সন্তানের দেহ সমাধিস্থ করে বিষন্ন্ মনে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা৷ হঠাত্ তাঁর পরিবারেরই একজন খবর দিলেন, বেঁচে আছে তাঁর ছেলে৷ রয়েছে হাসপাতালে৷ ফোন এসেছে সেখান থেকেই৷
তা হলে কার দেহ কবর দিয়ে এলেন তিনি? বুঝতে পারছিলেন না হায়দরাবাদের কিষ্টাপুর গ্রামের চাষি স্বামী গৌড়৷ পরে বোঝা গেল ভুল৷
বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানায় প্রহরী বিহীন লেভেল ক্রসিং-এ স্কুল বাসে ট্রেনের ধাক্কায় যে ২৫টি শিশু মারা গিয়েছিল তাদেরই মধ্যে দাত্তু নামে একজনের দেহ এসে পৌঁছেছিল স্বামী গৌড়ের হাতে৷ ওই বাসে ছিল তাঁরও সন্তান৷ সে কারণে, মৃত্যুর খবর পেয়ে একটাই আকূল ছিলেন তিনি, যে দেহ মাটিতে পোঁতার আগে মুখটাও দেখেননি৷
তবে একদিকে যখন ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে চোখে জল স্বামী গৌড়ার তখন অন্যদিকে আচমকাই ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভীরা৷ কারণ, স্বামী গৌড়ের হাতে সমাধিস্থ ছেলেটি তাঁরই সন্তান৷ গত বৃহস্পতিবারের ট্রেন-বাসের সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে তাঁর ১১ বছরের মেয়ে ভুবনেশ্বরীর৷ ওই স্কুলবাসে ছিল তাঁর ছেলে দাত্তুও৷ গুরুতর জখম অবস্হায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল৷ মৃত্যু হয় তার৷
গন্ডগোল হয় হাসপাতালেই৷ দাত্তুর দেহ ভুল করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্বামী গৌড়ার কাছে৷ এদিকে ধীরে ধীরে জ্ঞান ফেরে ওই হাসপাতালে ভর্তি স্বামী গৌড়ার ছেলে ধনুশ৷ তখনই প্রকাশ্যে আসে গন্ডগোল৷
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভুলবশত মৃতদেহ অন্য একজনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ দু'জন অভিভাবককেই খবর দেওয়া হয়েছে৷
No comments:
Post a Comment