Wednesday, July 2, 2014

১৫ রোজার মধ্যে মেরামতের নির্দেশ ॥ ঈদে নিরাপদ রাস্তা ০ ঈদের আগের সাত ও পরের তিন দিন মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকবে ০ এ মাসে রাজধানীতে সকল খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ ০ রেলের অগ্রিম টিকেটে নাম থাকবে

১৫ রোজার মধ্যে মেরামতের নির্দেশ ॥ ঈদে নিরাপদ রাস্তা
০ ঈদের আগের সাত ও পরের তিন দিন মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকবে 
০ এ মাসে রাজধানীতে সকল খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ 
০ রেলের অগ্রিম টিকেটে নাম থাকবে
রাজন ভট্টাচার্য ॥ ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারী-বেসরকারী পরিবহন প্রতিষ্ঠান, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়েছে। যাত্রীসহ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের তবুও দুশ্চিন্তা যেন কাটছেই না। মহাসড়ক, সড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক ১৫ রোজার মধ্যে মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সড়কের ২০০ ফুটের মধ্যে কোন হাট-বাজার নয়। ঈদের সাতদিন আগে ও ঈদের পরের তিনদিন পর্যন্ত মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকবে। যানজট রোধে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। নগরীর রাস্তা সংস্কারের জন্য সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সড়কপথে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল রুটের যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই নিশ্চিত। মহাসড়কে যানজট নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবহন মালিকরা। রেলপথে প্রধান চ্যালেঞ্জ ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখা ও টিকেট কালোবাজারি রোধ। লক্কড়ঝক্কড় লঞ্চ, বাড়তি যাত্রী তোলায় দুর্ঘটনার ভয় ও টিকেট পাওয়া নিয়ে নৌপথের যাত্রীদের উদ্বেগ রয়েই গেছে। এবারও প্রায় ৪০ লাখ অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাবে নৌপথে। ১২ রোজা থেকে বাসের অগ্রিম টিকেট পাবেন উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা। সব মিলিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও আসন্ন ঈদে ঘরে ফেরা প্রায় ৮০ লাখ মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
১৫ রোজার মধ্যে সড়ক-মহাসড়ক মেরামতের নির্দেশ ॥ সড়ক ও জনপথের ঢাকা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম সাহাবুদ্দিন খান জনকণ্ঠ’কে বলেন, ঈদ ও বর্ষার জন্য রাস্তা দ্রুত মেরামতের প্রয়োজনে ইতোমধ্যে সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ১৫ রোজার মধ্যে সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক রাস্তা মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই প্রকৌশলী জানান, রোজার আগে থেকে রাস্তা মেরামত শুরু হয়েছে। কিন্তু গেল ১৫ দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামত চলছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসড়কের দু’পাশে ২০০ ফুটের মধ্যে দোকানসহ হাটবাজার বসতে পারবে না। রাজধানী ঢাকার বিশেষ এলাকার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। এ জন্য হাইওয়ে পুলিশসহ ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা আছে। ঈদের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ১১ জুলাই শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় আবারও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ঈদের এক সপ্তাহ আগে।
উত্তরাঞ্চলের বাসের অগ্রিম টিকেট ১২ রোজা থেকে ॥ ঈদের সার্বিক প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ জনকণ্ঠকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অবস্থা অনেকটাই বেহাল। ফোর লেন প্রকল্পের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই রোডে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। নিয়মিত সময়ে কোন বাস গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না। যানজট লেগেই আছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের দুর্ভোগ এখন প্রতিদিনের বিষয়। ঈদকে কেন্দ্র করে যানজট নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। ২৫ জুলাই ঈদ হলে ২৫ তারিখ থেকে যানজটের মাত্রা বাড়বে। যানজট ও বর্ষার কারণে টিকেট বিক্রি, গাড়ি যথাসময়ে পৌঁছানোর বিষয়ে উদ্বেগ যথেষ্ট। কারণ একদিনের সিডিউল হেরফের হলে পুরো ঈদের ব্যবস্থাপনা বদলে যায়। বাড়ে দুর্ভোগ। এ ব্যাপারে আমরা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছি। এছাড়া ১২ রোজা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেটের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরুর কথা জানান তিনি। মহাসড়কে যানজট নিরসনে ট্রাফিক ও পুলিশের ব্যবস্থাপনা জোরদার, পর্যাপ্ত রেকারের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, টার্মিনাল মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে নিরাপত্তার জন্য পৃথক কমিটি গঠন করা হবে।
যানজট ও চাঁদাবাজি রোধে পরামর্শ ॥ মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জনকণ্ঠকে বলেন, মহাসড়কের চন্দ্রা, আশুলিয়া, বাইপাইল, গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার যানজট ও রাস্তার ভাঙ্গাচোরা নিয়ে আমরা চিন্তিত। সাভার বাজার এলাকা যানজট মুক্ত রাখতে ইতোমধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া বর্ষায় রাজধানীতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখা, মৌচাক-সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তার দ্রুত মেরামত, যাত্রাবাড়ী অংশের রাস্তা মেরামতের দাবি জানানো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই দুই পয়েন্টের রাস্তার মেরামতের আশ্বাস দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী রেজা জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে ফেরিঘাটে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ ও মহাসড়কে যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য দ্রুত সড়ক মহাসড়ক মেরামত করতে হবে। হাইওয়েতে ডাকাতি রোধে পুলিশের মনিটরিং সেল গঠন করারও পরামর্শ দেন তিনি। পরিবহন শ্রমিকদের দ্রুত বেতন বোনাস দেয়া, একই চালক দিয়ে বার বার গাড়ি না চালানো, সকল বাস টার্মিনাল চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ॥ যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়কসহ রাজধানীর রাস্তা ঈদ উপলক্ষে দখলমুক্ত করা হবে। কোনভাবেই সড়কে দোকান বসতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, রাজধানীতে যানজট এখন অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে। দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যানজট নিরসনে করণীয় নির্ধারণসংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর ছোট ছোট রাস্তায় বড় বড় দুর্ভোগ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ মাসে রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখা ছাড়াও মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হবে। ঈদের সাতদিন আগে ও ঈদের পরের তিনদিন পর্যন্ত এ কাজ বন্ধ থাকবে। নষ্ট রাস্তা মেরামত করে দেবে ঢাকা ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশন। বৈঠকে পরিবহন নেতৃবৃন্দ, মহাসড়কে যানজট রোধ, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম ফোর লেন প্রকল্পের কারণে জনদুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মগবাজার-বাংলামোটর- মৌচাক-শান্তিনগর-সাতরাস্তা সড়ক অবিলম্বে যান চলাচল উপযোগী করতে হবে। যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক অবিলম্বে চলাচল উপযোগী করতে হবে। ফ্লাইওভার নিয়ে মালিক-ঠিকাদার সমস্যা নিরসন করতে হবে। শান্তিনগরে অসংখ্য জায়গায় পটহোলস তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে মেরামত করতে হবে। নগরীর যেখানে ডাস্টবিন রাখায় অহেতুক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ডাস্টবিন রাখার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনতে হবে। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামত করতে হবে।
এছাড়াও দেশের সকল মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল সড়কের মেরামত কাজ ত্বরান্বিত করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। ঈদের আগে ৭ দিন এবং পরে ৩ দিন মাওনা চন্দ্রারমোড় কালীহাতি জয়দেবপুর ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখতে হবে। যান চলাচল সড়ক দখলমুক্ত করতে হবে। কোনভাবে সড়ক দখল করে ভাসমান দোকানপাট বসানো যাবে না। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যানবাহনের প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ সম্পন্ন করেই ঈদ উপলক্ষে গাড়ি সড়কে নামাতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনগুলোতে সড়ক শৃঙ্খলায় রাখতে হবে। গাবতলীসহ ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, সড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমেদ, বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন আহমেদ, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ কায়কোবাদ হোসেন, সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম রাজখান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিসচার সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, নাট্যব্যক্তিত্ব মনির খান শিমুল, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীসহ সড়ক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কালোবাজারি রোধে কঠোরব্যবস্থা নেবে রেল কর্তৃপক্ষ ॥ প্রতিবছরের মতো এবারও যাত্রীদের চিন্তা টিকেট পাওয়া নিয়ে। নিরাপদ যাত্রা হিসেবে যাত্রীদের পছন্দ ট্রেনে যাতায়াত। এক্ষেত্রে টিকেট কালোবাজারি হতে পারে এমন ভাবনা আগে থেকেই ভাবছেন অনেকে। রেলওয়ে সচিব আবুল কালাম আজাদ জনকণ্ঠকে বলেন, নির্ধারিত তারিখের পাঁচদিন আগে অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা। টিকেটে যাত্রীর নাম ও পুরুষ-মহিলা উল্লেখ থাকবে। তিন জুলাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অগ্রিম টিকেট বিক্রির দিন ঠিক করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও গুরুত্বপূর্ণ রুটে বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে। ইতোমধ্যে ট্রেনের পুরনো বগি মেরামত কাজ শেষ। টিকেট কালোবাজারি রোধে কমলাপুর রেলস্টেশনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ক্যাম্পসহ পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন, ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সিডিউল ঠিক রাখতে পারলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে।
নৌপথে অগ্রিম টিকেটের সিদ্ধান্ত ৬ জুলাই ॥ বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেয়া হবে অগ্রিম টিকেটও। সদরঘাট নদীবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোতে নেয়া হবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ৬ জুলাই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে ভাড়া নির্ধারণ, অগ্রিম টিকেট বিক্রির তারিখ চূড়ান্ত করা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা, টিকেট কালোবাজারি রোধে করণীয়সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
ঢাকা ছাড়বে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ ॥ রাজধানীতে এখন দেড় কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। এবারের ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে এমন প্রস্তুতি পরিবহন সেবা সংস্থাগুলোর। এর মধ্যে প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য লঞ্চমালিকদের। বাসে ২০ লাখের বেশি বাকি যাত্রী যাবে ট্রেনসহ অন্যান্য পরিবহনে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গত বছর প্রায় ৭০ লাখ যাত্রী ঢাকা ছাড়বে এ রকম প্রস্তুতি নিয়েই সার্বিক নিরাপত্তা সাজানো হয়। যা ২০১২ সালে ছিল ৬০ লাখে।
জানা গেছে, রাজধানীর সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার বাস বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। মহাখালী থেকে দেড় হাজার ও গাবতলী থেকে দেড় হাজারের বেশি বাস ছাড়ে প্রতিদিন। সব মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার বাস প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে চলবে। বাসপ্রতি ৫০ যাত্রী পরিবহন করা হলে দিনে প্রায় তিনলাখ যাত্রী পরিবহন সম্ভব। ছাদসহ দাঁড় করিয়েও লোক নেয়া হচ্ছে। এই হিসেবে তিন লাখের বেশি যাত্রী প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ পাবে। অন্তত ছয় দিনে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ট্রেনযোগে ঢাকা ছাড়বে। আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী সংখ্যাও কম নয়। প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য পরিবহনে যাবে যাত্রীরা। সরকারী বিআরটিসি ৩০০’র বেশি বাস দেশের বিভিন্ন রুটে ঈদ উপলক্ষে যাত্রী পরিবহন করবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ লাখের বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে এবারের ঈদে।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html

No comments:

Post a Comment