ঈদের আমেজ শুরু ॥ সব বাধা উপেক্ষা ॥ ছুটছে মানুষ
০ বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্রেনের ছাদে উঠছেন যাত্রীরা
০ সিডিউল বিপর্যয় কমেছে
০ মহাসড়কে যানজট নেই
০ উচ্ছেদ হয়নি অবৈধ স্থাপনা
০ যানজটমুক্ত রাজধানী
০ ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চযাত্রা
০ বাস টার্মিনালে তেমন ভিড় নেই
০ সিডিউল বিপর্যয় কমেছে
০ মহাসড়কে যানজট নেই
০ উচ্ছেদ হয়নি অবৈধ স্থাপনা
০ যানজটমুক্ত রাজধানী
০ ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চযাত্রা
০ বাস টার্মিনালে তেমন ভিড় নেই
রাজন ভট্টাচার্য ॥ সব বাধা উপেক্ষা করে গন্তব্যের দিকে ছুটছে মানুষ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ কাটানো বলে কথা। প্রিয়মুখগুলো যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে তখন কোন কষ্টই যেন আর কষ্ট মনে হয় না। কথাই আছে আপনজনের জন্য ব্যক্তিস্বার্থ বিসর্জন দেয়া কঠিন কিছু নয়। তাই তো শুক্রবার ছুটির দিনে লঞ্চ ও ট্রেনে ছিল মানুষের ঢল। পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে চলা। তবে বাস টার্মিনালগুলোতে বেসামাল যাত্রী চাপ ছিল না। মহাসড়কে ছিল না যানজট। অন্যদিকে রাস্তা খুব একটা ভাল না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে ২-৪ ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজ শনিবার থেকে যাত্রী চাপ বাড়বে। গার্মেন্টস ছুটির পর যাত্রী চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হবে তাদের। তাই সড়ক মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি লক্কড়-ঝক্কড় পরিবহন যেন কোন অবস্থাতেই মহাসড়কে উঠতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান যাত্রীসহ পরিবহন নেতাদের। রাজধানীতে শুরু হয়েছে ঈদের আমেজ। শুক্রবার বেশিরভাগ রাস্তা ছিল ফাঁকা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, শুক্রবার সড়ক-মহাসড়ক ছিল স্বাভাবিক। কোথাও যানজটের কোন খবর আসেনি। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। কিছু কিছু স্থানে রাস্তা খারাপ থাকায় বাসযাত্রীদের পৌঁছতে একটু বিলম্ব হয়ত হয়েছে। তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কে দুর্ভোগ কমাতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করলে মানুষ শান্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।
ঢিল ছোড়া প্রতিরোধে ব্যবস্থা ॥ ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে ট্রেনে ঢিল ছোড়া প্রতিরোধে ‘বিশেষ নজরদারি’ শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি কামরুল আহসান জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন কোনভাবে আক্রান্ত না হয় সেজন্য রেলওয়ে পুলিশ বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে। স্টেশন এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও গানম্যানদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার কথাও জানান তিনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের বেশ কয়েকটি স্থানে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে আসছে। এতে আহত হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। গতবছর ঈদের পরদিন ১১ আগস্ট চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে চলন্ত ট্রেনে দুর্বৃত্তের ঢিলে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনার পর ঢিল ছোড়া প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে ॥ প্ল্যাটফর্মে প্ল্যাটফর্মে টিকেট না পাওয়া যাত্রীদের ভিড়। তাঁদের অনেকেই ঝুলবেন রেলের ছাদে। রয়েছে শিশু-নারীও। জীবনের ঝুঁকি। তবু বাড়ি ফেরা চাই সবার। এমন অবস্থায় সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে একের পর এক ট্রেন। কিছু রুটের ট্রেনে এ চিত্র তেমন দেখা না গেলেও বেশিরভাগ ট্রেন টানছে অতিরিক্ত যাত্রী। কমলাপুর রেলস্টেশন ছাড়াও বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে বসে আছেন শত শত যাত্রী। যাঁরা রেলের ছাদে ঝুলে ছুটবেন বিভিন্ন গন্তব্যে। একটু অসতর্কতায় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু তারপরও বাড়ি ফেরা চাই। তাই নিচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ শ্রমজীবী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জনস্রোত রেলস্টেশনজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়ি ফেরা মানুষের ব্যস্ততায় সরগরম কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন। তবে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাত্রী ভিড় বেশি। অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ সারি সেখানে। কিন্তু সেই বাড়ি ফেরা এবারও নিরাপদ হচ্ছে না। যেখানে শত শত মানুষ ছাদে উঠে নিচ্ছে ঝুঁকি। এ ঝুঁকি কমাতে কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছে না রেলস্টেশন কর্তাব্যক্তিদের। ভিড় সামলাতে ব্যস্ত স্টেশন কর্মকর্তারা কেউ কথা বলতেও রাজি নন। তবে কমলাপুরে রেল নিরাপত্তাকর্মীদের মাঝে মাঝে ছাদে যাত্রী ওঠা ঠেকাতে তৎপর হতে দেখা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা সফলও হয়েছেন। কিন্তু মানুষের স্রোত আর প্রবল আগ্রহের কাছে কখনও কখনও তাঁরা যেন অনেকটা অসহায়। চোখ ফাঁকি দিয়েও অনেকে ছাদে বা ইঞ্জিনে চেপে বসেছেন।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এবার অতীতের মতো তেমন সিডিউল বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে না। সকাল থেকে স্বাভাবিক আছে ট্রেন চলাচল। নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ ট্রেন। বাড়ি ফিরছেন মানুষ। শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মোট ৪৫টি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে ২৭টি আন্তঃনগর। বিকেল পর্যন্ত ৩০টির বেশি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে কমলাপুর ত্যাগ করেছে। ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে ছয়টি ট্রেন কম-বেশি আধাঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।
কমলাপুর স্টেশনমাস্টার শাখাওয়াত হোসেন জানান, এদিন ভোর ৫টা ১০ মিনিট থেকে ট্রেন ছাড়া শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৫টি ট্রেন ছাড়বে। তিনি জানান, রাস্তার কোন ধরনের সমস্যা না হলে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কোন আশঙ্কা নেই। তাছাড়া কাঁচামাল ও গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ছাড়া ঈদের আগে ও পরে সবধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ। অর্থাৎ মালবাহী ট্রেনগুলো চলবে না। তাছাড়া রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁদের প্রত্যেকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সঙ্গতকারণেই আমাদের সকলের চেষ্টা সময়মতো ট্রেনগুলোর যাত্রা শুরু করা। যাত্রীদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় সময়মতোই কমলাপুর থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। সকাল ১০টায় দিনাজপুরের উদ্দেশে ছেড়েছে পদ্মা, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ১০টা ২০ মিনিটে। ১১টা ৩৫ মিনিটে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘ঈশা খাঁ’ ও দুপুর ১২টায় সিলেটের উদ্দেশে ‘জয়ন্তিকা’ ট্রেনটি সময়মতোই স্টেশন ছেড়ে গেছে। পরবর্তী ট্রেন সিল্কসিটি দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়েছে। বিকেল ৩টায় শোভন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, কমলাপুরে এবার যে কোন বারের চেয়ে অত্যন্ত সুন্দর ব্যবস্থাপনায় ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে। যাত্রীরাও খুশি। ট্রেনে বাড়তি লোকজনের ভিড় হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেই। তাই বিশেষ সময়ে এ রকম কিছু ভিড় সহ্য করেই চলতে হচ্ছে। কারণ সবাই বাড়ি যেতে চান। যাঁরা সিটের টিকেট পাননি তাঁদের স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়ার চেষ্টা করছি। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে করে কোন সিডিউল বিপর্যয় না হয়। এখনও পর্যন্ত সিডিউলে কোন সমস্যা না হওয়ায় স্টেশনের পরিবেশ খুব সুন্দর আছে। আমরা এই পরিবেশটা বজায় রাখতে চাই।
গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রী কম ॥ উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা আগেভাগেই বাসের টিকেট সংগ্রহ করেছিলেন। বাসে দ্বিতীয় দিনের মতো ঈদ যাত্রায় গাবতলী টার্মিনালে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বেলা ১২টার পর কমে আসে ভিড়। কিন্তু ভোর থেকে নামে মানুষের ঢল। পায়ে পায়ে স্রোত যেন মিলেছিল গাবতলীর দিকে। শ্যামলী, সোহাগ, স্টার লাইন, এস আলমসহ বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারের সামনে মানুষ আর মানুষ। অনেকে যানজটের ভয়ে এসেছেন অন্তত তিন ঘণ্টা আগে। শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী দিলারা জানান, সকাল আটটায় বাস। ভোর পাঁচটায় রওনা দিয়ে এসেছি। যানজটের ভয়ে একটু আগেভাগেই যাত্রা।
দুপুরের পর টার্মিনালের চিত্র বদলে যায়। নয়নাভিরাম গাবতলী বাস টার্মিনাল। শত শত বাস রাখা যায় এক সঙ্গে। কিন্তু রাখার জায়গা থাকলে কী হবে টার্মিনাল পড়ে রয়েছে একেবারেই ফাঁকা। কারণ এক সময় টার্মিনালের ভেতরে কাউন্টার থাকলেও কাউন্টার এখন স্থানান্তরিত হয়েছে টেকনিক্যাল, রজব আলী আর কল্যাণপুরে। রাস্তায় কাউন্টার হওয়ায় সড়কে ওপর দাঁড়িয়ে থাকে বাস। বাসগুলো রাখতে হচ্ছে না টার্মিনালের ভেতর। যার ফলে টেকনিক্যাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সারাক্ষণ থাকে তীব্র যানজট। ঈদকে সামনে রেখে যানজট আরও চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকালে টেকনিক্যাল থেকে গাবতলী পর্যন্ত প্রায় ৩ কি. মিটারে দেখা যায় তীব্র যানজট। তবে বিকেলে আবারও গাবতলী টার্মিনালে যাত্রী চাপ কিছুটা বাড়ে।
গাবতলী টার্মিনালের শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, কাউন্টার না সরালে কোনদিন যানজট কমবে না। মন্ত্রী কী করবেন। যতক্ষণ থাকবেন ততক্ষণ কিছু বাস রাস্তা থেকে সরানো হবে। এরপর শেষ। এ বিষয়ে গাবতলী বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনর ট্রেজারার কামাল উদ্দিন জাসদ বলেন, বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কিছু বাস রাস্তায়। কাউন্টার নিয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানান, শুক্রবার যাত্রী চাপ খুব একটা নেই। আশা করছি শনিবার থেকে চাপ বাড়বে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক। শুক্রবার সকালের দিকে বাইপাইল এলাকার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তিনি জানান, বৃষ্টি না হলে মহাসড়কে দুর্ভোগ হবে না। তবে বৃষ্টি হলে মহাদুর্ভোগ নেমে আসবে।
লঞ্চে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা ॥ ছুটির দিন সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। নদীবন্দরজুড়ে মানুষ আর মানুষ। সবার চেষ্টা একটু ভাল জয়াগা, একটু ভাল আসন। ব্যর্থ হলে- কোথাও একটু জায়গা পেলেও খুশি। এভাবে প্রিয়জনের সঙ্গে বাঁধন এক করার চেষ্টা।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলভিত্তিক ঢাকা-বরিশাল রুটের সুরভী, পারাবত, কীর্তনখোলা, অগ্রদূত প্লাসের কেবিনের অগ্রিম টিকেট চলছে। একই কথা জানান, বরিশাল, ভোলা, ভাণ্ডারিয়া, শিকারপুর, চৌধুরীরহাট, মিরেরহাট, বানারীপাড়া, ইন্দ্রেরহাট, কাউখালী, হুলারহাট, পিরোজপুর ও চাঁদপুরগামী লঞ্চ এমভি তরীকা, সুন্দরবন, আগরপুর নেভিগেশন কোং, রাজদূত, সুরভী, টিপু, পূবালী ও ময়ূরী লঞ্চ কর্তৃপক্ষও। বিলাসবহুল সুরভী লঞ্চের মালিকদের একজন মোঃ রিয়াজউল কবির বলেন, লঞ্চের অগ্রিম টিকেটের জন্য স্লিপ নেয়া হয়েছে। স্লিপ নেয়া টিকেট ২০ জুলাই থেকে দেয়া শুরু হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মপরিচালক সাইফুল হক খান বলেন, টিকেট বিক্রির বিষয়টি লঞ্চের মালিকদের ওপর নির্ভর করে। কারণ তাঁদের সঙ্গে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েই ২৪ জুলাই থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ৪৪টি নৌপথে ১৮০টি লঞ্চ যাতায়াত করছে। প্রতিটি লঞ্চের ধারণক্ষমতা কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ হাজার। কেবিন