ইরাকে ভার্সিটি ছাত্রছাত্রীরা এক সঙ্গে ক্লাস করতে পারবে না
কট্টর জঙ্গী গোষ্ঠীর নির্দেশ
বাংলানিউজ ॥ উত্তর ইরাকের মসুল শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের এক সঙ্গে ক্লাস না করার নির্দেশ দিয়েছে কট্টর সুন্নী মুসলিম জঙ্গী গোষ্ঠী দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল সুমারিয়ার বরাত দিয়ে আল আরাবিয়া ইংরেজী নিউজ পোর্টাল শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করে।
আল আরাবিয়া জানায়, আইএসআইএস গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ডিনদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। এ সময় তারা একই ক্লাসরুমে একই সঙ্গে ছাত্র ও ছাত্রীদের ক্লাস করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়। আইএসআইএস জঙ্গীদের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত ছাত্রীদের ক্লাস ও দুপুর দুটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ছাত্রদের আলাদা ক্লাস নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এ ছাড়াও আইএসআইএস মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিক্যুলাম ও সিলেবাসে পরিবর্তন আনতে বলেছে। এর মধ্যে বিশেষ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইন বিষয়ের কোর্সে পরিবর্তন আনতে হবে। অর্থাৎ কোর্স সংশোধন করতে হবে। তবে কী সংশোধন করতে হবে তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমটি বিস্তারিত জানায়নি।
দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া মুসলিম জঙ্গী গোষ্ঠী ১০ জুন ইরাকের দ্বিতীয় বড় শহর মসুল দখল করে খিলাফত রাষ্ট্রের ঘোষণা দেয়। এর পর সিরিয়ার একটি অংশ দখল করে নেয় তারা। এদিকে, আইএসআইএস জঙ্গীরা মসুল শহর দখল করার পর সেখানকার খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। কারণ, আইএসআইএস তাদের হুমকি দিয়েছিল যে, হয় তাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে ও ট্যাক্স দিতে হবে অথবা তাদের মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে। এর পরেই স্থানীয় খ্রীস্টানরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ছাড়াও একই কারণে শহরের আরও ছোট ধর্মীয় সম্প্রদায় ইয়াজিদিস ও শিয়া তুর্কুমেন সম্প্রদায়ের লোকজনও মসুল শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আল আরাবিয়া জানায়, আইএসআইএস গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ডিনদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। এ সময় তারা একই ক্লাসরুমে একই সঙ্গে ছাত্র ও ছাত্রীদের ক্লাস করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়। আইএসআইএস জঙ্গীদের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত ছাত্রীদের ক্লাস ও দুপুর দুটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ছাত্রদের আলাদা ক্লাস নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এ ছাড়াও আইএসআইএস মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিক্যুলাম ও সিলেবাসে পরিবর্তন আনতে বলেছে। এর মধ্যে বিশেষ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইন বিষয়ের কোর্সে পরিবর্তন আনতে হবে। অর্থাৎ কোর্স সংশোধন করতে হবে। তবে কী সংশোধন করতে হবে তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমটি বিস্তারিত জানায়নি।
দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া মুসলিম জঙ্গী গোষ্ঠী ১০ জুন ইরাকের দ্বিতীয় বড় শহর মসুল দখল করে খিলাফত রাষ্ট্রের ঘোষণা দেয়। এর পর সিরিয়ার একটি অংশ দখল করে নেয় তারা। এদিকে, আইএসআইএস জঙ্গীরা মসুল শহর দখল করার পর সেখানকার খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। কারণ, আইএসআইএস তাদের হুমকি দিয়েছিল যে, হয় তাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে ও ট্যাক্স দিতে হবে অথবা তাদের মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে। এর পরেই স্থানীয় খ্রীস্টানরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ছাড়াও একই কারণে শহরের আরও ছোট ধর্মীয় সম্প্রদায় ইয়াজিদিস ও শিয়া তুর্কুমেন সম্প্রদায়ের লোকজনও মসুল শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment