এমপিআর কার্ডে বাংলাদেশি বাছাই করতে চান রাজনাথ
গৌতম হোড়
নয়াদিল্লি: নিজের সরকারের কাছেই পি চিদম্বরম হেরে গিয়েছিলেন৷ অনেক লড়াই করেও আধার কার্ডের বদলে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার বা এনপিআর চালু করতে পারেননি চিদম্বরম৷
মনমোহন-মন্টেক-নন্দন নীলেকানিরা আধার কার্ডকেই যাবতীয় গুরুত্ব দিয়ে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারকে একেবারে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত রাজনাথ সিং জিতলেন৷ আধার কার্ডকে গুরুত্বহীন করে এনপিআরকে গুরুত্ব দিতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ আর সেই এনপিআরের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিতকরণের কাজটাও৷ সে জন্য মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন রাজনাথ৷ সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ অফিসাররা তো থাকবেনই, সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রতিনিধিরাও থাকবেন৷ তাঁদের থেকেও জনসংখ্যা রেজিস্টার নিয়ে মতামত নেবেন রাজনাথ৷ তিন বছরের মধ্যে এনপিআর চালু করতে বদ্ধপরিকর তিনি৷ প্রথম থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মত, এনপিআরে যে কার্ড দেওয়া হবে, তার ভিত্তিতেই ভোট দেওয়া যাবে৷ এটি চালু হলে এপিক কার্ডও গুরুত্ব পাবে না৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, বাংলাদেশি চিহ্নিতকরণের কাজটাও এনপিআরের মাধ্যমে হয়ে যাবে৷ কারণ এনপিআরে নাম না থাকলে বোঝা যাবে সেই ব্যক্তি দেশের নাগরিক নয়৷ তখন তদন্ত করে চিহ্নিত করা হবে, তিনি আদতে কোন দেশের লোক৷ ফলে এনপিআর-এ যাতে বাংলাদেশিদের নাম না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ সে ব্যাপারেও রাজ্যের মতামত নেওয়া হবে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে কড়া হতে চান৷ অসম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচারের সময় এটাই ছিল বিজেপির অন্যতম বিষয়৷ তাই বিষয়টিকে এখন এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র৷ রাজনাথের নির্দেশ, এই রেজিস্টারের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করবেন যাঁদের নাম আছে, তারা সত্যিই ভারতীয় নাগরিক কি না৷ সে জন্য বার্থ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট-সহ নাগরিকত্বর যে ছ'টি প্রমাণপত্র আছে, তা দেখাতে হবে৷ তার পরই নাম এনপিআরে চূড়ান্তভাবে তোলা হবে৷ দিল্লির মতো বেশ কিছু শহরে এনপিআরের জন্য ছবি, হাতের আঙুলের ছাপ, চোখের ছবি নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ তবে কার্ড এখনও দেওয়া হয়নি৷ সবকিছু আরেকবার যাচাই করার পর কার্ড দেওয়া হবে৷
ইউপিএ সরকারের আমলে ঠিক হয়েছিল, আধার কার্ডের ভিত্তিতে যাবতীয় ভর্তুকি দেওয়া হবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার যা স্কলারশিপ, ভাতা, পেনশন দেয়, তা আধার কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে৷ কিছু কিছু রাজ্যে এই পরিকল্পনা কার্যকর হয়েছিল৷ দিল্লি ও হরিয়ানায় রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হতেও শুরু হয়েছিল৷ কিন্ত্ত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আধার কার্ডকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না৷ আধার কার্ড নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আগে থেকেই আপত্তি ছিল৷ মোদীর আমলে তাই আধার কার্ড নয়, এনপিআরকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য এনপিআরেও ব্যবহার করা হতে পারে৷ সে জন্য সেই তথ্যও চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷
নয়াদিল্লি: নিজের সরকারের কাছেই পি চিদম্বরম হেরে গিয়েছিলেন৷ অনেক লড়াই করেও আধার কার্ডের বদলে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার বা এনপিআর চালু করতে পারেননি চিদম্বরম৷
মনমোহন-মন্টেক-নন্দন নীলেকানিরা আধার কার্ডকেই যাবতীয় গুরুত্ব দিয়ে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারকে একেবারে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত রাজনাথ সিং জিতলেন৷ আধার কার্ডকে গুরুত্বহীন করে এনপিআরকে গুরুত্ব দিতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ আর সেই এনপিআরের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিতকরণের কাজটাও৷ সে জন্য মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন রাজনাথ৷ সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ অফিসাররা তো থাকবেনই, সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রতিনিধিরাও থাকবেন৷ তাঁদের থেকেও জনসংখ্যা রেজিস্টার নিয়ে মতামত নেবেন রাজনাথ৷ তিন বছরের মধ্যে এনপিআর চালু করতে বদ্ধপরিকর তিনি৷ প্রথম থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মত, এনপিআরে যে কার্ড দেওয়া হবে, তার ভিত্তিতেই ভোট দেওয়া যাবে৷ এটি চালু হলে এপিক কার্ডও গুরুত্ব পাবে না৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, বাংলাদেশি চিহ্নিতকরণের কাজটাও এনপিআরের মাধ্যমে হয়ে যাবে৷ কারণ এনপিআরে নাম না থাকলে বোঝা যাবে সেই ব্যক্তি দেশের নাগরিক নয়৷ তখন তদন্ত করে চিহ্নিত করা হবে, তিনি আদতে কোন দেশের লোক৷ ফলে এনপিআর-এ যাতে বাংলাদেশিদের নাম না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ সে ব্যাপারেও রাজ্যের মতামত নেওয়া হবে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে কড়া হতে চান৷ অসম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচারের সময় এটাই ছিল বিজেপির অন্যতম বিষয়৷ তাই বিষয়টিকে এখন এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র৷ রাজনাথের নির্দেশ, এই রেজিস্টারের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করবেন যাঁদের নাম আছে, তারা সত্যিই ভারতীয় নাগরিক কি না৷ সে জন্য বার্থ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট-সহ নাগরিকত্বর যে ছ'টি প্রমাণপত্র আছে, তা দেখাতে হবে৷ তার পরই নাম এনপিআরে চূড়ান্তভাবে তোলা হবে৷ দিল্লির মতো বেশ কিছু শহরে এনপিআরের জন্য ছবি, হাতের আঙুলের ছাপ, চোখের ছবি নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ তবে কার্ড এখনও দেওয়া হয়নি৷ সবকিছু আরেকবার যাচাই করার পর কার্ড দেওয়া হবে৷
ইউপিএ সরকারের আমলে ঠিক হয়েছিল, আধার কার্ডের ভিত্তিতে যাবতীয় ভর্তুকি দেওয়া হবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার যা স্কলারশিপ, ভাতা, পেনশন দেয়, তা আধার কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে৷ কিছু কিছু রাজ্যে এই পরিকল্পনা কার্যকর হয়েছিল৷ দিল্লি ও হরিয়ানায় রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হতেও শুরু হয়েছিল৷ কিন্ত্ত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আধার কার্ডকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না৷ আধার কার্ড নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আগে থেকেই আপত্তি ছিল৷ মোদীর আমলে তাই আধার কার্ড নয়, এনপিআরকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য এনপিআরেও ব্যবহার করা হতে পারে৷ সে জন্য সেই তথ্যও চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷
http://eisamay.indiatimes.com/nation/rajnath-will-start-to-sort-out-bangladeshis/articleshow/37559816.cms?
No comments:
Post a Comment