ইরাকে আরও সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুলাই, ২০১৪
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও ২০০ মার্কিন সেনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সোমবার অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর কথা জানান ওবামা। সেনা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে নজরদারির জন্য হেলিকপ্টার ও ড্রোনও পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, সুন্নি সম্প্রদায়ভিত্তিক সংগঠন দ্য ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্টের (আইএসআইএল) সদস্য ও ইরাকের সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের জের ধরে দেশটিতে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাগদাদে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের নিরাপত্তা দিতে ইতিমধ্যে ২৭৫ জন মার্কিন সেনা পাঠানো হয়েছে। এদিকে ইরাকি সেনাবাহিনীকে পরামর্শ দেয়ার জন্য ৩০০ জন মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন করে এ সেনা পাঠানো হলে আইএসআইএলের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের জের ধরে ইরাকে মোতায়েন করা মার্কিন সেনার সংখ্যা হবে প্রায় ৮০০ জন। মার্কিন কংগ্রেসকে পাঠানো একটি চিঠিতে ওবামা বলেছেন, বাগদাদের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি অতিরিক্ত ২০০ জন পর্যন্ত সেনা ইরাকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। এ সেনারা মার্কিন দূতাবাস ও বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। প্রয়োজনে ইরাকে অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায়ও এ সেনারা কাজ করবে বলেও জানান ওবামা। এছাড়া যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকবে তারা।
পরবর্তীকালে যেন আর সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন না হয়, এ কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত ওই সেনারা ইরাকে মোতায়েন থাকবে বলেও জানিয়েছেন ওবামা।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইরাককে ধ্বংস করছে
ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ত (আইএসআইএল) নামে পরিচিত ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী ইরাককে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাক ও সিরিয়ার দখলকৃত অংশে আইএসআইএলের ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার এ অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় যুদ্ধরত ইরাককে ধারাবাহিকভাবে অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্র“তিও ব্যক্ত করে পশ্চিমা পরাশক্তিটি।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট বলেন, এটি সন্ত্রাসের প্রচারণা বা সহিংসতার স্থূল নমুনা এবং চরম নিয়ন্ত্রণবাদী ধ্যান-ধারণা যা ইরাকের ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ হুমকি। দাবি করলেও আইএসআইএল সুন্নিদের পক্ষে লড়ছে না, আইএসআইএল শক্তিশালী ইরাক প্রতিষ্ঠার জন্যও লড়াই করছে না, আইএসআইএল ইরাককে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করছে। ইরাকের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি বহুমুখী সরকার গঠনে ব্যর্থতার জন্য তিনি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
জুন মাসে নিহত ২ হাজার ৪০০ : জাতিসংঘ
ইরাকজুড়ে জুন মাসে সহিংসতায় অন্তত ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে এটাই হচ্ছে দেশটিতে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী মাস। ইরাকে জাতিসংঘ মিশন থেকে প্রকাশিত এক রিপোর্টে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ব সংস্থা বলেছে, নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ বেসামরিক নাগরিক এবং ৮৯০ জন হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
রিপোর্টে বলা আরও হয়েছে, জুন মাসে ইরাকে নানা ধরনের সহিংসতায় আহত হয়েছে ২ হাজার ২৮৭ জন যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিক হচ্ছে ১ হাজার ৭৬৩ জন। ইরাকে জাতিসংঘ মিশনের বিশেষ প্রতিনিধি নিকোলাই ম্লাদেনভ বলেন, ব্যাপকভিত্তিক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হওয়ার ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতিসংঘ মিশনের রিপোর্টে যে পরিমাণ হতাহতের কথা বলা হয়েছে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। এএফপি, রয়টার্স।
- See more at: http://www.jugantor.com/ten-horizon/2014/07/02/117735#sthash.u8BqTVMJ.dpufবাগদাদে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের নিরাপত্তা দিতে ইতিমধ্যে ২৭৫ জন মার্কিন সেনা পাঠানো হয়েছে। এদিকে ইরাকি সেনাবাহিনীকে পরামর্শ দেয়ার জন্য ৩০০ জন মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন করে এ সেনা পাঠানো হলে আইএসআইএলের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের জের ধরে ইরাকে মোতায়েন করা মার্কিন সেনার সংখ্যা হবে প্রায় ৮০০ জন। মার্কিন কংগ্রেসকে পাঠানো একটি চিঠিতে ওবামা বলেছেন, বাগদাদের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি অতিরিক্ত ২০০ জন পর্যন্ত সেনা ইরাকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। এ সেনারা মার্কিন দূতাবাস ও বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। প্রয়োজনে ইরাকে অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায়ও এ সেনারা কাজ করবে বলেও জানান ওবামা। এছাড়া যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকবে তারা।
পরবর্তীকালে যেন আর সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন না হয়, এ কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত ওই সেনারা ইরাকে মোতায়েন থাকবে বলেও জানিয়েছেন ওবামা।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইরাককে ধ্বংস করছে
ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ত (আইএসআইএল) নামে পরিচিত ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী ইরাককে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাক ও সিরিয়ার দখলকৃত অংশে আইএসআইএলের ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার এ অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় যুদ্ধরত ইরাককে ধারাবাহিকভাবে অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্র“তিও ব্যক্ত করে পশ্চিমা পরাশক্তিটি।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট বলেন, এটি সন্ত্রাসের প্রচারণা বা সহিংসতার স্থূল নমুনা এবং চরম নিয়ন্ত্রণবাদী ধ্যান-ধারণা যা ইরাকের ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ হুমকি। দাবি করলেও আইএসআইএল সুন্নিদের পক্ষে লড়ছে না, আইএসআইএল শক্তিশালী ইরাক প্রতিষ্ঠার জন্যও লড়াই করছে না, আইএসআইএল ইরাককে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করছে। ইরাকের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি বহুমুখী সরকার গঠনে ব্যর্থতার জন্য তিনি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
জুন মাসে নিহত ২ হাজার ৪০০ : জাতিসংঘ
ইরাকজুড়ে জুন মাসে সহিংসতায় অন্তত ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে এটাই হচ্ছে দেশটিতে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী মাস। ইরাকে জাতিসংঘ মিশন থেকে প্রকাশিত এক রিপোর্টে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ব সংস্থা বলেছে, নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ বেসামরিক নাগরিক এবং ৮৯০ জন হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
রিপোর্টে বলা আরও হয়েছে, জুন মাসে ইরাকে নানা ধরনের সহিংসতায় আহত হয়েছে ২ হাজার ২৮৭ জন যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিক হচ্ছে ১ হাজার ৭৬৩ জন। ইরাকে জাতিসংঘ মিশনের বিশেষ প্রতিনিধি নিকোলাই ম্লাদেনভ বলেন, ব্যাপকভিত্তিক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হওয়ার ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতিসংঘ মিশনের রিপোর্টে যে পরিমাণ হতাহতের কথা বলা হয়েছে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। এএফপি, রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment