ব্যাংকে এলটিআর জালিয়াতি
দেলোয়ার হুসেন
প্রকাশ : ২৭ জুলাই, ২০১৪
ব্যাংকগুলোতে এলটিআর (লোন অ্যাগেইনস্ট ট্রাস্ট রিসিপ্ট বা স্বল্প সময়ের জন্য বিশ্বাসের ভিত্তিতে নেয়া ঋণ) জালিয়াতি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ভুয়া জামানত দিয়ে ঋণ নেয়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ না করে তা মেয়াদি ঋণে রূপান্তর করা, বারবার এলটিআরের মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে জালিয়াতি করা হচ্ছে। এসব কারণে এলটিআর বা টিআর (ট্রাস্ট রিসিপ্ট) নামে বিতরণ করা ঋণের বেশিরভাগই ফেরত আসছে না। খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলোর আর্থিক ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ঋণ ফেরত না আসায় কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি জরিপ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এই জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে এলটিআরের পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে মেয়াদি ঋণে পরিণত হয়েছে ৯ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। খেলাপি ২৫ হাজার কোটি টাকা।
এলটিআর বা টিআর হচ্ছে ব্যাংকগুলোর এক ধরনের ঋণ উপকরণ। ব্যাংকের কাছে খুব বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীদের স্বল্প সময়ের জন্য এ ঋণ দেয়া হয়। এর বিপরীতে উল্লেখযোগ্য কোনো জামানত দিতে হয় না। খুব দ্রুত ঋণটি ছাড় করা যায়। ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত, কর্পোরেট গ্যারান্টি, এফডিআর, চেক বন্ধক রেখে এ ঋণ নেয়া যায়। যে কারণে এসব ঋণ ব্যবসায়ীদের কাছে খুব জনপ্রিয়। এই ঋণ দেয়া হয় সাধারণত ৯০ থেকে ১২০ দিন মেয়াদে। পণ্য আমদানির পর তা বিক্রি করে ব্যাংকের দেনা শোধ করার শর্তে দেয়া হয় এ ঋণ।
কিন্তু বিশ্বাসের ভিত্তিতে দেয়া এই ঋণগ্রহীতারা বর্তমানে বিশ্বাস ভঙ্গ করছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করা হচ্ছে না। ফলে খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। খেলাপি ঠেকাতে ঘন ঘন ঋণের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এর পরও তা শোধ না করে এলটিআর বা টিআরকে মেয়াদি ঋণে পরিণত করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর প্রায় ৫২ শতাংশ এলটিআর আটকে আছে। যার পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মেয়াদি ঋণে পরিণত হওয়া প্রায় ২০ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ঋণের ৩২ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান যুগান্তরকে বলেন, এলটিআরের টাকা আদায় না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর বেশ কিছু টাকা আটকে আছে। স্বল্প সময়ের জন্য এলটিআর নিয়ে ঘন ঘন মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছে, তারপরে মেয়াদি ঋণে রূপান্তর করছে। ফলে ব্যাংকগুলোর ঘাড়ে দায়ের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ওইসব টাকা আদায় করার জন্য ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তাগাদা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত পরিদর্শনে যখন এসব ঘটনা ধরা পড়ছে, তখন আলাদাভাবে এগুলোর বিষয়েও সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
জালিয়াতিতে যারা : অনুসন্ধানে জানা যায়, ইলিয়াস অ্যান্ড ব্রাদার্স, ইমাম গ্রুপ, মোস্তফা গ্রুপ, নূরজাহান গ্রুপ, এইচআর গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, থার্মেক্স গ্রুপ, জেসমিন ভেজিটেবল ওয়েল সবচেয়ে বেশি এলটিআর নিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গ্রুপে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি এলটিআর রয়েছে। এর বেশিরভাগই বিভিন্ন ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা থেকে নেয়া।
চট্টগ্রামের জনতা ব্যাংকের সাধারণ বীমা ভবন শাখায় এস আলম গ্র“পের ৭টি প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার কোটি টাকার এলটিআর রয়েছে। এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এভাবে ওই গ্র“পকে ব্যাংক এলটিআর দিচ্ছে। ঘন ঘন মেয়াদ বাড়ানো ও নতুন এলটিআর দেয়ায় তাদের কোনো খেলাপি হয়নি। ব্যাংকের একই শাখায় তানিয়া ট্রেডিংয়ের ১২০ কোটি টাকার এলটিআর রয়েছে। যা এখন খেলাপি।
এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামের বিভিন্ন শাখা থেকে ৭টি গ্র“প ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি এলটিআর নিয়েছে। এর মধ্যে লালদীঘি কর্পোরেট শাখায় নূরজাহান গ্রুপের ২০০ কোটি টাকা, সমীর ভেজিটেবল ওয়েলের ৯৪ কোটি টাকার এলটিআর রয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৪৫০ কোটি টাকার এলটিআর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ৩৫০ কোটি টাকা। এর বেশিরভাগই জাহাজ ভাঙা শিল্পে দেয়া। কিছুর মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়মিত রাখা হয়েছে। শাখায় ইমাম ট্রেডার্সের ৭৫ কোটি, এসএ ওয়েলের ২০৪ কোটি টাকার এলটিআর রয়েছে।
রূপালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় মরিয়ম ভেজিটেবল ওয়েলের ১৭৩ কোটি টাকার এলটিআর রয়েছে। যা একাধিকবার নবায়ন করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় নূরজাহান গ্র“পের ৬০০ কোটি টাকা ঋণের প্রায় সবটাই এলটিআরের মতো। এখন তা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। সিদ্দিক ট্রেডার্সের এলটিআর ৫৬ কোটি টাকা।
শাহজালাল ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখায় এসকে স্টিলের নামে ১২০ কোটি টাকার এলটিআর খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
এক্সিম ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় বিভিন্ন গ্র“পের নামে ২০০ কোটি টাকার এলটিআর এখন খেলাপি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বিকেবি) আগ্রাবাদ শাখা ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এলটিআরের মাধ্যমে আলী আব্বাস ২০ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছেন। এর বিপরীতে আমদানি করা মালামালও বেহাত হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই ঋণকে খেলাপি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় রয়েছে ১১ কোটি টাকার এলটিআর। যা এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় বিআর স্পিনিং মিলসের ১৮ কোটি টাকার এলটিআর খেলাপি ছিল। পরে নবায়ন করা হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় এইচবি প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের নামে ৩ কোটি টাকার এলটিআর খেলাপি হওয়ার পর নবায়ন করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে ১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকার এলটিআর রয়েছে। এগুলো অলটেক্স, কেএনএস ইন্ডাস্ট্রিজ, ক্যাংসান ইন্ডাস্ট্রিজ, থার্মেক্স টেক্সটাইল ও অলটেক্স ফেব্রিক্স প্রতিষ্ঠানের নামে নেয়া। ঘন ঘন এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো এবং নবায়ন করা হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় রূপগঞ্জ ট্রেডিং কোম্পানির ৭৩ কোটি টাকার এলটিআর খেলাপি হওয়ার পর দুই দফা নবায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (বিডিবি) বিভিন্ন কোম্পানির নামে ৪৮ কোটি, অপর আরও ৪টি কোম্পানির নামে রয়েছে ৩৬০ কোটি টাকার এলটিআর।
বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে এসএ ট্রেডার্স ১ কোটি ৭৫ লাখ, এআরএসএস এন্টারপ্রাইজের ৫ কোটি টাকার এলটিআর রয়েছে। এগুলো ইতিমধ্যে খেলাপি হয়েছে। শান্তিনগর শাখায় ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজের ৫০ কোটি টাকার এলটিআর এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
কৃষি ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার গ্রাহক ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিংকে ৫০ কোটি টাকা এলটিআর দেয়া হয়েছে। এটি এখন খেলাপি। একই ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে প্যারাগন গ্র“পকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার এলটিআর দেয়া হয়েছে বিধিবহির্ভূতভাবে। এটি এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত নেই। শাখার গ্রাহক ডিএন গার্মেন্টের অনুকূলেও এলটিআর দেয়া হয়েছে।
ইউসিবির প্রধান শাখায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার এলটিআর রয়েছে। যা এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকের একই শাখায় সোলার ট্রেডিং কোম্পানির ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, রহমত টেক্সটাইলের ২০ কোটি টাকার এলটিআর রয়েছে। যার মেয়াদ ইতিমধ্যে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে।
