এনসেফেলাইটিস নিয়ে বিমান: মুখ্যমন্ত্রীকে শাস্তি দেবে কে?
আজকালের প্রতিবেদন: নিজেকে এবং রাষ্ট্রমন্ত্রীকে আড়াল করতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৩ জন স্বাস্হ্য আধিকারিককে শাস্তি দিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁকে শাস্তি দেবে কে? সোমবার বামফ্রন্টের বৈঠক শেষে এ প্রশ্ন তুললেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ তাঁর কথায়, এনসেফেলাইটিস এখন উত্তরবঙ্গে মহামারীর আকার নিয়েছে৷ ক্রমশ তা দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোচ্ছে৷ আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তিনি কিছুই জানতে পারেননি৷ জানার পরও রাজ্য সরকার যা করছে তা বিভ্রাম্তিকর৷ আক্রাম্তদের চিকিৎসা আর রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্হা যথেষ্ট নয়৷ শুধু তথ্য গোপন করা আর কিছু স্বাস্হ্য আধিকারিককে সাসপেন্ড করা ছাড়া কিছুই হচ্ছে না৷ এদিন বামফ্রন্টের বৈঠকে এনসেফেলাইটিস নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়৷ একই সঙ্গে সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে সমস্ত শরিক দল৷ বৈঠক শেষে বিমান বসু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তো কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে ছিলেন৷ আমিও ছিলাম৷ ওখানে সমস্ত কাগজেই তো এনসেফেলাইটিস নিয়ে হেডলাইন৷ চোখে পড়ল না? বিমান বসু বলেন, রাজ্যের সমস্ত সি এম ও এইচ নিয়মিত স্বাস্হ্য দপ্তরে রিপোর্ট পাঠান৷ মুখ্যমন্ত্রী তো স্বাস্হ্যমন্ত্রীও৷ তিনি কি রিপোর্ট পড়েননি? তা ছাড়া সরকারের একটা দপ্তর রয়েছে, যাদের কাজই হল পেপার কাটিং ফাইল করে মন্ত্রীদের দপ্তরে পাঠানো৷ তারা পাঠায়নি? পাঠিয়ে থাকলে স্বাস্হ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পড়েননি? সরকার কি কাজ করছে না? কাজ করলে মুখ্যমন্ত্রী তো বলতেন না ‘জানতাম না’৷ এদিন বিমান বসু বলেন, যখন তখন পি জি হাসপাতালে ছুটে যেতে পারেন৷ প্রায় কোনও কারণ ছাড়াই ভারতের একজন প্রথম শ্রেণীর শল্যচিকিৎসক এস পি গড়াইকে সাসপেন্ড করে দিলেন৷ এখন এনসেফেলাইটিস নিয়ে নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে স্বাস্হ্য আধিকারিকদের সাসপেন্ড করছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীকে শাস্তি দেবে কে? প্রশ্ন বিমানের৷ বামফ্রন্টের আবেদন, এই মারণ রোগ এখন মহামারী হয়ে উঠেছে৷ এই অবস্হায় সবার কাছে আবেদন এ নিয়ে কোনও রাজনীতি করবেন না কেউ৷ সবাই মিলে বিশেষ করে ছাত্র ও যুবদের সমস্ত সংগঠনের কাছে আবেদন, পথে নামুন৷ সচেতনতা বাড়াতে, প্রতিরোধক কাজে হাত লাগান৷ বিমান বসু বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ রোগীতে উপচে পড়ছে৷ আক্রাম্তদের বাঁচাতে, মারণ রোগ প্রতিরোধে সবাই এগিয়ে আসুন৷ এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ডাঃ সূর্যকাম্ত মিশ্রও এ ব্যাপারে সরকারের ও মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন৷ বলেছেন, রাজ্যের স্বাস্হ্য দপ্তরে অস্বাস্হ্যকর কাণ্ড ঘটে চলেছে৷ যাঁরা রোগীদের চিকিৎসার কাজ করছেন তাঁদের শাস্তি দিচ্ছে সরকার৷ লক্ষ্য, স্বাস্হ্য দপ্তরে বসে থাকা মন্ত্রী-আমলাদের অপদার্থতা আড়াল করা৷ তিনি বলেন, বামফ্রন্টের আমলে তো এনসেফেলাইটিসের টিকার ব্যবস্হা হয়েছিল৷ শিশুকে ৯ মাসে একটা, পরে একটা টিকা দেওয়ার কথা৷ সে-সব টিকা হচ্ছে না৷ এ-সব দিকে নজর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শূকর অধিগ্রহণ করতে ব্যস্ত৷ বিমান বসুর অভিযোগ, জলপাইগুড়ি, নাগরাকাটা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে আমরা জানি, রোগীর রক্ত পরীক্ষা না করে সরকার বলে দিচ্ছে এনসেফেলাইটিসে মারা যায়নি৷ কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা বেসরকারি সংস্হা হোক যেখান থেকে পারে কিট আনিয়ে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্হা করা উচিত সরকারের৷ রেড ব্যাঙ্ক চা-বাগানে এনসেফেলাইটিসের আক্রমণের খবর আসছে৷ শ্রমিকেরা বি ডি ও-র কাছে গেলে তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন কোনও ব্যবস্হা নেই৷ সরকার তা হলে কীসের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে? লোক দেখাতে? অবিলম্বে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করুক সরকার৷ রাজনীতি ভুলে সবাই সহযোগিতা করবেন৷
