২৫ জুলাই– পঞ্চায়েতের কাজে কোথাও বেনিয়ম দেখলে পার্টিকে দায়িত্ব নিয়ে এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে বললেন সি পি এম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর৷ শুক্রবার কাঞ্চনপুরের লালজুরি অঞ্চলের নতুন বাড়ির উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি৷ সমাবেশে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন বিজন ধর, পার্টি অফিস থেকে কী ধরনের কাজ হবে৷ পঞ্চায়েত ভোটের বিপুল জয় তুলে ধরার সঙ্গে একাংশ পার্টি কর্মীর ত্রুটি তুলে ধরেও তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্য সম্পাদক৷ তিনি বলেন, অধিকাংশ জায়গায় ভাল কাজ হচ্ছে৷ কিন্তু গ্রামাঞ্চলে কোনও কোনও জায়গায় দেখা গেছে যারা মাটি কাটছেন, রাস্তা তৈরি করছেন তাঁদের বছরে ১০০ দিন কাজ না হলেও মোটর সাইকেল নিয়ে যিনি ঘুরে ঘুরে কাজ দেখেন তাঁর ১০০ দিন হয়ে যাচ্ছে! এই তথ্য হাজির করে বিজনের জিজ্ঞাসা, কেন এমন হবে? একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ– বেনিয়ম দেখলেই সংগঠন দায়িত্ব নিয়ে এ ধরনের কাজ বন্ধ করুক৷ গণ-আন্দোলনের কাজ পরিচালনা করা, মানুষের কথা শোনার জন্য, মানুষের সঙ্গে নিরীহ সম্পর্ক গড়ার জন্য, কে শত্রু, কে মিত্র বোঝানোর জন্য পার্টি অফিসকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পরামর্শ দেন বিজন৷ শ্রেণীসংগ্রাম শক্তিশালী করার ডাকও দেন তিনি৷ কংগ্রেসকে আগেই প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্যের মানুষ৷ কংগ্রেস থেকে নতুন পোশাকে তৃণমূল, বি জে পি-কেও রাজ্যের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি করেন বিজন ধর৷ তুলে ধরেন সুদিনের কথা বলে কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসা বি জে পি সরকারের একের পর এক জনবিরোধী কাজের কথা৷ সি পি এম রাজ্য সম্পাদক বলেন কংগ্রেস, বি জে পি-র নীতির মধ্যে কোনও তফাত নেই৷ দেশের বাইরে থেকে বহুজাতিক সংস্হাকে ডেকে এনে সর্বনাশ করছে বি জে পি৷ ব্যাঙ্ক-বিমার মতো ক্ষেত্রগুলোকে বিদেশের হাতে দিয়ে দিচ্ছে৷ ২২ হাজার টাকা প্রত্যক্ষ কর ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ছে৷ গ্রামীণ উন্নয়নের টাকা কমছে৷ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা কিংবা বেকারদের কর্মসংস্হানের সঠিক কোনও দিশা নেই৷ এই প্রসঙ্গগুলো তুলে ধরে বিজন ধর পার্টি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, রাজনৈতিক লড়াই করেই এ সব জনবিরোধী কাজের মোকাবিলা করতে হবে৷ প্রসঙ্গক্রমে টেনে আনেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলি শাসনের কথা৷ বিজন ধর বলেন, পশ্চিমবঙ্গে সমাজদ্রোহীদের সামনের সারিতে এনে জনগণের গণতন্ত্রকে হত্যা করছে তৃণমূল সরকার৷ কংগ্রেস-টি ইউ জি এস জোট সরকারের সময় যে ঘটনা ত্রিপুরায় ঘটেছিল৷ সতর্ক থাকতে হবে সেই কালো দিন যাতে আর ফিরে না আসে৷ রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর ছাড়াও বক্তব্য পেশ করেন সি পি এম কাঞ্চনপুর বিভাগীয় সম্পাদক ললিত দেবনাথ, বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং, অরুণ চাকমা, লালজুরি অঞ্চল সম্পাদক নৃপেন্দ্র দাস এবং সমর রায়৷ মঞ্চে ছিলেন লুমছাই রিয়াং, অশেষ পুরকায়স্হ, নারায়ণ চাকমা৷ ২০০৮ সালে কাঞ্চনপুর অঞ্চল ভেঙে তৈরি হয়েছিল লালজুরি অঞ্চল৷ শুক্রবার উদ্বোধন হল নতুন পাকা বাড়ি৷
|
No comments:
Post a Comment