Friday, August 1, 2014

নোয়াখালীতে হিন্দু বাড়ি ও মন্দিরে হামলা ভাংচুর গ্রেফতার ৩ খেলা নিয়ে বিরোধের জের

নোয়াখালীতে হিন্দু বাড়ি ও মন্দিরে হামলা ভাংচুর গ্রেফতার ৩
খেলা নিয়ে বিরোধের জের
নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১ আগস্ট ॥ সোনাইমুড়িতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে একটি হিন্দু বাড়ি ও মন্দিরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মহিলাসহ অন্তত ৭জন আহত হয়। উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের কর্মকার বাড়িতে এবং বাড়ির সামনের মন্দিরে বুধবার বিকালে এই হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোনাইমুড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ সিরাজুল ইসলাম (৬১), মানিক (৩৫) ও সৈকত (১৮) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় তাঁরা সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন এবং এর আগে তাঁরা ভাংচুর হওয়া বাড়ি ও মন্দির পরিদর্শন করেন।
হামলার শিকার হিন্দু পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে ধন্যপুর গ্রামের কর্মকার বাড়ির সামনে শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর মন্দিরের সংলগ্ন মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে কর্মকার বাড়ির ছেলেদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সিরাজ মিয়ার বাড়ির ছেলেদের কথাকাটি হয়। তাৎক্ষণিক কর্মকার বাড়ির লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তুু এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কর্মকার বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে বসত ঘরে হামলা চালায় এবং ঠাকুর ঘরে (প্রার্থনা কক্ষ) হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।
এ সময় বাধা দিতে আসলে রুপেশ কর্মকার (২০), সঞ্জয় কর্মকার (২২), সুখদেব কর্মকার (১৮), ছানু রানী কর্মকারসহ (৫০) অন্তত ৭ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর মন্দির কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ কর্মকার অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে চলে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনের মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুর করে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ নিয়ে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুধীর রঞ্জন সাহা ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় কিশোর রায়ের নেতৃত্বে পূঁজা উদযাপন পরিষদ, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও মন্দির পরিদর্শন শেষে সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সামাদের সঙ্গে সাক্ষাত করে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ নিয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাইমুড়ি থানার এসআই ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/

No comments:

Post a Comment