তৃণমূলের নেতাদের জন্যই রাজ্য জুড়ে শিল্প-কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হচ্ছে: বিমান
অলক সরকার: শিলিগুড়ি, ২৫ জুলাই– তৃণমূল নেতাদের জন্যই রাজ্য জুড়ে শিল্প-কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করলেন সি পি এমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু৷ আলিপুরদুয়ার জেলা হওয়ার ফলে দলের জেলা কমিটিও দু’ভাগ করেছে সি পি এম৷ সে-কারণেই বিমান বসু জলপাইগুড়ি এসেছিলেন৷ শুক্রবার সকালে কলকাতা ফেরার আগে সাংবাদিকদের কাছে বিমান বলেন, ‘কয়লাখনি বা শিল্প-কারখানার ঝাঁপি বন্ধ হচ্ছে, সব ক্ষেত্রেই মূল দায়িত্ব থাকছে তৃণমূলের জেলা নেতা এবং তৃণমূলের শ্রমিক নেতার৷ তার পরের দায় মালিক পক্ষের৷ সরকার থাকছে নির্বাক ও নিশ্চুপ৷ রাজ্য সরকার কোনও দায়িত্ব পালন করছে না৷ এদের কাজ হচ্ছে তৃণমূলের নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী চেহারা কীভাবে আড়াল করা যায়৷ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হলে, আক্রমণ হলে, প্রতিপক্ষ দলের ওপর হামলা হলে, আক্রমণ হলে সেটাকে কীভাবে ছোট করে দেখানো যায়, সেই কাজ করছে শুধু৷ রাজ্যে আগে গণতন্ত্র ছিল বলে এই সরকার এসেছে৷ কিন্তু এখন গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরা হচ্ছে৷ নির্বাচিত সদস্যদের জোর করে পদত্যাগ করতে বলছে৷ ভয়-ভীতি সন্ত্রাস দেখাচ্ছে৷ এটা গণতন্ত্রের রীতিনীতি নয়৷’ কোলিয়ারি প্রসঙ্গ ওঠায় বিমান বসু এ-সব কথা বলেন৷ এদিন বি জে পি-কেও এক হাত নেন বিমান বসু৷ বলেন, বি জে পি দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছে৷ মোরাদাবাদ, বেঙ্গালুরু এ-সব জায়গায় ছোট ছোট সাম্প্রদায়িক সঙঘর্ষের ঘটনা ঘটছে৷ বি জে পি সরকার সেগুলো উপভোগ করছে!
রাজ্যে স্বৈরাচারী সরকার চলছে: বিমান
রাজ্যে স্বৈরাচারী সরকার চলছে৷ শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি সবই ধংসের পথে৷ তাই চুপ করে বসে থাকলে হবে না৷ মানুষকে পাশে নিয়ে কাজ করতে হবে৷ শুক্রবার তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে বামফ্রন্টের অবস্হান-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ কথা বললেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার যদি ঠিক সময় হস্তক্ষেপ করত তা হলে ই সি এল বা শ্যাম স্টিলের মতো ঘটনা ঘটত না৷ খুন, সন্ত্রাস, তোলাবাজির মতো ঘটনার মোকাবিলা করতে সরকার ব্যর্থ৷ বিমানবাবু দাবি করেন, যাদের ঘরছাড়া করা হয়েছে, ঘর ভেঙে বা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে৷ শাসক দলের দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড করে বেড়াচ্ছে৷ সরকার এর দায় এড়াতে পারে না৷ তাঁর দাবি, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে সরকার ব্যর্থ৷ শাসকদলের লোকেদের বিরুদ্ধে থাকা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হলেও বিরোধীদের ওপর থাকা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি৷ সরকারের উচিত এই মামলা প্রত্যাহার করা৷ দলের বিধায়ক ও নেতা, কর্মীদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকারে এসেছে ঠিকই, কিন্তু বিরোধীরা যে-সব জায়গায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তাঁদের জোর করে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ পুরসভা, গ্রামপঞ্চায়েত দখল নিচ্ছে৷
অলক সরকার: শিলিগুড়ি, ২৫ জুলাই– তৃণমূল নেতাদের জন্যই রাজ্য জুড়ে শিল্প-কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করলেন সি পি এমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু৷ আলিপুরদুয়ার জেলা হওয়ার ফলে দলের জেলা কমিটিও দু’ভাগ করেছে সি পি এম৷ সে-কারণেই বিমান বসু জলপাইগুড়ি এসেছিলেন৷ শুক্রবার সকালে কলকাতা ফেরার আগে সাংবাদিকদের কাছে বিমান বলেন, ‘কয়লাখনি বা শিল্প-কারখানার ঝাঁপি বন্ধ হচ্ছে, সব ক্ষেত্রেই মূল দায়িত্ব থাকছে তৃণমূলের জেলা নেতা এবং তৃণমূলের শ্রমিক নেতার৷ তার পরের দায় মালিক পক্ষের৷ সরকার থাকছে নির্বাক ও নিশ্চুপ৷ রাজ্য সরকার কোনও দায়িত্ব পালন করছে না৷ এদের কাজ হচ্ছে তৃণমূলের নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী চেহারা কীভাবে আড়াল করা যায়৷ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হলে, আক্রমণ হলে, প্রতিপক্ষ দলের ওপর হামলা হলে, আক্রমণ হলে সেটাকে কীভাবে ছোট করে দেখানো যায়, সেই কাজ করছে শুধু৷ রাজ্যে আগে গণতন্ত্র ছিল বলে এই সরকার এসেছে৷ কিন্তু এখন গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরা হচ্ছে৷ নির্বাচিত সদস্যদের জোর করে পদত্যাগ করতে বলছে৷ ভয়-ভীতি সন্ত্রাস দেখাচ্ছে৷ এটা গণতন্ত্রের রীতিনীতি নয়৷’ কোলিয়ারি প্রসঙ্গ ওঠায় বিমান বসু এ-সব কথা বলেন৷ এদিন বি জে পি-কেও এক হাত নেন বিমান বসু৷ বলেন, বি জে পি দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছে৷ মোরাদাবাদ, বেঙ্গালুরু এ-সব জায়গায় ছোট ছোট সাম্প্রদায়িক সঙঘর্ষের ঘটনা ঘটছে৷ বি জে পি সরকার সেগুলো উপভোগ করছে!
রাজ্যে স্বৈরাচারী সরকার চলছে: বিমান
রাজ্যে স্বৈরাচারী সরকার চলছে৷ শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি সবই ধংসের পথে৷ তাই চুপ করে বসে থাকলে হবে না৷ মানুষকে পাশে নিয়ে কাজ করতে হবে৷ শুক্রবার তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে বামফ্রন্টের অবস্হান-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ কথা বললেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার যদি ঠিক সময় হস্তক্ষেপ করত তা হলে ই সি এল বা শ্যাম স্টিলের মতো ঘটনা ঘটত না৷ খুন, সন্ত্রাস, তোলাবাজির মতো ঘটনার মোকাবিলা করতে সরকার ব্যর্থ৷ বিমানবাবু দাবি করেন, যাদের ঘরছাড়া করা হয়েছে, ঘর ভেঙে বা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে৷ শাসক দলের দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড করে বেড়াচ্ছে৷ সরকার এর দায় এড়াতে পারে না৷ তাঁর দাবি, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে সরকার ব্যর্থ৷ শাসকদলের লোকেদের বিরুদ্ধে থাকা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হলেও বিরোধীদের ওপর থাকা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি৷ সরকারের উচিত এই মামলা প্রত্যাহার করা৷ দলের বিধায়ক ও নেতা, কর্মীদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকারে এসেছে ঠিকই, কিন্তু বিরোধীরা যে-সব জায়গায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তাঁদের জোর করে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ পুরসভা, গ্রামপঞ্চায়েত দখল নিচ্ছে৷
No comments:
Post a Comment