লক্ষ্মণ-তমালিকা বি জে পি-র দিকে!
আবু রাইহান ও সৈকত মাইতি: হলদিয়া ও তমলুক, ২৮ জুলাই– পূর্ব মেদিনীপুরে সি পি এমের সদ্য দলত্যাগী অনেকে এবার ঝুঁকছেন বি জে পি-র দিকে৷ তাই গোপন বৈঠক শুরু করেছেন লক্ষ্মণ শেঠের ঘনিষ্ঠরা৷ ইতিমধ্যে হলদিয়ার ক্ষুদিরাম নগরে সি পি এমের কমরেড সুকুমার সেনগুপ্ত হলদিয়া জোনাল কমিটির কার্যালয় এখন শুধু সুকুমার সেনগুপ্ত ভবন৷ এখানেই সদ্য দলত্যাগী লক্ষ্মণ অনুগামী সি পি এম নেতারা তাঁদের কার্যালয় করেছেন৷ ভারত নির্মাণ মঞ্চের প্রস্তুতি শুরু করেছেন তাঁরা৷ এখনও যে সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতা সি পি এমে রয়ে গেছেন তাঁদের এখানে ডেকে পাঠাচ্ছেন৷ জানা গেছে, দু’ একদিনের মধ্যে তাঁরা তমলুকে জেলা কমিটির অফিসে আরও একটি দলতাগ্যের তালিকা জমা দিচ্ছেন৷ জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বি জে পি-র রাজ্য সম্পাদক রাহুল সিনহার সঙ্গে একপ্রস্হ বৈঠকও সেরে ফেলেছেন সি পি এম বহিষ্কৃত নেতা লক্ষ্মণ শেঠ৷ রবিবারই জেলায় এসেছিলেন বি জে পি-র রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ লক্ষ্মণ শেঠদের দলে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন৷ সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলায় ঢুকতে না পারলেও প্রতিনিয়তই ফোনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন লক্ষ্মণবাবু৷ বেশ কয়েকদিন আগে অনুগামীদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠকও করেছেন৷ ১ আগস্ট কলকাতায় গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের প্রেক্ষাগহে সভা ডাকা হয়েছে৷ সভায় আগামী দিনে মঞ্চের গুরুত্ব, আন্দোলনের রূপরেখা ও কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে৷ গঠন হবে সর্বস্তরীয় কমিটি৷ পরে তা জাতীয়তাবাদী দলের মধ্যে অম্তর্ভুক্ত করা হবে৷ নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং মানুষের উন্নয়নে সামিল হতে, সে কথা মাথায় রেখে ভারতের জাতীয়তাবাদী দলের অম্তর্ভুক্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে লক্ষ্মণ শিবিরের অভিমত৷ সে ক্ষেত্রে তৃণমূল বা কংগ্রেসকে সরিয়ে বি জে পি-কেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে লক্ষ্মণ, তমালিকা ঘনিষ্ঠদের মত৷ যাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী বহু কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতই৷ তাই শাস্তি এড়াতে আগেই পদত্যাগ বলে মনে করছেন সি পি এম নেতৃত্ব৷ দলের কর্মীরাই যে দলের সম্পদ তা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক প্রশাম্ত প্রধান জানান, জেলা কমিটির শূন্যপদে নতুনদের (৫০)এর কম বয়স- জায়গা করে দেওয়া হয়েছে৷ ইব্রাহিম আলি, তাপস সিনহা-সহ ৮ জন এই কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন৷ ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেক নিচু স্তরের সভ্য-সমর্থক৷ এদিকে আগামী ৩১ তারিখ নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার শুনানি রয়েছে তমলুক জেলা আদালতে৷ ওই দিন জেলায় আসছেন লক্ষ্মণ শেঠ৷ তমালিকাদের পদত্যাগের পর এই প্রথম লক্ষ্মণবাবুর জেলায় আসাটা বর্তমান পরিস্হিতিতে একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছে৷ ওইদিনই কোনও উল্ল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তবে ১ আগস্ট বিক্ষুব্ধদের নব মঞ্চের আত্মপ্রকাশকে পাখির চোখ করে বসে রয়েছেন অনেকেই৷
আবু রাইহান ও সৈকত মাইতি: হলদিয়া ও তমলুক, ২৮ জুলাই– পূর্ব মেদিনীপুরে সি পি এমের সদ্য দলত্যাগী অনেকে এবার ঝুঁকছেন বি জে পি-র দিকে৷ তাই গোপন বৈঠক শুরু করেছেন লক্ষ্মণ শেঠের ঘনিষ্ঠরা৷ ইতিমধ্যে হলদিয়ার ক্ষুদিরাম নগরে সি পি এমের কমরেড সুকুমার সেনগুপ্ত হলদিয়া জোনাল কমিটির কার্যালয় এখন শুধু সুকুমার সেনগুপ্ত ভবন৷ এখানেই সদ্য দলত্যাগী লক্ষ্মণ অনুগামী সি পি এম নেতারা তাঁদের কার্যালয় করেছেন৷ ভারত নির্মাণ মঞ্চের প্রস্তুতি শুরু করেছেন তাঁরা৷ এখনও যে সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতা সি পি এমে রয়ে গেছেন তাঁদের এখানে ডেকে পাঠাচ্ছেন৷ জানা গেছে, দু’ একদিনের মধ্যে তাঁরা তমলুকে জেলা কমিটির অফিসে আরও একটি দলতাগ্যের তালিকা জমা দিচ্ছেন৷ জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বি জে পি-র রাজ্য সম্পাদক রাহুল সিনহার সঙ্গে একপ্রস্হ বৈঠকও সেরে ফেলেছেন সি পি এম বহিষ্কৃত নেতা লক্ষ্মণ শেঠ৷ রবিবারই জেলায় এসেছিলেন বি জে পি-র রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ লক্ষ্মণ শেঠদের দলে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন৷ সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলায় ঢুকতে না পারলেও প্রতিনিয়তই ফোনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন লক্ষ্মণবাবু৷ বেশ কয়েকদিন আগে অনুগামীদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠকও করেছেন৷ ১ আগস্ট কলকাতায় গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের প্রেক্ষাগহে সভা ডাকা হয়েছে৷ সভায় আগামী দিনে মঞ্চের গুরুত্ব, আন্দোলনের রূপরেখা ও কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে৷ গঠন হবে সর্বস্তরীয় কমিটি৷ পরে তা জাতীয়তাবাদী দলের মধ্যে অম্তর্ভুক্ত করা হবে৷ নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং মানুষের উন্নয়নে সামিল হতে, সে কথা মাথায় রেখে ভারতের জাতীয়তাবাদী দলের অম্তর্ভুক্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে লক্ষ্মণ শিবিরের অভিমত৷ সে ক্ষেত্রে তৃণমূল বা কংগ্রেসকে সরিয়ে বি জে পি-কেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে লক্ষ্মণ, তমালিকা ঘনিষ্ঠদের মত৷ যাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী বহু কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতই৷ তাই শাস্তি এড়াতে আগেই পদত্যাগ বলে মনে করছেন সি পি এম নেতৃত্ব৷ দলের কর্মীরাই যে দলের সম্পদ তা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক প্রশাম্ত প্রধান জানান, জেলা কমিটির শূন্যপদে নতুনদের (৫০)এর কম বয়স- জায়গা করে দেওয়া হয়েছে৷ ইব্রাহিম আলি, তাপস সিনহা-সহ ৮ জন এই কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন৷ ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেক নিচু স্তরের সভ্য-সমর্থক৷ এদিকে আগামী ৩১ তারিখ নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার শুনানি রয়েছে তমলুক জেলা আদালতে৷ ওই দিন জেলায় আসছেন লক্ষ্মণ শেঠ৷ তমালিকাদের পদত্যাগের পর এই প্রথম লক্ষ্মণবাবুর জেলায় আসাটা বর্তমান পরিস্হিতিতে একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছে৷ ওইদিনই কোনও উল্ল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তবে ১ আগস্ট বিক্ষুব্ধদের নব মঞ্চের আত্মপ্রকাশকে পাখির চোখ করে বসে রয়েছেন অনেকেই৷
No comments:
Post a Comment