সুন্দরবন সুরক্ষা জরুরী, সম্পদ আহরণে আর নয় স্বেচ্ছাচারিতা
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ, অচিরেই ঘোষিত হচ্ছে অভয়ারণ্য
বাবুল সরদার ॥ বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন অভয়ারণ্য ঘোষিত হচ্ছে। সুন্দরবন সুরক্ষায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ হচ্ছে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিকল্প কর্মসংস্থানে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে অপার সম্ভবনাময় ‘সুন্দরবন পরিবেশবান্ধব পর্যটন’ বিকাশে নানা পদক্ষেপ নেয়া হবে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে বলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মুঃ শুকুর আলী ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আমীর হোসাইন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুন্দরবন সুরক্ষা বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বন ও পরিবেশ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পানিসম্পদ, নৌপরিবহন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও বরগুনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সুন্দরবন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং সুন্দরবনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কোস্টগার্ড ও র্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে সুন্দরবন সুরক্ষায় প্রাথমিকভাবে অন্তত ১০ বছরের জন্য সুন্দরবনে সব ধরনের বনজ সম্পদ আহরণ বন্ধের সরকারী নির্দেশের জন্য দাবি জানানো হয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের রক্ষাকবচ সুন্দরবনের সুরক্ষায় এ বনের অভ্যন্তরে গাছ, গোলপাতা, ছন, মধু, মোম, কাঁকড়া ও মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হবে। একই সঙ্গে এ বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন সম্পূর্ণরূপে বন্যপ্রাণীদের জন্য অভয়ারণ্য হিসেবে রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সুন্দরবন শুধু প্রতিবেশ পর্যটকদের (ইকো ট্যুরিস্ট) বা পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্মুক্ত থাকবে। শীঘ্রই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন, সুন্দরবন সমর্থক কমিটির সভাপতি আলহাজ লিয়াকত আলী ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম খোকন। তাঁরা বলেন, এটা যুগোপযোগী মহৎ সিদ্ধান্ত। প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ সুন্দরবন অভয়ারণ্য হলে মনুষ্য সৃষ্ট উপদ্রব বন্ধ হবে। সুন্দরবন বাঁচবে। তবে এ ব্যাপারে বন বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দফতরকে আন্তরিক হতে হবে।’
পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর এ বনের প্রাকৃতিক ও মৎস্য সম্পদ থেকে বন বিভাগ গড়ে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা আয় হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের চোরা শিকার-কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য কমবে। একই সঙ্গে সশস্ত্র বনদস্যু বাহিনীগুলোর হাতে মুক্তিপণের দাবিতে জেলে ও বনজীবীদের অপহরণের ঘটনা হ্রাস পাবে।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটারই বাংলাদেশের। বর্তমানে উপকূলীয় বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫ লাখ পরিবার এ বনের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।
৪৫০টি ছোট বড় নদ-নদী ও খাল নিয়ে এর জলভাগের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৮৮৪ বর্গকিলোমিটার। চারটি রেঞ্জের ৫০টি কম্পার্টমেন্ট নিয়ে বনের মোট আয়তন ৪ হাজার ১৪৩ বর্গ কিলোমিটার। সুন্দরী, গেওয়া, পশুরসহ এ বনে ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, আট প্রজাতির উভচর ও ৩০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বনবিভাগের হিসাব মতে, বর্তমানে সুন্দরবনে ৪৪৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দেড় লাখ হরিণ, ৫০ হাজার বানর, ২৫ হাজার বন্য শূকর, ২৫ হাজার উট বিড়াল ও ২০০ প্রজাতির লবণ পানির কুমির রয়েছে। নদ-নদী ও জলাশয়ে বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির সাড়ে ৬ হাজার ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪২ প্রজাতির মলাক্সা ও ১ প্রজাতির লবস্টার রয়েছে।
প্রতিবছর সুন্দরবন থেকে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মণ মধু আহৃত হয়। জেলেরা ১৫ হাজার মেট্রিক টন সাদা মাছ, প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি ও কাঁকড়াসহ প্রায় ৮০০ টন রূপালী ইলিশ আহরণ করে। গড়ে প্রায় ১ লাখ দেশী-বিদেশী পর্যটক প্রতিবছর সুন্দরবনে আসেন। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায় প্রাকৃতিকভাবে ছয় বার রূপ পাল্টানো এই সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদের পাশাপাশি পর্যটকরা কটকার কাছে জামতলা সি-বিচে বসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার বিরল সুযোগ পান।
সুন্দরবনে কচিখালী-কটকা, নীলকমল ও দক্ষিণ অভয়ারণ্য নামে তিনটি অভয়ারণ্য রয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুই হচ্ছে বিশ্বঐতিহ্য এই সুন্দরবন। বর্তমানে সুন্দরবন থেকে মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি গোলপাতা, ছন, মধু ও মোম নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে আহরণ করে জেলে ও বনজীবীরা। এ খাত থেকে গড়ে বছরে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়।