সঙ্কটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বরিশাল ও পটুয়াখালীর যাত্রীদের জন্য এই সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এসআই শামসুল আলম বলেন, সদরঘাট টার্মিনালের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। টার্মিনালে সর্বক্ষণিক র্যাব মোতায়েন আছে। কোন ধরনের অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. শামছুদ্দোহা খন্দকার বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ঈদের পাঁচ দিন আগ থেকে ১০ দিনের জন্য স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চালু করছে। এবার অন্তত ৩০ লাখ যাত্রী লঞ্চের মাধ্যমে রাজধানী ছেড়ে যাবে আর ১৮০টি লঞ্চ এসব ঘরমুখো মানুষকে বহন করবে। ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিসে ১৮টি নতুন লঞ্চ যুক্ত হচ্ছে। যে কোন ধরনের দুর্ঘটনারোধে উদ্ধারকারী যানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, শুক্রবার সড়ক-মহাসড়ক ছিল স্বাভাবিক। কোথাও যানজটের কোন খবর আসেনি। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। কিছু কিছু স্থানে রাস্তা খারাপ থাকায় বাসযাত্রীদের পৌঁছতে একটু বিলম্ব হয়ত হয়েছে। তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কে দুর্ভোগ কমাতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করলে মানুষ শান্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।
ঢিল ছোড়া প্রতিরোধে ব্যবস্থা ॥ ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে ট্রেনে ঢিল ছোড়া প্রতিরোধে ‘বিশেষ নজরদারি’ শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি কামরুল আহসান জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন কোনভাবে আক্রান্ত না হয় সেজন্য রেলওয়ে পুলিশ বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে। স্টেশন এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও গানম্যানদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার কথাও জানান তিনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের বেশ কয়েকটি স্থানে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে আসছে। এতে আহত হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। গতবছর ঈদের পরদিন ১১ আগস্ট চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে চলন্ত ট্রেনে দুর্বৃত্তের ঢিলে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনার পর ঢিল ছোড়া প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে ॥ প্ল্যাটফর্মে প্ল্যাটফর্মে টিকেট না পাওয়া যাত্রীদের ভিড়। তাঁদের অনেকেই ঝুলবেন রেলের ছাদে। রয়েছে শিশু-নারীও। জীবনের ঝুঁকি। তবু বাড়ি ফেরা চাই সবার। এমন অবস্থায় সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে একের পর এক ট্রেন। কিছু রুটের ট্রেনে এ চিত্র তেমন দেখা না গেলেও বেশিরভাগ ট্রেন টানছে অতিরিক্ত যাত্রী। কমলাপুর রেলস্টেশন ছাড়াও বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে বসে আছেন শত শত যাত্রী। যাঁরা রেলের ছাদে ঝুলে ছুটবেন বিভিন্ন গন্তব্যে। একটু অসতর্কতায় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু তারপরও বাড়ি ফেরা চাই। তাই নিচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ শ্রমজীবী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জনস্রোত রেলস্টেশনজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়ি ফেরা মানুষের ব্যস্ততায় সরগরম কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন। তবে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাত্রী ভিড় বেশি। অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ সারি সেখানে। কিন্তু সেই বাড়ি ফেরা এবারও নিরাপদ হচ্ছে না। যেখানে শত শত মানুষ ছাদে উঠে নিচ্ছে ঝুঁকি। এ ঝুঁকি কমাতে কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছে না রেলস্টেশন কর্তাব্যক্তিদের। ভিড় সামলাতে ব্যস্ত স্টেশন কর্মকর্তারা কেউ কথা বলতেও রাজি নন। তবে কমলাপুরে রেল নিরাপত্তাকর্মীদের মাঝে মাঝে ছাদে যাত্রী ওঠা ঠেকাতে তৎপর হতে দেখা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা সফলও হয়েছেন। কিন্তু মানুষের স্রোত আর প্রবল আগ্রহের কাছে কখনও কখনও তাঁরা যেন অনেকটা অসহায়। চোখ ফাঁকি দিয়েও অনেকে ছাদে বা ইঞ্জিনে চেপে বসেছেন।