Saturday, July 26, 2014

শিক্ষকরা আসেন না, মিড-ডে মিল নেই ৬ মাস ব‘নগর জুনিয়র মাদ্রাসায় শিশুরা শুধু খেলে!

শিক্ষকরা আসেন না, মিড-ডে মিল নেই ৬ মাস
ব‘নগর জুনিয়র মাদ্রাসায় শিশুরা শুধু খেলে!

আজকালের প্রতিবেদন: বিশালগড়, ২৫ জুলাই– অভ্যাসমতো রোজ দুপুরে বই-খাতা নিয়ে আসে শিশুরা৷‌ শিক্ষকদের দেখা নেই৷‌ লেখাপড়া নেই৷‌ মিড-ডে মিলও হয় না৷‌ কারও দেখা না পেয়ে খেলাধুলো করে হইচই করে শিশুরা ফিরে যায়৷‌ ব‘নগর জুনিয়র মাদ্রাসা৷‌ এখানে রয়েছেন ২ জন সাধারণ শিক্ষক এবং ১ জন ধর্মীয় শিক্ষক৷‌ মাদ্রাসাটি আশাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে৷‌ স্হানীয় মানুষজনের অভিযোগের শেষ নেই৷‌ অভিযোগ, দুই সাধারণ শিক্ষক মাহবুল আলম ও মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে৷‌ দুজনেই স্হানীয়৷‌ রকিবুল ইসলাম, আবদুল হোসেন, সামাদ মিয়াঁরা জানান, স্হানীয় শিক্ষক৷‌ কারও কথা শোনেন না৷‌ বেশ কয়েকবার সভা হয়েছে তাঁদের নিয়ে৷‌ কোনওরকম কর্ণপাত নেই৷‌ অভিযোগ, মাদ্রাসায় লেখাপড়া, মিড-ডে মিল বন্ধ ৬ মাস৷‌ ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহবুল আলম জানান, মাদ্রাসায় কাজ চলছে৷‌ জায়গার অভাবে ক্লাস করা যাচ্ছে না৷‌ স্হানীয় মানুষজনের অভিযোগ, জায়গার কিছুটা সমস্যা রয়েছে সত্যি৷‌ তার মানে তো এই নয়, ক্লাস একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে৷‌ শিক্ষকরা মাদ্রাসামুখো হবেন না, তা তো হতে পারে না৷‌ ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা তো নেওয়া যেতে পারে৷‌ সকলকে একসঙ্গে বসিয়েই তো একটু-আধটু পড়ানো যেতে পারে৷‌ মিড-ডে মিল খাওয়ানো যেতে পারে৷‌ কিছুই হচ্ছে না৷‌ স্হানীয় মানুষের দাবি মেনে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর উদ্যোগে হয় এই মাদ্রাসা৷‌ মাদ্রাসার বাড়ি তৈরির জন্য ২০ লাখ টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়৷‌ চার কোঠা বিশিষ্ট বাড়ি তৈরি হচ্ছে মাদ্রাসার জন্য৷‌ অভিযোগ, শিক্ষকদের গাফিলতিতে আসল উদ্দেশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷‌ স্হানীয় মানুষের ক্ষোভ শিক্ষক মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে৷‌ অভিযোগ, তিনি নিজের রেশন দোকান, বইয়ের দোকান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন৷‌ বেলা সাড়ে ১০টায় যখন মাদ্রাসা শুরু হওয়ার কথা, মহম্মদ সেলিম থাকেন নিজের রেশন দোকান কিংবা বইয়ের দোকানে৷‌ মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৪৫ জন৷‌ তাদের লেখাপড়ার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করছে রাজ্য সরকার৷‌ স্হানীয় শিক্ষকদের গাফিলতিতে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না৷‌ স্হানীয় মানুষের দাবি, প্রশাসন নজর দিক মাদ্রাসাটির দিকে৷‌

No comments:

Post a Comment