ইউক্রেন লড়াইয়ে ॥ ক্রমশ জড়াচ্ছে রাশিয়া
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তার পাশাপাশি সীমান্তে নিজস্ব সৈন্য সংখ্যাও বাড়াচ্ছে মস্কো
রাশিয়া ইউক্রেন লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের সহায়তাদান জোরদার করেছে। রাশিয়া ইউক্রেন সংলগ্ন এর সীমান্তে আরও সৈন্য মোতায়েন করেও ওই লড়াইয়ে হস্তক্ষেপ ত্বরান্বিত করছে। আমেরিকান ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার একথা জানান। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে রাশিয়ার আধুনিক ও শক্তিশালী রকেট লঞ্চার সরবরাহ ‘অত্যাসন্ন’ বলে পেন্টাগন সতর্ক করে দিয়েছে। একথা সত্য হলে রাশিয়া এক সপ্তাহ আগে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সাফল্য অর্জনের পর রাশিয়া ওই সংঘাতে আরও গভীরভাবে জড়িত হয়ে পড়বে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও অন্যান্য ওয়েবসাইটের
ইউক্রেনে এক মালয়েশীয় বেসামরিক যাত্রীবাহী জেট গত সপ্তাহে বিধ্বস্ত হওয়ার পর রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধে পিছু না হটে দৃশ্যত আরও আক্রমণাত্মকভাবে হস্তক্ষেপ করছে। কর্মকর্তারা বিষয়টিকে বিপজ্জনক তৎপরতা বলে অভিহিত করে বলেছেন, এ হস্তক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় নিশ্চিতভাবেই আরও ব্যাপক পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করা হবে। অন্যদিকে এ গোলযোগে পাশ্চাত্যের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচক ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াৎসেনিউক বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন তিনি পদত্যাগ করবেন। এ জন্য তিনি নির্বাচনী প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। এ প্রচার অভিযান তীব্র হবে বলে তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ প্রেক্ষাপটে পাশ্চাত্যপন্থী পক্ষগুলোর মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হতে পারে এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন শুক্রবার সীমান্তে কামানের গোলা ছোড়ার দায়ে একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে। এতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলেও এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটলেও সংঘাত বেড়ে যাওয়ার হুমকি দেখা দিচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, সীমান্তে পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক হয় পড়ছে। তারা বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্ত সংলগ্ন রুশ এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া এ সংঘাতে আরও বেশি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়ছে। সীমান্তে আরও সেনা সমাবেশ করছে এবং বিদ্রোহীদের আরও শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। এ অস্ত্রগুলোর মধ্যে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টর্নেডো রকেট লঞ্চারও রয়েছে। কর্মকর্তারা উপগ্রহের চিত্র এবং অন্য সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাশিয়া সীমান্ত বরাবর কয়েকটি স্থানে ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যুদ্ধযানসহ ভারি অস্ত্র মোতায়েন করেছে। তীব্র লড়াই চলছে ওই সকল সীমান্ত এলাকায়। ওয়াশিংটন ও কিয়েভে কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া বৃহস্পতিবার রুশ অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কামানের গোলাবর্ষণ করেছে কিন্তু রাশিয়া শুক্রবার এ হস্তক্ষেপের বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছে। মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, মস্কো সরকারী সেনাদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে। রুশদের এ উদ্যোগ এ সংঘাত এক নতুন এবং আরও বিপজ্জনক মাত্রা যোগ করবে। এ সংঘাতের কারণেই এ অঞ্চল ইতোমধ্যেই অশান্ত ও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং মালয়েশীয় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা বিস্ময়ে অভিভূত করে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। রাশিয়ার সরবরাহ করা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছিল বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ রয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এ ঘটনাজনিত শোকের কথা মাথায় রেখে ক্রেমলিন সামনে অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে আবারও চিন্তা করবে।