১৫ই সম্প্রীতি দিবস: দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির দাপট ক্রমশ বাড়ছে৷ তাই আগামী ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসে রাজ্য জুড়ে জাতীয় সংহতি, ঐক্য ও সাম্প্রকদায়িক সম্প্রীতি দিবস পালন করবে বামফ্রন্ট৷ এদিন বৈঠক শেষে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, এখন জমি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তা অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে৷ কার্ফু জারি করতে হচ্ছে৷ এটা দুশ্চিম্তার বহিষয়৷ আমাদের দেশে মোরাদাবাদ, সুজাপুর, ম্যাঙ্গালোরেও এমন ঘটনা দেখা গেছে৷ কিছু মানুষ দাঙ্গা বাঁধানোর চক্রাম্ত করছে৷ সাধারন শাম্তিকামী মানুষকেই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ চারিদিকে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন কি এ রাজ্যেও যে সমস্ত কথাবার্তা কানে আসছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এমন ঘটনা আরও বাড়বে৷ এ জন্যই বামফ্রন্ট এই উদ্যোগ নিয়েছে৷ তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্যের সর্বত্র সম্প্রীতি দিবস পালন করবে বামফ্রন্ট৷ কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাধারন মানুষকে সজাগ করবেন৷ প্রত্যেকটি জেলায় মুখ্য এলাকায় জেলা বামফ্রন্ট ওই দিন মানব শৃঙ্খল করবে৷ কলসকাতাতেও মানব শৃঙ্খল করবে জেলা বামফ্রন্ট৷
আজকালের প্রতিবেদন: নিজেকে এবং রাষ্ট্রমন্ত্রীকে আড়াল করতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৩ জন স্বাস্হ্য আধিকারিককে শাস্তি দিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁকে শাস্তি দেবে কে? সোমবার বামফ্রন্টের বৈঠক শেষে এ প্রশ্ন তুললেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ তাঁর কথায়, এনসেফেলাইটিস এখন উত্তরবঙ্গে মহামারীর আকার নিয়েছে৷ ক্রমশ তা দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোচ্ছে৷ আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তিনি কিছুই জানতে পারেননি৷ জানার পরও রাজ্য সরকার যা করছে তা বিভ্রাম্তিকর৷ আক্রাম্তদের চিকিৎসা আর রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্হা যথেষ্ট নয়৷ শুধু তথ্য গোপন করা আর কিছু স্বাস্হ্য আধিকারিককে সাসপেন্ড করা ছাড়া কিছুই হচ্ছে না৷ এদিন বামফ্রন্টের বৈঠকে এনসেফেলাইটিস নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়৷ একই সঙ্গে সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে সমস্ত শরিক দল৷ বৈঠক শেষে বিমান বসু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তো কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে ছিলেন৷ আমিও ছিলাম৷ ওখানে সমস্ত কাগজেই তো এনসেফেলাইটিস নিয়ে হেডলাইন৷ চোখে পড়ল না? বিমান বসু বলেন, রাজ্যের সমস্ত সি এম ও এইচ নিয়মিত স্বাস্হ্য দপ্তরে রিপোর্ট পাঠান৷ মুখ্যমন্ত্রী তো স্বাস্হ্যমন্ত্রীও৷ তিনি কি রিপোর্ট পড়েননি? তা ছাড়া সরকারের একটা দপ্তর রয়েছে, যাদের কাজই হল পেপার কাটিং ফাইল করে মন্ত্রীদের দপ্তরে পাঠানো৷ তারা পাঠায়নি? পাঠিয়ে থাকলে স্বাস্হ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পড়েননি? সরকার কি কাজ করছে না? কাজ করলে মুখ্যমন্ত্রী তো বলতেন না ‘জানতাম না’৷ এদিন বিমান বসু বলেন, যখন তখন পি জি