ইউসিবির খাতুনগঞ্জ শাখায় আব্বাস ট্রেডিংয়ের মোটা অংকের এলটিআর রয়েছে। যা এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। একই শাখায় ম্যাক্স স্পিড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৫০ কোটি টাকার এলটিআরও খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকের মোট এলটিআরের মধ্যে ৯১ শতাংশ খেলাপি বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
ন্যাশনাল ব্যাংক নূরজাহান গ্র“পের প্রতিষ্ঠান মেরিন ভেজিটেবল ওয়েল ও নূরজাহান সুপার ওয়েলের কাছে পাওনা ৮১৩ কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার জমি জামানত রয়েছে। তারা বেশিরভাগই নিয়েছে এলটিআর। শর্ত অনুযায়ী তারা পণ্য বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা শোধ করেনি।
কৃষি ব্যাংকের চট্টগ্রামের ষোলশহর শাখা থেকে নেয়া এলটিআর বাবদ ৯৬ কোটি টাকা এখন খেলাপি।
জরিপ প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ এলটিআরই মেয়াদি ঋণে রূপান্তর হয়। আর মেয়াদি ঋণই সবচেয়ে বেশি খেলাপি হয়। ২০০৯ সালের জুনে মেয়াদি ঋণের মধ্যে অনাদায়ী ছিল ৫৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়। এতে কিছু ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়ে। এলটিআর এক ধরনের পরোক্ষ দায়। এটি মেয়াদি ঋণে রূপান্তর হওয়ায় প্রত্যক্ষ দায়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। এ জন্য ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০টি ব্যাংকের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ১৪৬টি শাখার ওপর জরিপ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের ঢাকার ৯টি, চট্টগ্রামের ৩টি, অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকার ৯টি, চট্টগ্রামের ১৭টি, এবি ব্যাংকের ঢাকার ১৮টি, সিলেটের ৮টি, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার ৮টি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ঢাকার ৬টি, ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার ৬টি, সিলেটের ৬টি, ওয়ান ব্যাংকের ঢাকার ৬টি, প্রাইম ব্যাংকের ঢাকার ৯টি, পূবালী ব্যাংকের ঢাকার ১৯টি, চট্টগ্রামের ১৪টি এবং সিলেটের ৬টি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার ২টি শাখার ওপর জরিপ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিগুলো নিয়েছে ৪৭, ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো ৪৬, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ৫, স্বায়ত্তশাসিত কোম্পানিগুলো ১ এবং যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো নিয়েছে ১ শতাংশ এলটিআর।
সবচেয়ে বেশি এলটিআর নেয়া হয়েছে শিল্প পণ্যে ৭৬, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ২৮, বাণিজ্য পণ্যে ২৭ এবং অন্যান্য পণ্য আমদানিতে ২৩ শতাংশ।
যে কারণে এলটিআর মেয়াদি হচ্ছে : এলটিআর বা টিআর মেয়াদি ঋণে রূপান্তর হওয়ার পেছনে ৫টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর মধ্যে পণ্যের দাম ওঠা-নামার কারণে ৪৮ শতাংশ এলটিআর মেয়াদি ঋণে পরিণত হয়েছে। মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠা-নামার কারণে ৮ দশমিক ৭, দীর্ঘ সময় পণ্যের মজুদ রাখার কারণে ১৬ দশমিক ৩, তহবিল অন্য খাতে স্থানান্তরের কারণে ৪ দশমকি ৮ এবং অন্যান্য কারণে ২২ শতাংশ এলটিআর মেয়াদি ঋণে পরিণত হয়েছে।
ওই ব্যাংকগুলোর ১০ শাখায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি এলটিআর রয়েছে ৫ কোম্পানির। যা মোট এলটিআরের সাড়ে ৩ শতাংশ। ১ হাজার কোটির বেশি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত এলটিআর আছে ৩টি কোম্পানির। যা মোট এলটিআরের আড়াই শতাংশ। ৫০০ কোটির বেশি থেকে ১ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত এলটিআর রয়েছে ৫টি কোম্পানির। যা মোট এলটিআরের সাড়ে ৩ শতাংশ। ১০০ কোটির বেশি থেকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত এলটিআর রয়েছে ১৩টি কোম্পানির। যা মোট এলটিআরের সোয়া ৮ শতাংশ। ১ কোটির বেশি থেকে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত এলটিআর রয়েছে ১৩টি কোম্পানির। যা মোট এলটিআরের ৯ শতাংশ। ৯৯ লাখ টাকা পর্যন্ত এলটিআর রয়েছে ১০৮টি কোম্পানির। যা মোট এলটিআরের ৭৫ শতাংশ।
No comments:
Post a Comment