বিজেপির উপর নজরদারি চালায় আমেরিকা: স্নোডেন
ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি: ২০১০ সালে এক মার্কিন আদালতের কাছ থেকেই বিভিন্ন দেশের মোট ছ'টি রাজনৈতিক দলের উপর গোপন নজরদারি চালানোর অনুমতি পেয়েছিল মার্কিন সুরক্ষা সংস্থা 'ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি' (এনএসএ), এবং সেই তালিকায় বিজেপিরও নাম ছিল৷ এনএসএ-র প্রাক্তন কর্মচারী এডোয়ার্ড স্নোডেনের কাছ থেকে পাওয়া গোপন নথি প্রকাশ করে মঙ্গলবার এ কথাই জানাল আমেরিকার সংবাদপত্র 'ওয়াশিংটন পোস্ট'৷ উল্লেখ্য, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বে এনএসএ গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে, এ কথা ফাঁস করার পর ৩০ বছর বয়সি স্নোডেন আপাতত দেশ ছেড়ে রাশিয়া সরকারের আশ্রয়ে রয়েছেন৷
এর পাশাপাশি, সে বছর ভারত-সহ মোট ১৯৩টি দেশের সরকার এবং বিভিন্ন অ-মার্কিন সংস্থা ও সংগঠনের উপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর ছাড়পত্রও ওই আদালতের (ফরেন ইনটেলিজেন্স সারভেল্যান্স কোর্ট) থেকে আদায় করেছিল এনএসএ৷ ওয়াশিংটন পোস্ট লিখছে, 'বাস্তবে কোনও দেশই এনএসএ-র নজরদারির বাইরে ছিল না৷ চারটি দেশ (ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ড) বাদ দিয়ে অন্য সব দেশের দারুণ গোপন তথ্যটিও মুঠোয় পোরার অধিকার তাদের ছিল৷'
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, 'স্নোডেন হংকং পৌঁছনোর পর থেকেই কিছু আকর্ষণীয় তথ্য সামনে আনছেন৷ এখন তো দেশে এনডিএ সরকার এসেছে৷ ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত নথি আসল হলে এই সরকারের উচিত মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে কথাবার্তা বলা৷ কী কারণে এমনটা করা হয়েছিল, সেটা এখন জানা জরুরি৷' তবে বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
খবরে প্রকাশিত, বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংস্থা, যেমন বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র উপরেও এনএসএ-র নজরদারির চালানোকে অনুমোদন দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মার্কিন আদালত৷ তবে ওয়াশিংটন পোস্ট এ-ও লিখেছে, 'বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার উপর নজরদারির অধিকার পেলেও এনএস আবশ্যিক ভাবেই সেই অধিকার আবশ্যিক ভাবে প্রয়োগ করেছিল, এমনটা না-ও হতে পারে ৷' উল্লেখ্য, ওই নথিতে বিজেপি ছাড়া বাকি যে রাজনৈতিক দলগুলির নাম রয়েছে তারা হল, লেবাননের 'আমাল', ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান কন্টিনেন্টাল কোঅর্ডিনেটর, মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইজিপশিয়ান ন্যাশনাল স্যালভেশন৷ অভিযোগের আঙুল যাদের দিকে, সেই এনএসএ-র মুখপাত্র ভানি ভাইনসের দায়সারা মন্তব্য, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জাতীয় সুরক্ষা বিষয়ক ডিরেক্টর এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের সংস্থা বিদেশি তথ্য সংগ্রহ করে৷ এ কাজে গোয়েন্দা-তথ্য সংক্রান্ত সরকারি অগ্রাধিকারের মানদণ্ড (ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স প্রায়োরিটিজ ফ্রেমওয়ার্ক) মেনেই কাজ করা হয়৷'
এর পাশাপাশি, সে বছর ভারত-সহ মোট ১৯৩টি দেশের সরকার এবং বিভিন্ন অ-মার্কিন সংস্থা ও সংগঠনের উপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর ছাড়পত্রও ওই আদালতের (ফরেন ইনটেলিজেন্স সারভেল্যান্স কোর্ট) থেকে আদায় করেছিল এনএসএ৷ ওয়াশিংটন পোস্ট লিখছে, 'বাস্তবে কোনও দেশই এনএসএ-র নজরদারির বাইরে ছিল না৷ চারটি দেশ (ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ড) বাদ দিয়ে অন্য সব দেশের দারুণ গোপন তথ্যটিও মুঠোয় পোরার অধিকার তাদের ছিল৷'
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, 'স্নোডেন হংকং পৌঁছনোর পর থেকেই কিছু আকর্ষণীয় তথ্য সামনে আনছেন৷ এখন তো দেশে এনডিএ সরকার এসেছে৷ ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত নথি আসল হলে এই সরকারের উচিত মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে কথাবার্তা বলা৷ কী কারণে এমনটা করা হয়েছিল, সেটা এখন জানা জরুরি৷' তবে বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
খবরে প্রকাশিত, বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংস্থা, যেমন বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র উপরেও এনএসএ-র নজরদারির চালানোকে অনুমোদন দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মার্কিন আদালত৷ তবে ওয়াশিংটন পোস্ট এ-ও লিখেছে, 'বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার উপর নজরদারির অধিকার পেলেও এনএস আবশ্যিক ভাবেই সেই অধিকার আবশ্যিক ভাবে প্রয়োগ করেছিল, এমনটা না-ও হতে পারে ৷' উল্লেখ্য, ওই নথিতে বিজেপি ছাড়া বাকি যে রাজনৈতিক দলগুলির নাম রয়েছে তারা হল, লেবাননের 'আমাল', ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান কন্টিনেন্টাল কোঅর্ডিনেটর, মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইজিপশিয়ান ন্যাশনাল স্যালভেশন৷ অভিযোগের আঙুল যাদের দিকে, সেই এনএসএ-র মুখপাত্র ভানি ভাইনসের দায়সারা মন্তব্য, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জাতীয় সুরক্ষা বিষয়ক ডিরেক্টর এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের সংস্থা বিদেশি তথ্য সংগ্রহ করে৷ এ কাজে গোয়েন্দা-তথ্য সংক্রান্ত সরকারি অগ্রাধিকারের মানদণ্ড (ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স প্রায়োরিটিজ ফ্রেমওয়ার্ক) মেনেই কাজ করা হয়৷'
http://eisamay.indiatimes.com/nation/US-Intelligence-keeps-track-of-BJP-claims-Washington-Post/articleshow/37591122.cms
No comments:
Post a Comment