আরামবাগে কলেজছাত্রীর গায়ে অ্যাসিড
তুফান মণ্ডল: আরামবাগ, ২৮ জুলাই– বর্ধমানের শবনমের পর এবার অ্যাসিডে আক্রাম্ত আরামবাগের মৌমিতা৷ কলেজে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া অ্যাসিডে দগ্ধ ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্হ হয়ে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি৷ তাঁর ডান হাতের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গেছে৷ সোমবার কলেজে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের কালীপুরে৷ মৌমিতা চক্রবর্তী আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে বি এসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী৷ বাড়ি বাঁকুড়ার সোনামুখীতে হলেও আরামবাগে মামার বাড়িতে সপরিবার থাকেন তিনি৷ বাবা চণ্ডীচরণ চক্রবর্তী ব্যবসার পাশাপাশি জয়রামবাটিতে একটি আশ্রমে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন৷ মৌমিতা জানান, এদিনও বাসে করে কলেজে যাচ্ছিলেন৷ আরামবাগের কালীপুর বাস স্টপেজে নেমে হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় দুটি বাইকে চার যুবক তাঁর পিছু নেয়৷ তার পর তাঁর দিকে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে৷ কিন্তু মৌমিতা একটু ঘুরে যাওয়ায় ওই অ্যাসিড শুধুমাত্র তাঁর ডান হাতে লাগে৷ মৌমিতা জানান, ওদের চার জনের মুখ কাপড়ে বাঁধা ছিল৷ তাই কাউকেই চেনা সম্ভব হয়নি৷ এর পরই ওই রাস্তায় একজন বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন৷ যন্ত্রণাকাতর অবস্হায় মৌমিতা তাঁকে পুরো ঘটনা জানালে তিনিই তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে পৌঁছে দেন৷ যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৌমিতার দু-তিনজন সহপাঠিনী জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই এক যুবক তাঁকে উত্ত্যক্ত করত৷ কিন্তু মৌমিতা সে ব্যাপারে কোনও আগ্রহ দেখাননি৷ মৌমিতার মা জয়ম্তী চক্রবর্তী জানান, মাস দেড়েক আগে কলেজ থেকে ফেরার সময় আরামবাগ বাস স্ট্যান্ডে নিজের বোতলের জল খেয়ে ও বেহুঁশ হয়ে পড়েছিল৷ হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়৷ কলেজের অধ্যক্ষ ড. অসীমকুমার দে বলেন, ওই ছাত্রীর ক্ষেত্রে যে দুটি ঘটনা ঘটেছে তা কলেজের বাইরে৷ কলেজের মধ্যে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্হা আছে৷ অন্যদিকে আরামবাগের এস ডি পি ও শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, কীভাবে ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
তুফান মণ্ডল: আরামবাগ, ২৮ জুলাই– বর্ধমানের শবনমের পর এবার অ্যাসিডে আক্রাম্ত আরামবাগের মৌমিতা৷ কলেজে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া অ্যাসিডে দগ্ধ ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্হ হয়ে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি৷ তাঁর ডান হাতের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গেছে৷ সোমবার কলেজে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের কালীপুরে৷ মৌমিতা চক্রবর্তী আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে বি এসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী৷ বাড়ি বাঁকুড়ার সোনামুখীতে হলেও আরামবাগে মামার বাড়িতে সপরিবার থাকেন তিনি৷ বাবা চণ্ডীচরণ চক্রবর্তী ব্যবসার পাশাপাশি জয়রামবাটিতে একটি আশ্রমে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন৷ মৌমিতা জানান, এদিনও বাসে করে কলেজে যাচ্ছিলেন৷ আরামবাগের কালীপুর বাস স্টপেজে নেমে হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় দুটি বাইকে চার যুবক তাঁর পিছু নেয়৷ তার পর তাঁর দিকে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে৷ কিন্তু মৌমিতা একটু ঘুরে যাওয়ায় ওই অ্যাসিড শুধুমাত্র তাঁর ডান হাতে লাগে৷ মৌমিতা জানান, ওদের চার জনের মুখ কাপড়ে বাঁধা ছিল৷ তাই কাউকেই চেনা সম্ভব হয়নি৷ এর পরই ওই রাস্তায় একজন বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন৷ যন্ত্রণাকাতর অবস্হায় মৌমিতা তাঁকে পুরো ঘটনা জানালে তিনিই তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে পৌঁছে দেন৷ যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৌমিতার দু-তিনজন সহপাঠিনী জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই এক যুবক তাঁকে উত্ত্যক্ত করত৷ কিন্তু মৌমিতা সে ব্যাপারে কোনও আগ্রহ দেখাননি৷ মৌমিতার মা জয়ম্তী চক্রবর্তী জানান, মাস দেড়েক আগে কলেজ থেকে ফেরার সময় আরামবাগ বাস স্ট্যান্ডে নিজের বোতলের জল খেয়ে ও বেহুঁশ হয়ে পড়েছিল৷ হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়৷ কলেজের অধ্যক্ষ ড. অসীমকুমার দে বলেন, ওই ছাত্রীর ক্ষেত্রে যে দুটি ঘটনা ঘটেছে তা কলেজের বাইরে৷ কলেজের মধ্যে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্হা আছে৷ অন্যদিকে আরামবাগের এস ডি পি ও শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, কীভাবে ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
No comments:
Post a Comment