্থনই করেছেন৷ এদিকে, গোপীনাথ মুন্ডের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভায় যে আসন শূন্য হয়েছে তা পূর্ণ করতে পারেন চন্দ্রপুরের সাংসদ হংসরাজ গঙ্গারাম আহির অথবা আমেদনগরের সাংসদ দিলীপ গান্ধীর মধ্যে একজন৷ শিবসেনার আরও একজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে৷ মন্ত্রী হতে পারেন অপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেল৷ এছাড়া সেকেন্দরাবদের সাংসদ বন্ডারু দত্তাত্রেয় তেলেঙ্গানার প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী হতে পারেন৷ এদিকে দলের সঙ্গে সরকারের সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়টিতে জোর দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি৷ ঠিক হয়েছে, মাসে একবার করে মন্ত্রীরা যাবেন দলের সদর দপ্তরে৷ তাতে দেশের নানা জায়গা থেকে আসা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটবে৷ আগামী বুভার থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি৷ প্রথম দিন যাচ্ছেন ভারি শিল্প দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পি রাধাকৃষ্ণন৷ বিকেল চারটে থেকে ছ’টা পর্যম্ত থাকবেন তিনি দলীয় সদর দপ্তরে৷
No comments:
Post a Comment