রোজভ্যালি গোষ্ঠীর সম্পত্তির একাংশ বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সারদার মতোই এই গোষ্ঠীও বাজার থেকে বহু কোটি টাকা তুলেছিল৷ এবং বহু সংস্হাও রয়েছে সারদার মতোই৷ আপাতত ই ডি সূত্রে সম্পত্তির যে তালিকা পাওয়া গেছে, তা বেশ চমকপ্রদ৷ তবে ই ডি কর্তারা বলছেন, আপাতত যতটুকু পাওয়া গেছে! এরপরে সূত্র সন্ধান করে আরও বহু কিছু মিলবে৷ আপাতত ব্যাঙ্ক লেনদেন সংক্রাম্ত ৩৪টি ফাইল ই ডি-র হাতে এসেছে৷ সল্টলেকের একটি ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্টে মিলেছে ৩৭ লাখ ৩৬৮ টাকা ৫০ পয়সা৷ আরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোঁজা হচ্ছে৷ রোজভ্যালির সঙ্গে ই ডি-র মামলা চলছিল অনেকদিন ধরেই৷ ই ডি-র আইনজীবী আশিস রায় আদালতে জানিয়েছেন কী উপায়ে সেবির নির্দেশ না মেনে টাকা তোলা হয়েছে৷ ই ডি-র বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির যে তালিকা পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যম্ত পাবলিক ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে ওই গোষ্ঠী ১২৮২.২২৫ লক্ষ টাকা বাজার থেকে তুলেছে৷ পরবর্তী তালিকা এইরকম: ১- একটি বাংলা টিভি চ্যানেলে বহু টাকা লগ্নি, ২- মন্দারমনিতে রিসর্ট, ৩- ১০০ বিঘে জমি, ৪- বারাসতের প্রসাদপুরে ১২ বিঘে ১১ কাটা জমি, ৫- বারুইপুরে ৪৯০ বিঘে জমি, ৬- অ্যাপার্টমেন্ট তৈরির ব্যবসা, ৭- ট্রাভেলসের ব্যবসা, ৮- ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট তৈরি, ৯- সোনা কেনাবেচার সংস্হা তৈরি, ১০- ৪৭টি নানা নামে সংস্হা, ১১- মূল সংস্হার অনুসারী এমন বহু সংস্হার নাম পাওয়া গেছে, তাদের নামের তালিকার ফাইল হয়েছে বেশ কয়েকটি, ১২- আপাতত সম্পত্তির তালিকা ও সংস্হার তালিকা মিলিয়ে ৩৪৭ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তৈরি হয়েছে৷ ই ডি সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু সিডি৷ ওই সিডিতে বহু প্রভাবশালী লোকজনের সরাসরি যোগসূত্র পেয়েছে ই ডি৷ সম্পত্তির তালিকা তৈরি করে তা বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানিয়ে ই ডি আদালতে জানায়৷ পাল্টা মামলা হয়৷ সেই মামলায় আদালত ই ডি-র পক্ষেই রায় দেয়৷ যে সমস্ত প্রভাবশালীর নাম এখনই উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীরও যোগাযোগ ছিল সে-সময়৷ একই ব্যক্তি দুটি আলাদা সংস্হার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ রাখতেন, তাঁদের থেকে কী কী সুবিধে নিয়েছেন, তা এবার দেখা হবে৷
|
No comments:
Post a Comment