সুন্দরবনের বনদস্যুতাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ওই সভা থেকে এ বনের সুরক্ষায় সব ধরনের সম্পদ আহরণ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়। বনের উপরে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানে বিষয়েও আলোচনা হয় সভায়। সুন্দরবনে ইকো ট্যুরিস্টদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টিসহ তাদের নিñিদ্র নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়। বিষয়সমূহ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মুঃ শুকুর আলী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুন্দরবন সুরক্ষা বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বন ও পরিবেশ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পানিসম্পদ, নৌপরিবহন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও বরগুনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সুন্দরবন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং সুন্দরবনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কোস্টগার্ড ও র্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে সুন্দরবন সুরক্ষায় প্রাথমিকভাবে অন্তত ১০ বছরের জন্য সুন্দরবনে সব ধরনের বনজ সম্পদ আহরণ বন্ধের সরকারী নির্দেশের জন্য দাবি জানানো হয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের রক্ষাকবচ সুন্দরবনের সুরক্ষায় এ বনের অভ্যন্তরে গাছ, গোলপাতা, ছন, মধু, মোম, কাঁকড়া ও মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হবে। একই সঙ্গে এ বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন সম্পূর্ণরূপে বন্যপ্রাণীদের জন্য অভয়ারণ্য হিসেবে রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সুন্দরবন শুধু প্রতিবেশ পর্যটকদের (ইকো ট্যুরিস্ট) বা পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্মুক্ত থাকবে। শীঘ্রই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন, সুন্দরবন সমর্থক কমিটির সভাপতি আলহাজ লিয়াকত আলী ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম খোকন। তাঁরা বলেন, এটা যুগোপযোগী মহৎ সিদ্ধান্ত। প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ সুন্দরবন অভয়ারণ্য হলে মনুষ্য সৃষ্ট উপদ্রব বন্ধ হবে। সুন্দরবন বাঁচবে। তবে এ ব্যাপারে বন বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দফতরকে আন্তরিক হতে হবে।’
পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর এ বনের প্রাকৃতিক ও মৎস্য সম্পদ থেকে বন বিভাগ গড়ে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা আয় হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের চোরা শিকার-কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য কমবে। একই সঙ্গে সশস্ত্র বনদস্যু বাহিনীগুলোর হাতে মুক্তিপণের দাবিতে জেলে ও বনজীবীদের অপহরণের ঘটনা হ্রাস পাবে।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটারই বাংলাদেশের। বর্তমানে উপকূলীয় বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫ লাখ পরিবার এ বনের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।
৪৫০টি ছোট বড় নদ-নদী ও খাল নিয়ে এর জলভাগের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৮৮৪ বর্গকিলোমিটার। চারটি রেঞ্জের ৫০টি কম্পার্টমেন্ট নিয়ে বনের মোট আয়তন ৪ হাজার ১৪৩ বর্গ কিলোমিটার। সুন্দরী, গেওয়া, পশুরসহ এ বনে ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, আট প্রজাতির উভচর ও ৩০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বনবিভাগের হিসাব মতে, বর্তমানে সুন্দরবনে ৪৪৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দেড় লাখ হরিণ, ৫০ হাজার বানর, ২৫ হাজার বন্য শূকর, ২৫ হাজার উট বিড়াল ও ২০০ প্রজাতির লবণ পানির কুমির রয়েছে। নদ-নদী ও জলাশয়ে বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির সাড়ে ৬ হাজার ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪২ প্রজাতির মলাক্সা ও ১ প্রজাতির লবস্টার রয়েছে।
প্রতিবছর সুন্দরবন থেকে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মণ মধু আহৃত হয়। জেলেরা ১৫ হাজার মেট্রিক টন সাদা মাছ, প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি ও কাঁকড়াসহ প্রায় ৮০০ টন রূপালী ইলিশ আহরণ করে। গড়ে প্রায় ১ লাখ দেশী-বিদেশী পর্যটক প্রতিবছর সুন্দরবনে আসেন। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায় প্রাকৃতিকভাবে ছয় বার রূপ পাল্টানো এই সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদের পাশাপাশি পর্যটকরা কটকার কাছে জামতলা সি-বিচে বসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার বিরল সুযোগ পান।
সুন্দরবনে কচিখালী-কটকা, নীলকমল ও দক্ষিণ অভয়ারণ্য নামে তিনটি অভয়ারণ্য রয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুই হচ্ছে বিশ্বঐতিহ্য এই সুন্দরবন। বর্তমানে সুন্দরবন থেকে মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি গোলপাতা, ছন, মধু ও মোম নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে আহরণ করে জেলে ও বনজীবীরা। এ খাত থেকে গড়ে বছরে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়।
সুন্দরবনের বনদস্যুতাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ওই সভা থেকে এ বনের সুরক্ষায় সব ধরনের সম্পদ আহরণ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়। বনের উপরে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানে বিষয়েও আলোচনা হয় সভায়। সুন্দরবনে ইকো ট্যুরিস্টদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টিসহ তাদের নিñিদ্র নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়। বিষয়সমূহ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মুঃ শুকুর আলী উল্লেখ করেন।
No comments:
Post a Comment