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এবার অতীতের মতো তেমন সিডিউল বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে না। সকাল থেকে স্বাভাবিক আছে ট্রেন চলাচল। নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ ট্রেন। বাড়ি ফিরছেন মানুষ। শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মোট ৪৫টি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে ২৭টি আন্তঃনগর। বিকেল পর্যন্ত ৩০টির বেশি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে কমলাপুর ত্যাগ করেছে। ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে ছয়টি ট্রেন কম-বেশি আধাঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।
কমলাপুর স্টেশনমাস্টার শাখাওয়াত হোসেন জানান, এদিন ভোর ৫টা ১০ মিনিট থেকে ট্রেন ছাড়া শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৫টি ট্রেন ছাড়বে। তিনি জানান, রাস্তার কোন ধরনের সমস্যা না হলে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কোন আশঙ্কা নেই। তাছাড়া কাঁচামাল ও গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ছাড়া ঈদের আগে ও পরে সবধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ। অর্থাৎ মালবাহী ট্রেনগুলো চলবে না। তাছাড়া রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁদের প্রত্যেকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সঙ্গতকারণেই আমাদের সকলের চেষ্টা সময়মতো ট্রেনগুলোর যাত্রা শুরু করা। যাত্রীদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় সময়মতোই কমলাপুর থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। সকাল ১০টায় দিনাজপুরের উদ্দেশে ছেড়েছে পদ্মা, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ১০টা ২০ মিনিটে। ১১টা ৩৫ মিনিটে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘ঈশা খাঁ’ ও দুপুর ১২টায় সিলেটের উদ্দেশে ‘জয়ন্তিকা’ ট্রেনটি সময়মতোই স্টেশন ছেড়ে গেছে। পরবর্তী ট্রেন সিল্কসিটি দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়েছে। বিকেল ৩টায় শোভন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, কমলাপুরে এবার যে কোন বারের চেয়ে অত্যন্ত সুন্দর ব্যবস্থাপনায় ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে। যাত্রীরাও খুশি। ট্রেনে বাড়তি লোকজনের ভিড় হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেই। তাই বিশেষ সময়ে এ রকম কিছু ভিড় সহ্য করেই চলতে হচ্ছে। কারণ সবাই বাড়ি যেতে চান। যাঁরা সিটের টিকেট পাননি তাঁদের স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়ার চেষ্টা করছি। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে করে কোন সিডিউল বিপর্যয় না হয়। এখনও পর্যন্ত সিডিউলে কোন সমস্যা না হওয়ায় স্টেশনের পরিবেশ খুব সুন্দর আছে। আমরা এই পরিবেশটা বজায় রাখতে চাই।
গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রী কম ॥ উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা আগেভাগেই বাসের টিকেট সংগ্রহ করেছিলেন। বাসে দ্বিতীয় দিনের মতো ঈদ যাত্রায় গাবতলী টার্মিনালে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বেলা ১২টার পর কমে আসে ভিড়। কিন্তু ভোর থেকে নামে মানুষের ঢল। পায়ে পায়ে স্রোত যেন মিলেছিল গাবতলীর দিকে। শ্যামলী, সোহাগ, স্টার লাইন, এস আলমসহ বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারের সামনে মানুষ আর মানুষ। অনেকে যানজটের ভয়ে এসেছেন অন্তত তিন ঘণ্টা আগে। শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী দিলারা জানান, সকাল আটটায় বাস। ভোর পাঁচটায় রওনা দিয়ে এসেছি। যানজটের ভয়ে একটু আগেভাগেই যাত্রা।
