হাসপাতালে মায়ের সঙ্গে দেখা হল না আঁখির
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ২৭ জুলাই, ২০১৪
মা মঞ্জুরি বেগম বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে রাতের খাবার খাওয়ানোর জন্য কলেজছাত্রী রুবাইয়া সুলতানা আঁখি (১৮) সোনাতলার বাড়ি থেকে হাসপাতালের পথে সিএনজিতে উঠেছিলেন। শহরতলির বাঘোপাড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর জখম হন। সিএনজি চালক ওই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানেই মৃত্যু হয় আঁখির। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর থানা পুলিশ আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে মা-বাবা শোকে পাথর হয়ে গেছেন। পুরো পরিবার আর গ্রামজুড়ে দেখা দিয়েছে শোকের ছায়া।
জানা গেছে, সোনাতলা পৌর এলাকার প্রভাষক রফিকুল ইসলামের অসুস্থ স্ত্রী মঞ্জুরি বেগম শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মাকে রাতে খাবার দিতে তাদের একমাত্র মেয়ে বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আঁখি রাত ৯টার দিকে সোনাতলা থেকে একটি সিএনজিতে ওঠেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাঘোপাড়ায় উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে সিএনজিটি পৌঁছালে আঁখি মাথা বের করেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তার মাথায় আঘাত লাগে। আঁখি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সিএনজিতে থাকা যাত্রীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চালককে অনুরোধ করেন। দ্রুত তার অবস্থার অবনতি হলে তারাও সিএনজি থেকে নেমে চলে যান। চালক ঝামেলা এড়াতে কিছুদূর যাওয়ার পর মহাসড়কের পাশে আহত অবস্থায় আঁখিকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। সেখানেই বিনা চিকিৎসায় আঁখির মৃত্যু হয়। প্রায় দু’ঘণ্টা পর বাড়ি ও হাসপাতাল থেকে আঁখির সন্ধান শুরু হয়।
সদর থানার ওসি ফাইজুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঘোপাড়ায় স্কাউট অফিসের কাছ থেকে আঁখির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
করতোয়া থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার : বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে উপজেলার জলপাইতলা এলাকায় করতোয়া নদী থেকে বাচ্চু মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলছে, পেশায় ভিক্ষুক ওই ব্যক্তি মৃগি রোগে আক্রান্ত হয়ে নদীতে পড়ে মারা গেছেন। তার নাম বাচ্চু মিয়া। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া মধ্যপাড়ার মৃত ওসমান গণির ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নদীতে তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।
No comments:
Post a Comment