ওবামার প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেন লড়াইয়ে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান জড়িত হওয়ার ঘটনাও ইউরোপীয় নেতাদের মস্কোর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানে থাকতে দিচ্ছে না। ইউরোপীয় নেতারা তাদের নিজস্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় মস্কোর বিরুদ্ধে যেতে অনীহ হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষ সামরিক উদ্যোগ গ্রহণের কোন ইচ্ছাই দেখা যাচ্ছে না এবং এটা অস্পষ্ট যে, পশ্চিমের দেশগুলো কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা যা প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের সংঘাতে আরও জড়িয়ে পড়ার হিসাব পরিবর্তনে সহায়তা রাখতে পারে।
ইউক্রেনে এক মালয়েশীয় বেসামরিক যাত্রীবাহী জেট গত সপ্তাহে বিধ্বস্ত হওয়ার পর রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধে পিছু না হটে দৃশ্যত আরও আক্রমণাত্মকভাবে হস্তক্ষেপ করছে। কর্মকর্তারা বিষয়টিকে বিপজ্জনক তৎপরতা বলে অভিহিত করে বলেছেন, এ হস্তক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় নিশ্চিতভাবেই আরও ব্যাপক পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করা হবে। অন্যদিকে এ গোলযোগে পাশ্চাত্যের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচক ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াৎসেনিউক বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন তিনি পদত্যাগ করবেন। এ জন্য তিনি নির্বাচনী প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। এ প্রচার অভিযান তীব্র হবে বলে তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ প্রেক্ষাপটে পাশ্চাত্যপন্থী পক্ষগুলোর মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হতে পারে এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন শুক্রবার সীমান্তে কামানের গোলা ছোড়ার দায়ে একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে। এতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলেও এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটলেও সংঘাত বেড়ে যাওয়ার হুমকি দেখা দিচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, সীমান্তে পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক হয় পড়ছে। তারা বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্ত সংলগ্ন রুশ এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া এ সংঘাতে আরও বেশি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়ছে। সীমান্তে আরও সেনা সমাবেশ করছে এবং বিদ্রোহীদের আরও শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। এ অস্ত্রগুলোর মধ্যে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টর্নেডো রকেট লঞ্চারও রয়েছে। কর্মকর্তারা উপগ্রহের চিত্র এবং অন্য সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাশিয়া সীমান্ত বরাবর কয়েকটি স্থানে ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যুদ্ধযানসহ ভারি অস্ত্র মোতায়েন করেছে। তীব্র লড়াই চলছে ওই সকল সীমান্ত এলাকায়। ওয়াশিংটন ও কিয়েভে কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া বৃহস্পতিবার রুশ অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কামানের গোলাবর্ষণ করেছে কিন্তু রাশিয়া শুক্রবার এ হস্তক্ষেপের বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছে। মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, মস্কো সরকারী সেনাদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে। রুশদের এ উদ্যোগ এ সংঘাত এক নতুন এবং আরও বিপজ্জনক মাত্রা যোগ করবে। এ সংঘাতের কারণেই এ অঞ্চল ইতোমধ্যেই অশান্ত ও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং মালয়েশীয় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা বিস্ময়ে অভিভূত করে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। রাশিয়ার সরবরাহ করা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছিল বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ রয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এ ঘটনাজনিত শোকের কথা মাথায় রেখে ক্রেমলিন সামনে অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে আবারও চিন্তা করবে।
ওবামার প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেন লড়াইয়ে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান জড়িত হওয়ার ঘটনাও ইউরোপীয় নেতাদের মস্কোর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানে থাকতে দিচ্ছে না। ইউরোপীয় নেতারা তাদের নিজস্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় মস্কোর বিরুদ্ধে যেতে অনীহ হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষ সামরিক উদ্যোগ গ্রহণের কোন ইচ্ছাই দেখা যাচ্ছে না এবং এটা অস্পষ্ট যে, পশ্চিমের দেশগুলো কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা যা প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের সংঘাতে আরও জড়িয়ে পড়ার হিসাব পরিবর্তনে সহায়তা রাখতে পারে।
No comments:
Post a Comment