ধর্ষণ, খুনের হুমকি, অবশেষে তাপস পালের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
কলকাতা: বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাপস পালের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে নাকাশিপাড়া থানায় তাপস পালের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করতে হবে সিআইডিকে। বিপ্লব চৌধুরীর করা রিট পিটিশনের শুনানির শেষে আজ বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নজরদারিতেই সিআইডিকে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পয়লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিআইডিকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে।
একজন আইন প্রণেতা হিসেবে তাপস পাল কীভাবে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। খুন, ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পরও তাপস পালের পাশেই দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। আদালতে সরকারি আইনজীবী আগাগোড়াই বলেন, ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তাই তাঁর ওই বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। তাপস পালের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দুটি মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। একটি জনস্বার্থ মামলা। এবং একটি মামলা পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার।
তাপস পাল-কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব সংবাদদাতা
২৮ জুলাই, ২০১৪, ১৮:৫১:১৪
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পালের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে এই মামলার শুনানি শেষে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আদালত জানিয়েছে, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে এই তদন্তের কাজ চালাবে সিআইডি। তদন্তের রিপোর্ট সিআইডিকে হাইকোর্টেই জমা দিতে হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ডিআইজি সিআইডি-কে এই তদন্তের নির্দেশ দেবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। তার আগে এ দিনের নির্দেশনামা পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নাকাশিপাড়া থানার আইসিকে একটি এফআইআর দায়ের করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করবে সিআইডি। এ ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রকেই এফআইআর হিসেবে গণ্য করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি।
গত ১৪ জুন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল নদিয়ার নাকাশিপাড়া ও তেহট্ট থানা এলাকার একাধিক সভায় উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশ ওই সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের আদালতে মামলা করেন বিপ্লব চৌধুরী। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় সম্প্রতি। সোমবারই রায় জানানোর কথা ছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে আরও একটি মামলা দায়ের করেন জনৈক বিজন ঘোষ। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই জনস্বার্থ মামলাটি প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টেরই শোনা উচিত। তিনি জানান, তাঁরা হাইকোর্টকে এড়িয়ে আগেই এই মামলা শুনতে চান না। আবেদনকারীর হাইকোর্টে যাওয়ার অধিকার আছে। যে হেতু হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি মামলা আগে থেকেই দায়ের হয়েছিল, তাই বিজনবাবুর মামলাটি আদালত গ্রহণ করেনি।
বিচারপতি দত্ত আরও নির্দেশ দিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া তদন্তের রিপোর্ট বা চার্জশিট নিম্ন আদালতে জমা দেওয়া যাবে না।
No comments:
Post a Comment