হাসপাতালে ছুটে যেতে পারেন৷ প্রায় কোনও কারণ ছাড়াই ভারতের একজন প্রথম শ্রেণীর শল্যচিকিৎসক এস পি গড়াইকে সাসপেন্ড করে দিলেন৷ এখন এনসেফেলাইটিস নিয়ে নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে স্বাস্হ্য আধিকারিকদের সাসপেন্ড করছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীকে শাস্তি দেবে কে? প্রশ্ন বিমানের৷ বামফ্রন্টের আবেদন, এই মারণ রোগ এখন মহামারী হয়ে উঠেছে৷ এই অবস্হায় সবার কাছে আবেদন এ নিয়ে কোনও রাজনীতি করবেন না কেউ৷ সবাই মিলে বিশেষ করে ছাত্র ও যুবদের সমস্ত সংগঠনের কাছে আবেদন, পথে নামুন৷ সচেতনতা বাড়াতে, প্রতিরোধক কাজে হাত লাগান৷ বিমান বসু বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ রোগীতে উপচে পড়ছে৷ আক্রাম্তদের বাঁচাতে, মারণ রোগ প্রতিরোধে সবাই এগিয়ে আসুন৷ এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ডাঃ সূর্যকাম্ত মিশ্রও এ ব্যাপারে সরকারের ও মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন৷ বলেছেন, রাজ্যের স্বাস্হ্য দপ্তরে অস্বাস্হ্যকর কাণ্ড ঘটে চলেছে৷ যাঁরা রোগীদের চিকিৎসার কাজ করছেন তাঁদের শাস্তি দিচ্ছে সরকার৷ লক্ষ্য, স্বাস্হ্য দপ্তরে বসে থাকা মন্ত্রী-আমলাদের অপদার্থতা আড়াল করা৷ তিনি বলেন, বামফ্রন্টের আমলে তো এনসেফেলাইটিসের টিকার ব্যবস্হা হয়েছিল৷ শিশুকে ৯ মাসে একটা, পরে একটা টিকা দেওয়ার কথা৷ সে-সব টিকা হচ্ছে না৷ এ-সব দিকে নজর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শূকর অধিগ্রহণ করতে ব্যস্ত৷ বিমান বসুর অভিযোগ, জলপাইগুড়ি, নাগরাকাটা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে আমরা জানি, রোগীর রক্ত পরীক্ষা না করে সরকার বলে দিচ্ছে এনসেফেলাইটিসে মারা যায়নি৷ কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা বেসরকারি সংস্হা হোক যেখান থেকে পারে কিট আনিয়ে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্হা করা উচিত সরকারের৷ রেড ব্যাঙ্ক চা-বাগানে এনসেফেলাইটিসের আক্রমণের খবর আসছে৷ শ্রমিকেরা বি ডি ও-র কাছে গেলে তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন কোনও ব্যবস্হা নেই৷ সরকার তা হলে কীসের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে? লোক দেখাতে? অবিলম্বে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করুক সরকার৷ রাজনীতি ভুলে সবাই সহযোগিতা করবেন৷
১৫ই সম্প্রীতি দিবস: দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির দাপট ক্রমশ বাড়ছে৷ তাই আগামী ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসে রাজ্য জুড়ে জাতীয় সংহতি, ঐক্য ও সাম্প্রকদায়িক সম্প্রীতি দিবস পালন করবে বামফ্রন্ট৷ এদিন বৈঠক শেষে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, এখন জমি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তা অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে৷ কার্ফু জারি করতে হচ্ছে৷ এটা দুশ্চিম্তার বহিষয়৷ আমাদের দেশে মোরাদাবাদ, সুজাপুর, ম্যাঙ্গালোরেও এমন ঘটনা দেখা গেছে৷ কিছু মানুষ দাঙ্গা বাঁধানোর চক্রাম্ত করছে৷ সাধারন শাম্তিকামী মানুষকেই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ চারিদিকে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন কি এ রাজ্যেও যে সমস্ত কথাবার্তা কানে আসছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এমন ঘটনা আরও বাড়বে৷ এ জন্যই বামফ্রন্ট এই উদ্যোগ নিয়েছে৷ তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্যের সর্বত্র সম্প্রীতি দিবস পালন করবে বামফ্রন্ট৷ কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাধারন মানুষকে সজাগ করবেন৷ প্রত্যেকটি জেলায় মুখ্য এলাকায় জেলা বামফ্রন্ট ওই দিন মানব শৃঙ্খল করবে৷ কলসকাতাতেও মানব শৃঙ্খল করবে জেলা বামফ্রন্ট৷
No comments:
Post a Comment