ধনী-গরিব ফকির-মিসকিন সবাই মিলেমিশে একাকার
শিপন হাবীব
প্রকাশ : ০২ জুলাই, ২০১৪
দুপুর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও মাজার শরিফ ভক্তরা উপস্থিত হতে থাকেন রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার নামেখ্যাত হযরত শাহ খাজা শরফুদ্দীন চিশতি (রহ. আ.) ওরফে বাবা ওলি বাংলার মাজার শরিফে। ইফতারির আগ মুহূর্তে মসজিদের ভেতর ভরে মাজার চত্ব¡রসহ রাস্তায় বসে পড়েন রোজদাররা। বিচারপতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ একসারিতে বসে ইফতার করেন এ মাজার শরিফে। পোলাও, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে ফলমূল, মিষ্টি সামগ্রীসহ ইফতারের প্রায় সব আইটেমই থাকছে রোজাদারদের জন্য।
মঙ্গলবার সরেজমিন হাইকোর্ট মাজারে গিয়ে দেখা যায়, শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান, ভবঘুরে, পথচারী রোজাদাররা ইফতার সামনে নিয়ে সারি সারি বসে আছেন। দুপুর থেকেই ইফতার সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় মাজার কমিটির নিয়োজিত প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে। মসজিদের ভেতরে হযরত শাহ খাজা শরফুদ্দীন চিশতি (রহ. আ.) ওরফে বাবা ওলি বাংলার রওজা শরিফ। মসজিদের ভেতর, চত্বর, রাস্তা ও মহিলা মসজিদ ভরে উঠে রোজাদারদের উপস্থিতিতে। ইফতারের ঘণ্টা দেড়েক আগ থেকেই মাজার শরিফের হুজুররা রোজাদারদের নিয়ে ধর্মীয় বয়ান, ওয়াজ ও দোয়া শুরু করেন। এ সময় পুরো মাজার শরিফ চত্ব¡র মিলাদ ও দুরুদ শরিফে এক অপূর্ব দৃশ্যে পরিণত হয়। রাস্তার দুপাশে প্রায় তিন শতাধিক দরিদ্র (ভিক্ষুক) মানুষ ইফতার করতে বসেন। সবার সামনে এক রকমের ইফতার সামগ্রী দেয়া হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আসা রোজাদার সৈয়দ একরামুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় এক যুগ ধরে হাইকোর্ট মাজারে ইফতার করেন। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তিনি বিত্তশালী হলেও এ মাজারে এসেই তিনি ইফতার করতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান। জানালেন, তিনি ইফতার সামগ্রী নিয়ে এসে সবার মাঝে বসে ইফতার করেন। জনৈক আর্মির কর্নেলের ছেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, তার বাবা পারিবারিকভাবে মৃত্যুবার্ষিকী, জš§দিন থেকে শুরু করে রোজার মাসে এ মাজার শরিফে তবারক বিতরণ করেন। মুসল্লি ও রোজাদারদের ইফতার করান। এ যে কত আনন্দের, তৃপ্তির তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।
পুরান ঢাকা থেকে দুমেয়ে নিয়ে এসেছেন মনোয়ারা বেগম। জানালেন, পুরো রোজায় ৬-৭ দিন এ মাজার শরিফে ইফতার করেন। সাধ্যমতো ইফতার কিনেও নিয়ে আসেন। মহিলা মসজিদে যখন ধনী-গরিব এক সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার করা হয় সেই সময় মন ভরে উঠে। সব অহংকার আর বংশপরিচয় যেন নিমিষেই ম্লান হয়ে যায়। প্রায় দুই যুগ ধরে এ মাজার শরিফে ইফতার করেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম। জানালেন, শত শত রোজাদারদের সঙ্গে বসে ইফতার করা যে কত আনন্দের তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
মাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আবদুস সালাম নোমান যুগান্তরকে জানান, যুগ যুগ ধরে এ মাজার শরিফে ইফতার করানো হচ্ছে। রোজার সময় প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার রোজাদার এখানে ইফতার করেন। রোজার মাস ছাড়াও এ মাজারে প্রতিদিন নামাজ শেষে তবারক বিতরণ করা হয়। রোজার মাসে হযরত শাহ খাজা শরফুদ্দীন চিশতী (রহ. আ.) ওরফে বাবা ওলি বাংলার মাজার ভক্তরা মণে মণে ইফতার সামগ্রী মাজারে নিয়ে আসেন।
- See more at: http://www.jugantor.com/news/2014/07/02/117683#sthash.yzbgh8m1.dpufমঙ্গলবার সরেজমিন হাইকোর্ট মাজারে গিয়ে দেখা যায়, শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান, ভবঘুরে, পথচারী রোজাদাররা ইফতার সামনে নিয়ে সারি সারি বসে আছেন। দুপুর থেকেই ইফতার সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় মাজার কমিটির নিয়োজিত প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে। মসজিদের ভেতরে হযরত শাহ খাজা শরফুদ্দীন চিশতি (রহ. আ.) ওরফে বাবা ওলি বাংলার রওজা শরিফ। মসজিদের ভেতর, চত্বর, রাস্তা ও মহিলা মসজিদ ভরে উঠে রোজাদারদের উপস্থিতিতে। ইফতারের ঘণ্টা দেড়েক আগ থেকেই মাজার শরিফের হুজুররা রোজাদারদের নিয়ে ধর্মীয় বয়ান, ওয়াজ ও দোয়া শুরু করেন। এ সময় পুরো মাজার শরিফ চত্ব¡র মিলাদ ও দুরুদ শরিফে এক অপূর্ব দৃশ্যে পরিণত হয়। রাস্তার দুপাশে প্রায় তিন শতাধিক দরিদ্র (ভিক্ষুক) মানুষ ইফতার করতে বসেন। সবার সামনে এক রকমের ইফতার সামগ্রী দেয়া হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আসা রোজাদার সৈয়দ একরামুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় এক যুগ ধরে হাইকোর্ট মাজারে ইফতার করেন। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তিনি বিত্তশালী হলেও এ মাজারে এসেই তিনি ইফতার করতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান। জানালেন, তিনি ইফতার সামগ্রী নিয়ে এসে সবার মাঝে বসে ইফতার করেন। জনৈক আর্মির কর্নেলের ছেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, তার বাবা পারিবারিকভাবে মৃত্যুবার্ষিকী, জš§দিন থেকে শুরু করে রোজার মাসে এ মাজার শরিফে তবারক বিতরণ করেন। মুসল্লি ও রোজাদারদের ইফতার করান। এ যে কত আনন্দের, তৃপ্তির তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।
পুরান ঢাকা থেকে দুমেয়ে নিয়ে এসেছেন মনোয়ারা বেগম। জানালেন, পুরো রোজায় ৬-৭ দিন এ মাজার শরিফে ইফতার করেন। সাধ্যমতো ইফতার কিনেও নিয়ে আসেন। মহিলা মসজিদে যখন ধনী-গরিব এক সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার করা হয় সেই সময় মন ভরে উঠে। সব অহংকার আর বংশপরিচয় যেন নিমিষেই ম্লান হয়ে যায়। প্রায় দুই যুগ ধরে এ মাজার শরিফে ইফতার করেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম। জানালেন, শত শত রোজাদারদের সঙ্গে বসে ইফতার করা যে কত আনন্দের তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
মাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আবদুস সালাম নোমান যুগান্তরকে জানান, যুগ যুগ ধরে এ মাজার শরিফে ইফতার করানো হচ্ছে। রোজার সময় প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার রোজাদার এখানে ইফতার করেন। রোজার মাস ছাড়াও এ মাজারে প্রতিদিন নামাজ শেষে তবারক বিতরণ করা হয়। রোজার মাসে হযরত শাহ খাজা শরফুদ্দীন চিশতী (রহ. আ.) ওরফে বাবা ওলি বাংলার মাজার ভক্তরা মণে মণে ইফতার সামগ্রী মাজারে নিয়ে আসেন।
No comments:
Post a Comment