বিচারপতিদের কেক-মিষ্টি পাঠিয়ে প্রশ্নের মুখেও নির্বিকারই সরকার
উত্সব-পরবে মিষ্টিমুখ করানো বাঙালির ঐতিহ্য৷ তাই বিচারপতিদের কেক-মিষ্টি পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকেও সরবে না রাজ্য সরকার৷ বিচারপতিদের এই ভাবে কেক-মিষ্টি পাঠানোকে বিরোধী শিবির 'অনৈতিক' বললেও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ সরকার৷ সোমবার বিধানসভায় এই মনোভাবই স্পষ্ট করলেন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ শুধু বিচারপতিদের কেক-মিষ্টি পাঠানোই নয়, সরকারি আইনজীবীদের ঢালাও ফি-বৃদ্ধি থেকে ন্যাশনাল জুরিডিক্যাল সায়েন্সে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে বিশিষ্ট আইনবিদ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়ের বদলে চিত্রকর শুভাপ্রসন্নকে পাঠানোর মধ্যেও কোনও অন্যায় দেখছেন না বিভাগীয় মন্ত্রী৷ চন্দ্রিমাদেবীর সাফ কথা, 'সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি কাকে করা হবে, তা একান্তই সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়৷' বিধানসভায় এ দিন আইন ও বিচার বিভাগের বাজেট-বরাদ্দ নিয়ে আলোচনার সময়ে বিচারপতিদের কেক পাঠানো নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র৷ চন্দ্রিমাদেবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'এটা কি ঠিক বিচারপতিদের কেক পাঠানো হয়েছে? এটা কি পাঠানো যায়?' কেবল কেক পাঠানোই নয়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির চিকিত্সার খরচ রাজ্য সরকার বহন করছে কি না, তা-ও জানতে চান সূর্যবাবু৷ বিচারপতিদের কাছে রাজ্য সরকারের এই ভাবে কেক-মিষ্টি পাঠানো সম্পূর্ণ অনৈতিক বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ বিরোধী দলনেতার বক্তব্য যে তাঁর মোটেই পছন্দ নয়, তা জবাবি ভাষণে বুঝিয়ে দেন মন্ত্রী৷ বিরোধী শিবিরের সমালোচনাকে তাঁরা যে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তা বোঝাতে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, 'কেক দেওয়া কিংবা মিষ্টিমুখ করানো বাংলার রীতি৷ উত্সব-অনুষ্ঠানে এটা দেওয়া যায়৷
এটা না দিলে তাঁরা আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসবেন কেন? তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করার কোনও জায়গা নেই৷ এটা সৌহার্দ্যের বিষয়৷' মন্ত্রীর এই যুক্তির সঙ্গে মোটেই একমত হননি বিরোধী দলনেতা৷ তাঁর দাবি, 'বিচারপতিদের কিছুই পাঠানো যায় না৷ এটা অনৈতিক৷ কোনটা সৌজন্য, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়৷' উল্টো দিকে হেঁটে বিচারপতিদের চিকিত্সার খরচ বহন করার মধ্যেও অবশ্য কোনও অন্যায় দেখছে না সরকারপক্ষ৷ আইনমন্ত্রীর যুক্তি, 'বিচারপতিদের বিল মেটানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের৷ এই সভার কোনও সদস্যও যদি অসুস্থ হন, তা হলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পাশে দাঁড়াবেন৷ এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার মানেই হয় না৷'
