সুইস ব্যাংকের টাকা নিয়ে বিএনপির এত ভয় কেন
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ০২ জুলাই, ২০১৪
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ পাচারের তথ্য প্রকাশিত হওয়া এবং তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর এ নিয়ে বিএনপির দেয়া প্রতিক্রিয়াকে সন্দেহজনক বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সুইস ব্যাংকের টাকা নিয়ে বিএনপির এত ভয় কেন? একবার তো কোকোর (আরাফাত রহমান) টাকা আনা হয়েছিল।
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত আরও বলেন, যারা টাকা পাচার করে তাদের পরিচয় একটাই, অর্থ পাচারকারী। এরা দেশপ্রেমিক হতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে সুইস ব্যাংকে ৮০০ মিলিয়ন বাংলাদেশি টাকা পাচার করা হয়েছে। এ কথা ইউএনডিপি প্রকাশ করেছে। তারা তো বলেনি যে এই টাকা রাজনীতিবিদদের। এটা তো অসাধু ব্যবসায়ীদেরও হতে পারে। বাংলায় একটা কথা আছে, ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।
সুরঞ্জিত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইস ব্যাংকের টাকা ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা ভেবেছিলাম, বিএনপি একে স্বাগত জানাবে। কারণ টাকা যারই হোক, দেশের টাকা দেশে ফেরত আনা হচ্ছে। টাকা ফেরত আনতে কমিটি করা হবে কিনা, তার দায়িত্ব সরকারের। মির্জা ফখরুল সাহেবদের এত আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এই অর্থ ফেরত আনতে বিএনপি পরামর্শ দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
এদিকে এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, সুইস ব্যাংকে খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর টাকা থাকায় অস্বস্তিতে ভুগছে বিএনপি।
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মুন্না খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
খালেদা তারেক-কোকোর টাকা থাকতে পারে : এদিকে সুইস ব্যাংকে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো এমনকি খালেদা জিয়ারও টাকা থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, তা না হলে প্রধানমন্ত্রী সুইস ব্যাংকের টাকা ফেরত আনবেন ঘোষণা দেয়ার পর তারা (বিএনপি) কেন এমন অস্বস্তিতে পড়লেন?
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রাউন্ড টেবিলে সন্ত্রাস নির্মূলে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের করণীয় ও চলমান রাজনীতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মঙ্গলবার এসব কথা বলেন হাছান। এ কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ তারেক রহমানের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থের উৎস অনুসন্ধানে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতারা ও জনগণ-প্রত্যাখ্যাত কিছু রাজনীতিবিদ পুঁটি মাছের মতো লাফালাফি ও ব্যাঙের মতো গর্জন শুরু করেছিল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সফরের পর তাদের লাফালাফি ও গর্জন বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ সুষমা স্বরাজ তার দেশের প্রধানমন্ত্রীর যে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে এসেছিলেন, তাতে উল্লেখ ছিল, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন জনগণের কাছে যান। বিদেশী নয়, জনগণ আপনাদের গ্রহণ করলে আগামী নির্বাচনে আপনারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন।
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মুন্না খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
- See more at: http://www.jugantor.com/news/2014/07/02/117691#sthash.YbFb4kon.dpufরাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত আরও বলেন, যারা টাকা পাচার করে তাদের পরিচয় একটাই, অর্থ পাচারকারী। এরা দেশপ্রেমিক হতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে সুইস ব্যাংকে ৮০০ মিলিয়ন বাংলাদেশি টাকা পাচার করা হয়েছে। এ কথা ইউএনডিপি প্রকাশ করেছে। তারা তো বলেনি যে এই টাকা রাজনীতিবিদদের। এটা তো অসাধু ব্যবসায়ীদেরও হতে পারে। বাংলায় একটা কথা আছে, ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।
সুরঞ্জিত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইস ব্যাংকের টাকা ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা ভেবেছিলাম, বিএনপি একে স্বাগত জানাবে। কারণ টাকা যারই হোক, দেশের টাকা দেশে ফেরত আনা হচ্ছে। টাকা ফেরত আনতে কমিটি করা হবে কিনা, তার দায়িত্ব সরকারের। মির্জা ফখরুল সাহেবদের এত আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এই অর্থ ফেরত আনতে বিএনপি পরামর্শ দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
এদিকে এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, সুইস ব্যাংকে খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর টাকা থাকায় অস্বস্তিতে ভুগছে বিএনপি।
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মুন্না খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
খালেদা তারেক-কোকোর টাকা থাকতে পারে : এদিকে সুইস ব্যাংকে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো এমনকি খালেদা জিয়ারও টাকা থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, তা না হলে প্রধানমন্ত্রী সুইস ব্যাংকের টাকা ফেরত আনবেন ঘোষণা দেয়ার পর তারা (বিএনপি) কেন এমন অস্বস্তিতে পড়লেন?
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রাউন্ড টেবিলে সন্ত্রাস নির্মূলে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের করণীয় ও চলমান রাজনীতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মঙ্গলবার এসব কথা বলেন হাছান। এ কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ তারেক রহমানের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থের উৎস অনুসন্ধানে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতারা ও জনগণ-প্রত্যাখ্যাত কিছু রাজনীতিবিদ পুঁটি মাছের মতো লাফালাফি ও ব্যাঙের মতো গর্জন শুরু করেছিল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সফরের পর তাদের লাফালাফি ও গর্জন বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ সুষমা স্বরাজ তার দেশের প্রধানমন্ত্রীর যে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে এসেছিলেন, তাতে উল্লেখ ছিল, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন জনগণের কাছে যান। বিদেশী নয়, জনগণ আপনাদের গ্রহণ করলে আগামী নির্বাচনে আপনারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন।
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মুন্না খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment