Tuesday, July 1, 2014

আত্মীয়দের ‘পাইয়ে দিতে’ই কি ই-রিকশায় সম্মতি, বিতর্কে নীতিন

আত্মীয়দের ‘পাইয়ে দিতে’ই কি ই-রিকশায় সম্মতি, বিতর্কে নীতিন

nitin-gadkari-file-pic-295
এই সময়, নয়াদিল্লি: ভি কে সিং, তার পর নিহালচন্দ মেঘওয়াল, আর এবার নীতিন গড়করি৷ এক মাসের মধ্যেই পর পর গুরুতর বিতর্কে জড়ালেন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার এই তিন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নীতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, মন্ত্রী হয়েই ই-রিকশাকে আইনি বৈধতা পাইয়ে দিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ তাঁর পরিবারের লোকজনেরাই ওই রিকশা উত্‍পাদনের সঙ্গে যুক্ত৷

ব্যাটারি চালিত এই রিকশাকে সম্প্রতি আইনসঙ্গত করার পাশাপাশি, এই রিকশা কিনতে মাত্র তিন শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন গড়করি৷ কিন্ত্ত এক সময় তাঁর প্রতিষ্ঠিত 'পূর্তি' সংস্থার (২০১১ পর্যন্ত নীতিন যার চেয়ারম্যান ছিলেন) সহযোগী কোম্পানি 'পূর্তি গ্রিন টেকনলজিস' এই ধরনের রিকশা বানাতে উদ্যোগী হয়েছে৷ আর এই কোম্পানির প্রধান হলেন নীতিনের শালা৷ এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে দিল্লিতে রীতিমতো আলোড়ন পরে যায়৷ কারণ, একজন মন্ত্রী কখনই তাঁর নিজের বা আত্মীয়দের সংস্থার উপকার বা বাণিজ্যিক লাভের জন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না৷ পরিবহন মন্ত্রীর অফিসের তরফে থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, নীতিন বা তাঁর পরিবারের কেউ ই-রিকশা বানানোর সঙ্গে যুক্ত নয়৷

বিজেপি-ও একটা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পূর্তি গ্রিন টেকনোলজির সঙ্গে নীতিন কোনও ভাবে জড়িত নন৷ দিল্লি-সহ বিভিন্ন জায়গায় দু'লাখ ই-রিকশা চলে৷ কোনও কোম্পানিকে এই রিকশা বানানোর সার্টিফিকেট দেওয়াটা পুরোপুরি সিএসআইআর (বিজ্ঞান ও শিল্পোদ্যোগ সম্পর্কিত গবেষণা পরিষদ) উপরেই নির্ভর করে৷

স্বাভাবিক ভাবেই, নীতিনের প্রবল সমালোচনা শুরু করেছে সনিয়ার দল৷ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, 'নীতিন আগে ব্যবসায়ী, তারপর রাজনীতিক৷' তাঁদের দাবি, গড়করি এমন 'অনুরোধ'ও করেছিলেন যে, গুণগত মান ভাল ও যাত্রীকে নিরাপত্তা দিতে পারবে, এমন ই-রিকশাই যেন সবাই কেনেন৷ এই মন্তব্যটাও 'বাণিজ্যিক ভাবে' তাত্‍পর্য্যপূর্ণ, বলছে কংগ্রেস৷ আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্য, 'পুরোপুরি বাণিজ্যিক স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত৷ নীতিনের পদত্যাগ চাই৷'

পূর্তি নিয়ে এর আগেও বিপাকে পড়েছিলেন নীতিন৷ সেই বিতর্কের জেরে তিনি দ্বিতীয়বার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পর্যন্ত হতে পারেননি৷ পূর্তির শেয়ারহোল্ডার এবং কাজের ধারা নিয়ে সে সময় প্রচুর প্রশ্ন উঠেছিল৷ সেই পূর্তিরই একটি শাখা কোম্পানি গড়করিকে আবার ঝামেলায় ফেলে দিল৷ এর পিছনে নীতিনের কোনও বাণিজ্যিক স্বার্থ নেই, এমন একটা দাবি বিজেপি করছে বটে৷ কিন্ত্ত বিতর্কের আঁচ তো তাতে মিইয়ে যাওয়ার নয়৷

No comments:

Post a Comment