সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি ও শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি
অর্থপাচার রোধ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদেশে অর্থপাচার বন্ধে সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করা এবং এ যাবত পাচারকৃত অর্থের ব্যাপারে সরকারকে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ইক্যুইটিবিডি। একই সঙ্গে অর্থপাচার রোধে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক দোষারোপের বদলে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তাঁরা।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় ইক্যুইটিবিডিসহ ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে অনলাইন নলেজ সোসাইটি, অর্পণ, ইক্যুইটিবিডি, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, এমকেএস, কিষাণী সভা, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ, জাতীয় শ্রমিক জোট, ডেভেলপমেন্ট সিনার্জি ইনস্টিটটিউট, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতি ও শংসপ্তক ও সমাজ।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন ইক্যুইটিবিডির মোস্তফা কামাল আকন্দ ও সৈয়দ আমিনুল হক, ভূমিহীন সমিতির সুবল সরকার, বাংলাদেশ কৃষি-ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল এবং ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী। সংগঠনের নেতারা বলেন, রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশের ব্যাংকসমূহে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে সেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। পাচারকারীদের ব্যাংক হিসেবের তথ্য চাইতে হবে।
ইক্যুইটিবিডির সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, বিদেশী টাকা দেশে ফেরত এনে রাজস্ব আদায় করতে হবে এবং যারা বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি খুলে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে টাকা পাঠানোর চেয়ে অনৈতিক অর্থপাচার বেশি সহজ। তাদের কোনও আইনকানুনের তোয়াক্কা করতে হয় না। ২০১৩ সালের শেষে বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে টাকা জমানোর হার বেড়েছে আগের বছরের ৬২%। কানাডা ও মালয়েশিয়াতেও বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে।
ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) নীতিমালা অনুযায়ী সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশকে ২০০৭ সালে ডাবল ট্যাক্সিং এভয়ডেন্স এগ্রিমেন্ট (ডিটিএএ) করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শক্ত আইন এবং যেসব দেশে অর্থ পাচার করা হয় সেসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এই অনৈতিক অর্থপাচার হ্রাস করতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বোধ না করবেন, ততক্ষণ এই অর্থপাচার বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতপূর্ণ রাজনীতির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে তার প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে পারেন।
বাংলাদেশ কৃষি-ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের গোলাম সারওয়ার বলেন, আমাদের দেশের দরিদ্র প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশ থেকে কষ্টার্জিত টাকা পাঠাচ্ছেন, আর আমাদের দরিদ্রতর গার্মেণ্টস শ্রমিক নারীরা রক্ত পানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আনছেন, যা দ্বারা পুষ্ট হচ্ছে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আর এই অর্থ যথেচ্ছ ও অনৈতিকভাবে পাচার করে যাচ্ছে এই দেশের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ আমলা আর রাজনৈতিক নেতারা। দেশকে তাঁরা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় ইক্যুইটিবিডিসহ ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে অনলাইন নলেজ সোসাইটি, অর্পণ, ইক্যুইটিবিডি, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, এমকেএস, কিষাণী সভা, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ, জাতীয় শ্রমিক জোট, ডেভেলপমেন্ট সিনার্জি ইনস্টিটটিউট, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতি ও শংসপ্তক ও সমাজ।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন ইক্যুইটিবিডির মোস্তফা কামাল আকন্দ ও সৈয়দ আমিনুল হক, ভূমিহীন সমিতির সুবল সরকার, বাংলাদেশ কৃষি-ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল এবং ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী। সংগঠনের নেতারা বলেন, রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশের ব্যাংকসমূহে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে সেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। পাচারকারীদের ব্যাংক হিসেবের তথ্য চাইতে হবে।
ইক্যুইটিবিডির সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, বিদেশী টাকা দেশে ফেরত এনে রাজস্ব আদায় করতে হবে এবং যারা বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি খুলে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে টাকা পাঠানোর চেয়ে অনৈতিক অর্থপাচার বেশি সহজ। তাদের কোনও আইনকানুনের তোয়াক্কা করতে হয় না। ২০১৩ সালের শেষে বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে টাকা জমানোর হার বেড়েছে আগের বছরের ৬২%। কানাডা ও মালয়েশিয়াতেও বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে।
ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) নীতিমালা অনুযায়ী সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশকে ২০০৭ সালে ডাবল ট্যাক্সিং এভয়ডেন্স এগ্রিমেন্ট (ডিটিএএ) করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শক্ত আইন এবং যেসব দেশে অর্থ পাচার করা হয় সেসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এই অনৈতিক অর্থপাচার হ্রাস করতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বোধ না করবেন, ততক্ষণ এই অর্থপাচার বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতপূর্ণ রাজনীতির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে তার প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে পারেন।
বাংলাদেশ কৃষি-ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের গোলাম সারওয়ার বলেন, আমাদের দেশের দরিদ্র প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশ থেকে কষ্টার্জিত টাকা পাঠাচ্ছেন, আর আমাদের দরিদ্রতর গার্মেণ্টস শ্রমিক নারীরা রক্ত পানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আনছেন, যা দ্বারা পুষ্ট হচ্ছে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আর এই অর্থ যথেচ্ছ ও অনৈতিকভাবে পাচার করে যাচ্ছে এই দেশের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ আমলা আর রাজনৈতিক নেতারা। দেশকে তাঁরা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment