ভারতে শিল্পতালুক গড়তে চুক্তি চিনের
নয়াদিল্লি: ভারতে চারটি শিল্পোদ্যান (ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক) তৈরি করবে চিন৷ সোমবার উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি মউ চুক্তি হয়েছে৷ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র নদীর বন্যা সম্পর্কিত তথ্য দু'দেশের মধ্যে আদান-প্রদান নিয়ে দু'টি মউ চুক্তিতে সই করেছে চিন৷
ভারতে চিনা বিনিয়োগ টানতে এবং চিনের শিল্পসংস্থাগুলির বিনিয়োগ পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির চুক্তিতে সই করা হয়েছে৷ চুক্তি অনুযায়ী ভারত ও চিন উভয়েই পরস্পরের ভূখণ্ডে আইন মোতাবেক বিনিয়োগ করবে৷ চুক্তিতে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরির উল্লেখও করা হয়েছে৷ দু'দেশের সম সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ওই ওয়ার্কিং গ্রুপ ভারত ও চিন চুক্তি মেনে কাজ করছে কিনা তা দেখার পাশাপাশি সমগ্র বিষয়টি পর্যালোচনা করবে৷
উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে তাঁর প্রথম চিন সফরে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ভারতের চিন্তার কথা চিনা বাণিজ্যমন্ত্রী গাও হুচেং-এর কাছে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ ভারতের বার্ষিক গড় বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৩,৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় চিনকে আরও বেশি করে ভারতের পণ্য ও পরিষেবা কেনার আবেদন জানান সীতারমণ৷ ক্রমবর্দ্ধমান বাণিজ্য ঘাটতিকে বাগে আনতে চিনকে ভারতে বিনিয়োগের অনুরোধ জানানো হয়৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন৷ দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে এ দেশে শিল্পোদ্যান তৈরি করবে প্রতিবেশি রাষ্ট্রটি৷
চিনা বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই, রবিবার সীতারমণ বলেন, 'চিনে আরও বেশি ভারতীয় পণ্য ও পরিষেবার প্রসারের বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতে চিনা বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হবে৷' সোমবার দু'দেশের বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে কার্যত তারই প্রতিফলন ঘটল৷ চিনের বাণিজ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, 'বর্তমানে ভারতে চিনের বিনিয়োগের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার৷ আর এর বেশির ভাগই গুজরাটে৷' ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ও ওষুধ সংস্থাগুলির জন্যও চিনকে তাদের বাজার উন্মুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক৷ একই সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্যও চিনা বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন সীতারমণ৷ তিনি বলেন, 'ভারতীয় রত্ন, গহনা, সুতিবস্ত্র, ওষুধ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির উত্পাদিত পণ্যের সম্ভার সে দেশে ঢুকতে দেওয়ার দাবিও জানানো হবে৷' তিনি আরও বলেন, 'আমরা চিনে রপ্তানির তুলনায় সেখান থেকে অনেক বেশি আমদানি করছি৷ ভারতে চিন বিনিয়োগ করলে এই বৈষম্য কিছুটা দূর হবে৷ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগের যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে চিনা মন্ত্রীর সামনে সেই বিষয়টি তুলে ধরতে চাই৷ এছাড়াও, পরিকাঠামো, রেল প্রভৃতি যে ক্ষেত্রগুলিতে চিনের কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং বাড়তি সুবিধা রয়েছে সেই ক্ষেত্রগুলিতেও তারা বিনিয়োগ করতে পারেন৷'
নয়াদিল্লি: ভারতে চারটি শিল্পোদ্যান (ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক) তৈরি করবে চিন৷ সোমবার উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি মউ চুক্তি হয়েছে৷ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র নদীর বন্যা সম্পর্কিত তথ্য দু'দেশের মধ্যে আদান-প্রদান নিয়ে দু'টি মউ চুক্তিতে সই করেছে চিন৷
ভারতে চিনা বিনিয়োগ টানতে এবং চিনের শিল্পসংস্থাগুলির বিনিয়োগ পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির চুক্তিতে সই করা হয়েছে৷ চুক্তি অনুযায়ী ভারত ও চিন উভয়েই পরস্পরের ভূখণ্ডে আইন মোতাবেক বিনিয়োগ করবে৷ চুক্তিতে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরির উল্লেখও করা হয়েছে৷ দু'দেশের সম সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ওই ওয়ার্কিং গ্রুপ ভারত ও চিন চুক্তি মেনে কাজ করছে কিনা তা দেখার পাশাপাশি সমগ্র বিষয়টি পর্যালোচনা করবে৷
উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে তাঁর প্রথম চিন সফরে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ভারতের চিন্তার কথা চিনা বাণিজ্যমন্ত্রী গাও হুচেং-এর কাছে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ ভারতের বার্ষিক গড় বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৩,৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় চিনকে আরও বেশি করে ভারতের পণ্য ও পরিষেবা কেনার আবেদন জানান সীতারমণ৷ ক্রমবর্দ্ধমান বাণিজ্য ঘাটতিকে বাগে আনতে চিনকে ভারতে বিনিয়োগের অনুরোধ জানানো হয়৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন৷ দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে এ দেশে শিল্পোদ্যান তৈরি করবে প্রতিবেশি রাষ্ট্রটি৷
চিনা বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই, রবিবার সীতারমণ বলেন, 'চিনে আরও বেশি ভারতীয় পণ্য ও পরিষেবার প্রসারের বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতে চিনা বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হবে৷' সোমবার দু'দেশের বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে কার্যত তারই প্রতিফলন ঘটল৷ চিনের বাণিজ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, 'বর্তমানে ভারতে চিনের বিনিয়োগের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার৷ আর এর বেশির ভাগই গুজরাটে৷' ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ও ওষুধ সংস্থাগুলির জন্যও চিনকে তাদের বাজার উন্মুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক৷ একই সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্যও চিনা বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন সীতারমণ৷ তিনি বলেন, 'ভারতীয় রত্ন, গহনা, সুতিবস্ত্র, ওষুধ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির উত্পাদিত পণ্যের সম্ভার সে দেশে ঢুকতে দেওয়ার দাবিও জানানো হবে৷' তিনি আরও বলেন, 'আমরা চিনে রপ্তানির তুলনায় সেখান থেকে অনেক বেশি আমদানি করছি৷ ভারতে চিন বিনিয়োগ করলে এই বৈষম্য কিছুটা দূর হবে৷ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগের যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে চিনা মন্ত্রীর সামনে সেই বিষয়টি তুলে ধরতে চাই৷ এছাড়াও, পরিকাঠামো, রেল প্রভৃতি যে ক্ষেত্রগুলিতে চিনের কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং বাড়তি সুবিধা রয়েছে সেই ক্ষেত্রগুলিতেও তারা বিনিয়োগ করতে পারেন৷'
No comments:
Post a Comment