গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কদর বাড়ছে পশ্চিম তীরে
ইসরাইলের অব্যাহত সামরিক হামলার জের
মাহের আল নাদিন, পেশায় একজন ক্লিনার বললেন, তিনি তাপুজিনা আর কিনবেন না। কমলার গন্ধ সুরভিত ইসরাইলী প্রস্তুত তাপুজিনা জুসটি স্থানীয়ভাবে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া এই ব্র্যান্ডের দুগ্ধজাত সামগ্রী ভবিষ্যতে আর না কেনারও দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নাদিন। তিনি বলছেন, এটা একমাত্র কাজ যা আমরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে করতে পারি। ফিলিস্তিনী ভূখ- গাজা লক্ষ্য করে পরিচালিত ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ফিলিস্তিনী নিয়ন্ত্রিত অপর ভূখ- পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনীরা গাজা আক্রমণের নীরব দর্শকমাত্র। রামাল্লাহর উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনীর বাস। ফিলিস্তিনীরা নেতৃত্ব এখন দুটি অংশে বিভক্ত। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ নিয়ন্ত্রণ করছে পশ্চিম তীর। অন্যদিকে গাজার গাজা নিয়ন্ত্রণ ইসলামপন্থী গ্রুপ হামাসের হাতে।
ফাতাহর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রয়েছে, পাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা। ফাতাহ রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলেও হামাস এই স্বীকৃতি দেয়নি। পশ্চিমা অনেক দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। হামাস কার্যত বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এবং আর্থিকভাবেও প্রচ- সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন বিরতিহীনভাবে চলছে গাজায় ইসরাইলের গোলাবর্ষণ। এর ফলে ফিলিস্তিনী গ্রুপ দুটোর মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব থাকলেও ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনীদের মধ্যে গাজাবাসীর প্রতি একাত্মতাবোধ তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আলআমারি থেকে পশ্চিম তীরের কালান্দিয়া চেক পয়েন্ট পর্যন্ত জায়গাজুড়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। কালান্দিয়া চেক পয়েন্ট জেরুসালেম থেকে রামাল্লাহকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের অনেকের পরনে ছিল কালো টি-শার্ট। যাতে লেখা ছিল ‘আমরা সবাই গাজাবাসী।’ অনেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সেøাগান। মিছিলকারীদের সঙ্গে ইসরাইলী পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ভৌগোলিকভাবে দুটো ফিলিস্তিনী ভূখ-ের মধ্যে যোগাযোগ না থাকলেও গাজার বর্তমান পরিস্থিতি উভয় অংশের ফিলিস্তিনীদের পারস্পরিক ঐক্যবোধ এনে দিয়েছে। বিষয়টি ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফাতাহ নেতৃত্বকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলতে পারে। মাত্র কিছুদিন আগেই ফাতাহর সঙ্গে হামাসের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল। যদিও এটি ছিল একটি শিথিল সমঝোতা কিন্তু সমঝোতার পর ফাতাহ প্রধান ও ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট আব্বাস যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কাছ থেকে চাপের মুখে পড়েছিলেন। সর্বশেষ গাজা হামলার ঘটনা ফাতাহকে দ্বিতীয়বারের মতো কোণঠাসা অবস্থায় ফেলেছে। পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা গাজার ফিলিস্তিনীদের এখন সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছে। যদিও এর আগে ফিলিস্তিনী গ্রুপ দুটোর মধ্যে একাধিকবার সশস্ত্র সংঘর্ষও হয়েছে।
-ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস
ফাতাহর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রয়েছে, পাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা। ফাতাহ রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলেও হামাস এই স্বীকৃতি দেয়নি। পশ্চিমা অনেক দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। হামাস কার্যত বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এবং আর্থিকভাবেও প্রচ- সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন বিরতিহীনভাবে চলছে গাজায় ইসরাইলের গোলাবর্ষণ। এর ফলে ফিলিস্তিনী গ্রুপ দুটোর মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব থাকলেও ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনীদের মধ্যে গাজাবাসীর প্রতি একাত্মতাবোধ তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আলআমারি থেকে পশ্চিম তীরের কালান্দিয়া চেক পয়েন্ট পর্যন্ত জায়গাজুড়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। কালান্দিয়া চেক পয়েন্ট জেরুসালেম থেকে রামাল্লাহকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের অনেকের পরনে ছিল কালো টি-শার্ট। যাতে লেখা ছিল ‘আমরা সবাই গাজাবাসী।’ অনেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সেøাগান। মিছিলকারীদের সঙ্গে ইসরাইলী পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ভৌগোলিকভাবে দুটো ফিলিস্তিনী ভূখ-ের মধ্যে যোগাযোগ না থাকলেও গাজার বর্তমান পরিস্থিতি উভয় অংশের ফিলিস্তিনীদের পারস্পরিক ঐক্যবোধ এনে দিয়েছে। বিষয়টি ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফাতাহ নেতৃত্বকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলতে পারে। মাত্র কিছুদিন আগেই ফাতাহর সঙ্গে হামাসের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল। যদিও এটি ছিল একটি শিথিল সমঝোতা কিন্তু সমঝোতার পর ফাতাহ প্রধান ও ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট আব্বাস যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কাছ থেকে চাপের মুখে পড়েছিলেন। সর্বশেষ গাজা হামলার ঘটনা ফাতাহকে দ্বিতীয়বারের মতো কোণঠাসা অবস্থায় ফেলেছে। পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা গাজার ফিলিস্তিনীদের এখন সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছে। যদিও এর আগে ফিলিস্তিনী গ্রুপ দুটোর মধ্যে একাধিকবার সশস্ত্র সংঘর্ষও হয়েছে।
-ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস
No comments:
Post a Comment