গাজা সীমান্ত ডেড জোন
নিহতের সংখ্যা ৮ শ’ ছাড়াল ॥ এদের ৮০ শতাংশ বেসামরিক লোক, এক-চতুর্থাংশ শিশু
ফিলিস্তিনী ভূখণ্ড গাজা লক্ষ্য করে পরিচালিত ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ বন্ধের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইসরাইল এখন গাজার দীর্ঘ পূর্ব সীমান্ত জুড়ে এক মাইল প্রশস্ত ‘ডেড জোন’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজেও এগিয়ে গেছে ইসরাইল। খবর এএফপি, টেলিগ্রাফ ও বিবিসি অনলাইনের।
গাজার দীর্ঘ পূর্ব সীমান্তে বিশাল এলাকায় এখন শুধু ইসরাইলী ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন চোখে পড়ে। এখানে দোকানপাট বেশিরভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে। যেগুলো আছে সেগুলো বন্ধ থাকছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজেদের এখন বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আরবীতে লেখা লিফলেট বিতরণ করেছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে এলাকা জুড়ে। ইসরাইলের দাবি, তারা গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী গ্রুপ হামাসের রকেট নিক্ষেপ বন্ধ ও সেখান থেকে ইসরাইলে ঢোকার সব সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে দিতে বদ্ধপরিকর। ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, ১৮ দিনের ইসরাইলের উপর্যুপরি বিমান ও স্থল হামলায় ৮ শতাধিক ফিলিস্তিনী প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইলের দিকে এই সংখ্যা ৩২ জন। গাজাভিত্তিক মানবাধিকার গ্রুপ প্যালেস্টেনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের ৮০ শতাংশ বেসামরিক লোক এবং তাদের এক চতুর্থাংশই শিশু। হামাসের তরফ থেকে রকেট হামলাকে কারণ দেখিয়ে এ মাসের ৮ তারিখ থেকে সামরিক হামলা শুরু করে ইসরাইল। জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক সংস্থার প্রধান ভ্যালেরি আমোস বৃহস্পতিবার বলেছেন, গাজা পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে অস্ত্রবিরতি সেখানে অত্যাবশ্যক।
তবে আইডিএফের বিতরণ করা লিফলেটে এ কথাও বলা হয়েছে যে এই লড়াই সাময়িক এবং প্রত্যেকে নিজ বাড়িঘরে ফিরতে পারবে। গাজা লক্ষ্য করে পরিচালিত ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ শুরুর এক সপ্তাহ পর শুরু হয়েছিল স্থল আক্রমণ। এর পর থেকে প্রতিদিন বিরতিহীনভাবে চলছে গাজায় ইসরাইলের গোলাবর্ষণ। আর সেই সঙ্গে প্রতিদিন বাড়ছে আহত-নিহতের সংখ্যা। গত ছয় বছরে এটি গাজা উপত্যকায় তৃতীয় রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনা। প্রতিবার সংঘাতের পর একটি অস্ত্রবিরতি হলেও তা লড়াই বন্ধে স্থায়ী হতে পারেনি। উপত্যকাটি মূলত ঘনবসতিপূর্ণ একটি জায়গা। এর অনেক এলাকা ইতোমধ্যেই জনমানবহীন হয়ে পড়েছে। গাজা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বানি সুহেইলায় রয়েছে একটি বাজার। স্বাভাবিকভাবে বাজার এলাকা যে রকম কোলাহলপূর্ণ থাকে তার কিছুই এখন সেখানে চোখে পড়ে না। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
কারণ এটি এখন ইসরাইলের একতরফা ঘোষিত ডেড জোনের মধ্যে পড়েছে। ইসরাইলের গাজা হামলা শুরুর পর বহু মানুষ এসে ওই শহরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরাইলের ডেড জোন সম্প্রসারিত করার ঘোষণা শহরের বাসিন্দাদের নতুন করে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তাদের অনেককে এখন দক্ষিণের আরেকটি বড় শহর খান ইউনুসে সরে যেতে হতে পারে। সীমান্তে আধ মাইলের মধ্যে অবস্থিত আবাসান শহর থেকে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে সুহেইলায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন আবু লাতিফা নামে ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা। আবাসানে তাদের বাসভবন ইসরাইলের গোলার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছিল। তিনি বলছেন, তাদের এখন ফের নতুন করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে হবে।
