Saturday, July 26, 2014

ভারোত্তোলনে সোনা হাওড়ার সুখেনের

ভারোত্তোলনে সোনা হাওড়ার সুখেনের

স্টাফ রিপোর্টার,

, ২৬ জুলাই, ২০১৪

স্পেশাল৷ ভেরি ভেরি স্পেশাল৷ এই দিনটার জন্যই স্বপ্ণ দেখছিলেন ওঁরা৷ সুখেন দে-র পরিবার, প্রতিবেশী সকলে৷ 
খবরটা চলে আসতেই গোটা পাড়া ভেঙে পড়ল সুখেনের বাড়ির সামনে৷ আর হবে নাই বা কেন, কমনওয়েলথে সোনা বলে কথা৷ একে একে সবাই অভিনন্দন জানিয়ে যাচ্ছেন৷ কারও কারও হাতে ফুলের স্তবক৷ কেউ আবার মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে হাজির হয়েছেন আন্দুলে সুখেন দের বাড়িতে৷ সবার মুখেই এক কথা–"ওর সাফল্যে আমরা গর্বিত৷" আনন্দে তখন চোখে জল সুখেনের পরিবারের৷ একজন বলছিলেন, "গতবার কমনওয়েলথে সোনা হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ওর মধ্যে একটা জেদ কাজ করছিল৷ যখনই দেখা হত তখনই বলত, এবার সোনা জিততেই হবে৷ ওর সেই স্বপ্ণ পূরণ হল৷" ফোনে সুখেনের দাদা সৌমেন দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলছিলেন, "কাল রাতেই আমরা পরিবারের সকলে টিভির সামনে বসে পড়েছিলাম৷ প্রথমে সুখেন একটু পিছিয়ে পড়াতে চিন্তা হচ্ছিল৷ কিন্ত্ত শেষপর্যন্ত সোনা জিতল৷ আজ আমরা সত্যিই খুব খুশি৷ ওর স্বপ্ণ পূরণ হল৷"
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাতে কমনওয়েলথে ইভেণ্ট ছিল ভারতীয় ভারোত্তোলকের৷  ৫৬ কেজি বিভাগে সোনা পেলেন৷ যদিও সুখেনের প্রতিদ্বন্দ্বী মালয়েশিয়ার জুলেইমি, মহম্মদ ফইজল বাহারম বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিলেন এই ভারতীয় ভরোত্তলক৷ প্রথমে এদের থেকে কিছুটা পিছিয়েও ছিলেন তিনি৷ কিন্ত্ত শেষমেশ বাজিমাত করলেন সুখেনই৷ প্রচুর ভারতীয় সমর্থককে দেখা গেল তেরঙ্গা নিয়ে সমর্থন করছেন৷
শুধু এবার নয়, গত কমনওয়েলথেও একটুর জন্য সোনা পাননি সুখেন৷ সেবার তাঁকে রুপো নিয়েই সন্ত্তষ্ট থাকতে হয়েছিল৷ গ্লাসগোতে সোনা জেতার পর বলছিলেন, "জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম৷ তারপর দিল্লিতে কমনওয়েলথে রুপো পেয়েছিলাম৷ সেবার টেকনিক্যাল কিছু ভুলত্রুটির জন্য সোনা হাতছাড়া হয়েছিল৷ তখন থেকেই ঠিক করেছিলাম, যেভাবেই হোক পরের বার সোনা পেতে  হবে৷ সেই স্বপ্ণ পূরণ হওয়ায় সত্যিই আমি খুব খুশি৷ বলতে পারেন এটাই আমার জীবনের সেরা পারফরম্যান্স৷ এই জয় আমি দেশ, ফেডারেশনের কর্মকর্তা, কোচদের উত্সর্গ করছি৷ টুর্নামেণ্টের আগে সবাই প্রচুর সাহায্য করেছে৷ আমরা জুন মাস থেকে বার্মিংহামে ট্রেনিং করেছে, আর সোনা জিততে এই  ক্যাম্প আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছে৷" 
আর এক ভারতীয় ভরত্তোলক মালি ব্রোঞ্জ পেয়েছেন৷ একসময় তিনি লিড করছিলেন৷ কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য শেষ মেশ তাঁকে ব্রোঞ্জ পেয়েই সন্ত্তষ্ট থাকতে হল৷  ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সে চাকরি করেন মালি৷ বলছিলেন, "এটা আমার হাতে নেই৷ দেশের পদক যে জিততে পেরেছি, সেটার জন্যই ভাল লাগেছ৷" 
কমনওয়েলথে প্রথম দিনটা খুব একটা খারাপ গেল না ভারতীয়দের৷ মোট সাতটা পদক এল৷ যার মধ্যে দুটো সোনা৷ তিনটে রুপো ও দুটো ব্রোঞ্জ৷ এই মুহূর্তে ভারত চার নম্বর স্হানে রয়েছে৷ ১৭টা পদক নিয়ে ইংল্যান্ড একে৷ অস্ট্রেলিয়া রয়েছে দ্বিতীয় স্হানে৷ 
তবে গ্লাসগোতেও এত সমর্থন দেখে অভিভূত সকলে৷ একজন  বলছিলেন, "প্রথমে ভাবতেই পারিনি এখানেও এত সমর্থন পাব৷ ওদের চিত্কার আমাদের আরও ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করবে৷"  
logo

No comments:

Post a Comment