কায়সারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আজ জবানবন্দী
যুদ্ধাপরাধী বিচার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ মোঃ কায়সারের বিরুদ্ধে মামলার ৩২তম সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগমের জবানবন্দীর জন্য আজ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুপস্থিতির কারণে কায়সারের বিরুদ্ধে ৫ জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার আবেদন খারিজ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পক্ষের ১৯তম ও সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা এসএম ইদ্রিস আলীকে আসামিপক্ষের জেরা অব্যাহত রয়েছে। আজ আবার জেরা করবে আসামিপক্ষ। পাশাপাশি আজকের মধ্যে আসামি পক্ষের জেরা শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে ৫ সাক্ষীর জবানবন্দীতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের আবেদন খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পাঁচ সাক্ষীর মধ্যে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন, তারা হলেন- আতাউর রহমান ছুট্টু, মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ও ভুলন ভৌমিক। জীবিত দুইজনের একজন বীরাঙ্গণা হীরা মনি সাঁওতাল, আরেকজন সাবেক মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তাফা শহীদ। আদালতে শুনানিতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, অপরদিকে কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান।
মৃত তিন সাক্ষীর বিষয়ে আদালত বলেন, যে তিন সাক্ষী মৃত্যুবরণ করেছেন তা জানার পরও তদন্ত কর্মকর্তা তাদের জবানবন্দীকে// সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের আবেদন করেছে। অথচ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার পূর্বেই তারা মৃত্যুবরণ করেছে সেটা তিনি জানতেন। অতএব এই তিনজনের বিষয়ে করা আবেদন খারিজ করা হলো। আবার জীবিত দুই সাক্ষীর বিষয়ে বলেন, তাদের মধ্যে একজন বীরাঙ্গণা হীরা মনি সাঁওতাল, আরেকজন সাবেক মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ কিছুদিন আগে হবিগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় পদক গ্রহণ করেছেন এ সংক্রান্ত দৈনিক পত্রিকায় এক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডিফেন্স আইনজীবী এসএম শাহজাহান। সুতরাং তারা আদালতে আসতে পারবেন না প্রসিকিউশনের এ যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী গ্রহণ করার জন্য দিন ঠিক করে আদালতের কার্যক্রম মুলতবী করা হয়। ২০১৩ সালের ১০ নবেম্বর ট্রাইব্যুনালে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৮টি অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ১৬টি অভিযোগ আমলে নিয়ে পরের দিন ১১ নবেম্বর ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৩ সালের ১৫ মে কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এর পর ২১ মে বিকেল পৌনে ৪টায় কায়সারকে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এটিএম আজহারুল ইসলাম
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনপক্ষের ১৯তম ও সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা এসএম ইদ্রিস আলীকে আসামিপক্ষের জেরা অব্যাহত রয়েছে। জেরা আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
মঙ্গলবার সাক্ষী এসএম ইদ্রিস আলীকে চতুর্থ দিনের মতো জেরা করেন আজহারের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার। ১৫ জুন সাক্ষ্য দেয়ার পর ২২ জুন তাকে জেরা শুরু করা হয়। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে এ পর্যন্ত আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ১৮ সাক্ষী। তাদের মধ্যে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরী ঘোষণা করেছেন প্রসিকিউশন পক্ষ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে ৫ সাক্ষীর জবানবন্দীতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের আবেদন খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পাঁচ সাক্ষীর মধ্যে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন, তারা হলেন- আতাউর রহমান ছুট্টু, মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ও ভুলন ভৌমিক। জীবিত দুইজনের একজন বীরাঙ্গণা হীরা মনি সাঁওতাল, আরেকজন সাবেক মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তাফা শহীদ। আদালতে শুনানিতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, অপরদিকে কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান।
মৃত তিন সাক্ষীর বিষয়ে আদালত বলেন, যে তিন সাক্ষী মৃত্যুবরণ করেছেন তা জানার পরও তদন্ত কর্মকর্তা তাদের জবানবন্দীকে// সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের আবেদন করেছে। অথচ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার পূর্বেই তারা মৃত্যুবরণ করেছে সেটা তিনি জানতেন। অতএব এই তিনজনের বিষয়ে করা আবেদন খারিজ করা হলো। আবার জীবিত দুই সাক্ষীর বিষয়ে বলেন, তাদের মধ্যে একজন বীরাঙ্গণা হীরা মনি সাঁওতাল, আরেকজন সাবেক মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ কিছুদিন আগে হবিগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় পদক গ্রহণ করেছেন এ সংক্রান্ত দৈনিক পত্রিকায় এক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডিফেন্স আইনজীবী এসএম শাহজাহান। সুতরাং তারা আদালতে আসতে পারবেন না প্রসিকিউশনের এ যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী গ্রহণ করার জন্য দিন ঠিক করে আদালতের কার্যক্রম মুলতবী করা হয়। ২০১৩ সালের ১০ নবেম্বর ট্রাইব্যুনালে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৮টি অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ১৬টি অভিযোগ আমলে নিয়ে পরের দিন ১১ নবেম্বর ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৩ সালের ১৫ মে কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এর পর ২১ মে বিকেল পৌনে ৪টায় কায়সারকে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এটিএম আজহারুল ইসলাম
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনপক্ষের ১৯তম ও সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা এসএম ইদ্রিস আলীকে আসামিপক্ষের জেরা অব্যাহত রয়েছে। জেরা আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
মঙ্গলবার সাক্ষী এসএম ইদ্রিস আলীকে চতুর্থ দিনের মতো জেরা করেন আজহারের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার। ১৫ জুন সাক্ষ্য দেয়ার পর ২২ জুন তাকে জেরা শুরু করা হয়। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে এ পর্যন্ত আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ১৮ সাক্ষী। তাদের মধ্যে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরী ঘোষণা করেছেন প্রসিকিউশন পক্ষ।
No comments:
Post a Comment