গাজার দীর্ঘ পূর্ব সীমান্তে বিশাল এলাকায় এখন শুধু ইসরাইলী ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন চোখে পড়ে। এখানে দোকানপাট বেশিরভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে। যেগুলো আছে সেগুলো বন্ধ থাকছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজেদের এখন বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আরবীতে লেখা লিফলেট বিতরণ করেছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে এলাকা জুড়ে। ইসরাইলের দাবি, তারা গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী গ্রুপ হামাসের রকেট নিক্ষেপ বন্ধ ও সেখান থেকে ইসরাইলে ঢোকার সব সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে দিতে বদ্ধপরিকর। ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, ১৮ দিনের ইসরাইলের উপর্যুপরি বিমান ও স্থল হামলায় ৮ শতাধিক ফিলিস্তিনী প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইলের দিকে এই সংখ্যা ৩২ জন। গাজাভিত্তিক মানবাধিকার গ্রুপ প্যালেস্টেনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের ৮০ শতাংশ বেসামরিক লোক এবং তাদের এক চতুর্থাংশই শিশু। হামাসের তরফ থেকে রকেট হামলাকে কারণ দেখিয়ে এ মাসের ৮ তারিখ থেকে সামরিক হামলা শুরু করে ইসরাইল। জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক সংস্থার প্রধান ভ্যালেরি আমোস বৃহস্পতিবার বলেছেন, গাজা পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে অস্ত্রবিরতি সেখানে অত্যাবশ্যক।
তবে আইডিএফের বিতরণ করা লিফলেটে এ কথাও বলা হয়েছে যে এই লড়াই সাময়িক এবং প্রত্যেকে নিজ বাড়িঘরে ফিরতে পারবে। গাজা লক্ষ্য করে পরিচালিত ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ শুরুর এক সপ্তাহ পর শুরু হয়েছিল স্থল আক্রমণ। এর পর থেকে প্রতিদিন বিরতিহীনভাবে চলছে গাজায় ইসরাইলের গোলাবর্ষণ। আর সেই সঙ্গে প্রতিদিন বাড়ছে আহত-নিহতের সংখ্যা। গত ছয় বছরে এটি গাজা উপত্যকায় তৃতীয় রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনা। প্রতিবার সংঘাতের পর একটি অস্ত্রবিরতি হলেও তা লড়াই বন্ধে স্থায়ী হতে পারেনি। উপত্যকাটি মূলত ঘনবসতিপূর্ণ একটি জায়গা। এর অনেক এলাকা ইতোমধ্যেই জনমানবহীন হয়ে পড়েছে। গাজা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বানি সুহেইলায় রয়েছে একটি বাজার। স্বাভাবিকভাবে বাজার এলাকা যে রকম কোলাহলপূর্ণ থাকে তার কিছুই এখন সেখানে চোখে পড়ে না। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
কারণ এটি এখন ইসরাইলের একতরফা ঘোষিত ডেড জোনের মধ্যে পড়েছে। ইসরাইলের গাজা হামলা শুরুর পর বহু মানুষ এসে ওই শহরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরাইলের ডেড জোন সম্প্রসারিত করার ঘোষণা শহরের বাসিন্দাদের নতুন করে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তাদের অনেককে এখন দক্ষিণের আরেকটি বড় শহর খান ইউনুসে সরে যেতে হতে পারে। সীমান্তে আধ মাইলের মধ্যে অবস্থিত আবাসান শহর থেকে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে সুহেইলায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন আবু লাতিফা নামে ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা। আবাসানে তাদের বাসভবন ইসরাইলের গোলার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছিল। তিনি বলছেন, তাদের এখন ফের নতুন করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে হবে।
No comments:
Post a Comment