শব্দ করে হাসতে মানা মেয়েদের!
নিউজ ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-07-30 17:26:31.0 BdST Updated: 2014-07-30 18:50:16.0 BdST
জনসম্মুখে নারীদেরকে উচ্চস্বরে হাসতে বারণ করেছেন তুরস্কের ইসলামপন্থি সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ত আরনিস।
ঈদ উপলক্ষে সোমবার এক অনুষ্ঠানে তার ওই বক্তব্য দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমনকি মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোতেও সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
সাংবিধানিকভাবে তুরস্কে ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরকার চালাচ্ছে ইসলামপন্থি দল ‘জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’ (একেপি)।
উপ-প্রধানমন্ত্রী আরনিস নিজেও একেপি’র জ্যেষ্ঠ্য একজন নেতা। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান রাষ্ট্রপরিচালনায় ধর্মীয় বিষয়কে টেনে আনবেন না বলে বার বার জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানায়, উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈদের একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তুরস্কের যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও আধুনিক সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলছিলেন।
তিনি বলেন,“একজন পুরষকে অবশ্যই নৈতিক হতে হবে, তবে নারীদেরকেও নৈতিকতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তাদেরকে জানতে হবে কোনটা শালীনতা আর কোনটা অভদ্রতা। সারা দুনিয়ার মানুষের সামনে তাদের উচ্চস্বরে হাসাহাসি করা ঠিক হবে না, সব সময় নিজের শালীনতা বজায় রাখতে হবে।”
যুবকদের মাত্রাতিরিক্ত গাড়ি চালনা এবং মেয়েদের মোবাইল ফোনে মাত্রাতিরিক্ত কথা বলা নিয়েও আপত্তি তোলেন আরনিস। মেয়েরা ফোনে রান্নার রেসিপি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে বেড়ায় বলেও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন একেপি নেতা।
মোবাইলে তুর্কি নারীদের কথপোকথন অনুকরণ করে বক্তব্যে আরনিস বলেন, “আর কোনো খবর নেই? আয়েশার (একজন নারী) মেয়ের খবর কি? তার বিয়ে কবে? মানুষজন চাইলে কথাগুলো সরাসরিও সারতে পারে।”
আগামী ১০ অগাস্ট অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওআইসি’র সাবেক মহাসচিব একমেলদুদ্দিন এহসানগুলের বিরুদ্ধে লড়বেন একেপি’র প্রার্থী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান। নির্বাচনের আগে উপ-প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
এরদোয়ান বিরোধী ব্লগাররা তাদের লেখায় একেপি’র ধর্মপ্রীতির নীতিকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছেন। কেউবা ট্যুইটারে লিখছেন, “নৈতিকতার জ্ঞান দেয়া বন্ধ করে চুরির টাকাগুলোর হিসাব কষেন।”
আরনিসের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন উদারপন্থি মুসলিম হিসেবে পরিচিত একমেলুদ্দিনও। নিজের ট্যুইটারে তিনি লিখেন, “আমরা নারীদের উচ্ছ্বসিত হাসি শুনতে চাই।”
সাংবিধানিকভাবে তুরস্কে ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরকার চালাচ্ছে ইসলামপন্থি দল ‘জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’ (একেপি)।
উপ-প্রধানমন্ত্রী আরনিস নিজেও একেপি’র জ্যেষ্ঠ্য একজন নেতা। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান রাষ্ট্রপরিচালনায় ধর্মীয় বিষয়কে টেনে আনবেন না বলে বার বার জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানায়, উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈদের একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তুরস্কের যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও আধুনিক সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলছিলেন।
তিনি বলেন,“একজন পুরষকে অবশ্যই নৈতিক হতে হবে, তবে নারীদেরকেও নৈতিকতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তাদেরকে জানতে হবে কোনটা শালীনতা আর কোনটা অভদ্রতা। সারা দুনিয়ার মানুষের সামনে তাদের উচ্চস্বরে হাসাহাসি করা ঠিক হবে না, সব সময় নিজের শালীনতা বজায় রাখতে হবে।”
যুবকদের মাত্রাতিরিক্ত গাড়ি চালনা এবং মেয়েদের মোবাইল ফোনে মাত্রাতিরিক্ত কথা বলা নিয়েও আপত্তি তোলেন আরনিস। মেয়েরা ফোনে রান্নার রেসিপি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে বেড়ায় বলেও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন একেপি নেতা।
মোবাইলে তুর্কি নারীদের কথপোকথন অনুকরণ করে বক্তব্যে আরনিস বলেন, “আর কোনো খবর নেই? আয়েশার (একজন নারী) মেয়ের খবর কি? তার বিয়ে কবে? মানুষজন চাইলে কথাগুলো সরাসরিও সারতে পারে।”
আগামী ১০ অগাস্ট অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওআইসি’র সাবেক মহাসচিব একমেলদুদ্দিন এহসানগুলের বিরুদ্ধে লড়বেন একেপি’র প্রার্থী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান। নির্বাচনের আগে উপ-প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
এরদোয়ান বিরোধী ব্লগাররা তাদের লেখায় একেপি’র ধর্মপ্রীতির নীতিকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছেন। কেউবা ট্যুইটারে লিখছেন, “নৈতিকতার জ্ঞান দেয়া বন্ধ করে চুরির টাকাগুলোর হিসাব কষেন।”
আরনিসের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন উদারপন্থি মুসলিম হিসেবে পরিচিত একমেলুদ্দিনও। নিজের ট্যুইটারে তিনি লিখেন, “আমরা নারীদের উচ্ছ্বসিত হাসি শুনতে চাই।”
No comments:
Post a Comment