দুপুরের পর টার্মিনালের চিত্র বদলে যায়। নয়নাভিরাম গাবতলী বাস টার্মিনাল। শত শত বাস রাখা যায় এক সঙ্গে। কিন্তু রাখার জায়গা থাকলে কী হবে টার্মিনাল পড়ে রয়েছে একেবারেই ফাঁকা। কারণ এক সময় টার্মিনালের ভেতরে কাউন্টার থাকলেও কাউন্টার এখন স্থানান্তরিত হয়েছে টেকনিক্যাল, রজব আলী আর কল্যাণপুরে। রাস্তায় কাউন্টার হওয়ায় সড়কে ওপর দাঁড়িয়ে থাকে বাস। বাসগুলো রাখতে হচ্ছে না টার্মিনালের ভেতর। যার ফলে টেকনিক্যাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সারাক্ষণ থাকে তীব্র যানজট। ঈদকে সামনে রেখে যানজট আরও চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকালে টেকনিক্যাল থেকে গাবতলী পর্যন্ত প্রায় ৩ কি. মিটারে দেখা যায় তীব্র যানজট। তবে বিকেলে আবারও গাবতলী টার্মিনালে যাত্রী চাপ কিছুটা বাড়ে।
গাবতলী টার্মিনালের শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, কাউন্টার না সরালে কোনদিন যানজট কমবে না। মন্ত্রী কী করবেন। যতক্ষণ থাকবেন ততক্ষণ কিছু বাস রাস্তা থেকে সরানো হবে। এরপর শেষ। এ বিষয়ে গাবতলী বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনর ট্রেজারার কামাল উদ্দিন জাসদ বলেন, বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কিছু বাস রাস্তায়। কাউন্টার নিয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানান, শুক্রবার যাত্রী চাপ খুব একটা নেই। আশা করছি শনিবার থেকে চাপ বাড়বে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক। শুক্রবার সকালের দিকে বাইপাইল এলাকার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তিনি জানান, বৃষ্টি না হলে মহাসড়কে দুর্ভোগ হবে না। তবে বৃষ্টি হলে মহাদুর্ভোগ নেমে আসবে।
লঞ্চে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা ॥ ছুটির দিন সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। নদীবন্দরজুড়ে মানুষ আর মানুষ। সবার চেষ্টা একটু ভাল জয়াগা, একটু ভাল আসন। ব্যর্থ হলে- কোথাও একটু জায়গা পেলেও খুশি। এভাবে প্রিয়জনের সঙ্গে বাঁধন এক করার চেষ্টা।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলভিত্তিক ঢাকা-বরিশাল রুটের সুরভী, পারাবত, কীর্তনখোলা, অগ্রদূত প্লাসের কেবিনের অগ্রিম টিকেট চলছে। একই কথা জানান, বরিশাল, ভোলা, ভাণ্ডারিয়া, শিকারপুর, চৌধুরীরহাট, মিরেরহাট, বানারীপাড়া, ইন্দ্রেরহাট, কাউখালী, হুলারহাট, পিরোজপুর ও চাঁদপুরগামী লঞ্চ এমভি তরীকা, সুন্দরবন, আগরপুর নেভিগেশন কোং, রাজদূত, সুরভী, টিপু, পূবালী ও ময়ূরী লঞ্চ কর্তৃপক্ষও। বিলাসবহুল সুরভী লঞ্চের মালিকদের একজন মোঃ রিয়াজউল কবির বলেন, লঞ্চের অগ্রিম টিকেটের জন্য স্লিপ নেয়া হয়েছে। স্লিপ নেয়া টিকেট ২০ জুলাই থেকে দেয়া শুরু হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মপরিচালক সাইফুল হক খান বলেন, টিকেট বিক্রির বিষয়টি লঞ্চের মালিকদের ওপর নির্ভর করে। কারণ তাঁদের সঙ্গে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েই ২৪ জুলাই থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ৪৪টি নৌপথে ১৮০টি লঞ্চ যাতায়াত করছে। প্রতিটি লঞ্চের ধারণক্ষমতা কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ হাজার। কেবিন সঙ্কটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বরিশাল ও পটুয়াখালীর যাত্রীদের জন্য এই সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এসআই শামসুল আলম বলেন, সদরঘাট টার্মিনালের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। টার্মিনালে সর্বক্ষণিক র্যাব মোতায়েন আছে। কোন ধরনের অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. শামছুদ্দোহা খন্দকার বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ঈদের পাঁচ দিন আগ থেকে ১০ দিনের জন্য স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চালু করছে। এবার অন্তত ৩০ লাখ যাত্রী লঞ্চের মাধ্যমে রাজধানী ছেড়ে যাবে আর ১৮০টি লঞ্চ এসব ঘরমুখো মানুষকে বহন করবে। ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিসে ১৮টি নতুন লঞ্চ যুক্ত হচ্ছে। যে কোন ধরনের দুর্ঘটনারোধে উদ্ধারকারী যানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/
No comments:
Post a Comment