Tuesday, July 1, 2014

মাদারীপুরে কালীমন্দিরের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ মামলা তুলে নিতে হুমকি

মাদারীপুরে কালীমন্দিরের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ
মামলা তুলে নিতে হুমকি
নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১ জুলাই ॥ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া বাজারে অবস্থিত কালীমন্দিরের জায়গা দখল করে দুই কক্ষবিশিষ্ট দোকানঘর নির্মাণ করেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এ ছাড়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাকি জায়গা দোকান তৈরির জন্য ভিটি বরাদ্দ দেয়ারও প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করলে মন্দিরের জাগয়া রক্ষার্থে যারা মামলা করেছেন ও ভিটি বাণিজ্যের প্রতিবাদ করছেন তাদের মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে উদাসীন রয়েছেন। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের কাছে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মন্দির কমিটির সভাপতিসহ স্থানীয় ৬ জন আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) জাহিদ ইকবাল গত ১৯ জানুয়ারি কালীমন্দিরের সীমানা নির্ধারণে মাদারীপুর সদরের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ প্রদান করেন। এ ছাড়া কবির খন্দকার ও খন্দকার হাফেজ আলীকে জমির পরিমাপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যে কোন ধরণের ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এই নির্দেশ অমান্য করে পনের দিন আগে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকা দোকানঘর নির্মাণ করে প্রভাবশালীরা।
মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে বিবাদী করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আদালতে বিচারধীন রয়েছে। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ভানু লাল সরকার বলেন, আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালত থেকে স্থিতাবস্থা রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। অথচ মন্দিরের জায়গার মধ্যে বাজারে দেড় থেকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ভিটি বাণিজ্য করা হচ্ছে। প্রভাবশালীরা সেখানে আরও দোকানপাট ও ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করছে।
সোমবার বিষয়টি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে মারধর করতে আসে। ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মোবাইলে শ্রীনদী পুলিশ ক্যাম্পে জানান। পুলিশ এসে আমাদের রক্ষা করে। জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ জানান, বিষয়টি আরডিসির কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মন্দিরের বা সরকারী কোন জমিই কাউকে অবৈধভাবে দখল করতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে আরডিসি জাহিদ ইকবাল জানান, ওই জমিতে কোন ঘর বা স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তা ইউনিয়ন তহসিলদার জানাবেন। তবে এখনও তিনি কিছু জানায়নি। তারপরও যদি সেখানে কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয় তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html

No comments:

Post a Comment