জুরিডিক্যাল সায়েন্সে শুভাপ্রসন্নকে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি করা নিয়ে চন্দ্রিমাদেবীর যুক্তি আরও চমকপ্রদ৷ যেখানে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রথিতযশা আইনবিদ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ছিলেন, সেই জায়গায় কী ভাবে একজন চিত্রশিল্পী আসেন--প্রশ্ন তোলেন সূর্যবাবু৷ আইনমন্ত্রী এর জবাবে বলেন,'আমি যদি স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন অবগত না থেকেও স্বাস্থ্য দপ্তর চালাতে পারি তা হলে শুভাপ্রসন্ন চিত্রশিল্পী হয়ে কেন জুরিডিক্যাল সায়েন্সে রাজ্যের প্রতিনিধি হতে পারবেন না৷' সরকারি আইনজীবীদের ফি নিয়েও প্রবল বিতণ্ডায় জড়ান দুই নেতা-নেত্রী৷ সরকারি মামলা লড়ে তৃণমূলের এক নেতা ৭০ লক্ষ টাকা ফি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সূর্যবাবু৷ মন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য, বাম আমল থেকে সরকারি আইনজীবীদের ফি বকেয়া থাকার ফলেই এই অঙ্ক হয়েছে৷ সরকারি আইনজীবীদের ফি বাড়ানোর মধ্যেও কোনও অন্যায় দেখছেন না মন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, 'অন্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যে আইনজীবীরা খুব কম টাকাই পান৷ তার উপর আপনারা ফি বকেয়া রাখতেন৷ এটা থেকেই বোঝা যায়, আইনজীবীদের কী মনে করতেন আপনারা?' জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ দ্রুত চালু হবে বলেও এ দিন জানিয়েছেন মন্ত্রী৷
এটা না দিলে তাঁরা আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসবেন কেন? তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করার কোনও জায়গা নেই৷ এটা সৌহার্দ্যের বিষয়৷' মন্ত্রীর এই যুক্তির সঙ্গে মোটেই একমত হননি বিরোধী দলনেতা৷ তাঁর দাবি, 'বিচারপতিদের কিছুই পাঠানো যায় না৷ এটা অনৈতিক৷ কোনটা সৌজন্য, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়৷' উল্টো দিকে হেঁটে বিচারপতিদের চিকিত্সার খরচ বহন করার মধ্যেও অবশ্য কোনও অন্যায় দেখছে না সরকারপক্ষ৷ আইনমন্ত্রীর যুক্তি, 'বিচারপতিদের বিল মেটানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের৷ এই সভার কোনও সদস্যও যদি অসুস্থ হন, তা হলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পাশে দাঁড়াবেন৷ এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার মানেই হয় না৷'
জুরিডিক্যাল সায়েন্সে শুভাপ্রসন্নকে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি করা নিয়ে চন্দ্রিমাদেবীর যুক্তি আরও চমকপ্রদ৷ যেখানে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রথিতযশা আইনবিদ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ছিলেন, সেই জায়গায় কী ভাবে একজন চিত্রশিল্পী আসেন--প্রশ্ন তোলেন সূর্যবাবু৷ আইনমন্ত্রী এর জবাবে বলেন,'আমি যদি স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন অবগত না থেকেও স্বাস্থ্য দপ্তর চালাতে পারি তা হলে শুভাপ্রসন্ন চিত্রশিল্পী হয়ে কেন জুরিডিক্যাল সায়েন্সে রাজ্যের প্রতিনিধি হতে পারবেন না৷' সরকারি আইনজীবীদের ফি নিয়েও প্রবল বিতণ্ডায় জড়ান দুই নেতা-নেত্রী৷ সরকারি মামলা লড়ে তৃণমূলের এক নেতা ৭০ লক্ষ টাকা ফি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সূর্যবাবু৷ মন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য, বাম আমল থেকে সরকারি আইনজীবীদের ফি বকেয়া থাকার ফলেই এই অঙ্ক হয়েছে৷ সরকারি আইনজীবীদের ফি বাড়ানোর মধ্যেও কোনও অন্যায় দেখছেন না মন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, 'অন্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যে আইনজীবীরা খুব কম টাকাই পান৷ তার উপর আপনারা ফি বকেয়া রাখতেন৷ এটা থেকেই বোঝা যায়, আইনজীবীদের কী মনে করতেন আপনারা?' জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ দ্রুত চালু হবে বলেও এ দিন জানিয়েছেন মন্ত্রী৷
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/state-governments-distribution-of-sweets/articleshow/37560769.cms?
No comments:
Post a Comment