গাজায় বেঁচে থাকার সব পথ বন্ধ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ আগস্ট, ২০১৪
গাজায় বেঁচে থাকার সব পথ বন্ধ করে দিচ্ছে ইসরাইল। কেবল মৃত্যুর দরজাই যেন খোলা। ঘর-বাড়ি-স্থাপনা ধ্বংস করার পর এবার টার্গেট পানি-বিদ্যুৎ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। শরণার্থী শিবিরগুলোও রেহাই পাচ্ছে না ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে। এর মধ্যেও যারা আহত হয়ে যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকছে, তারা পাচ্ছে না খাবার পানি। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ায় ঘোর অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছে তারা। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করতেও বিপাকে পড়েছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। মৌলিক চাহিদায় আঘাত হেনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের। জীবনের সব দুয়ার রুদ্ধ হয়ে মৃত্যুই একমাত্র গন্তব্য হয়ে উঠেছে গাজা।
এদিকে ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা মা’আন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় আরো ৮৪ জন নিহত এবং ২৫৮ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ১,৪৯৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৮,২৯৫ জন। গাজার গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার ৪০০ কোটি ডলার বা ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইসরাইলের বর্বর হামলায় গাজার ৫,২৩৮টি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরাইল : নাভি পিল্লাই
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই বলেছেন, গাজায় চলমান আগ্রাসনে ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক আইন পদদলিত করে যুদ্ধপরাধ করছে ইসরাইল। জেনেভায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া তিনি হামাসেরও কিছু সমালোচনা করেছেন।
নাভি পিল্লাই বলেন, গাজায় স্কুল, হাসপাতাল, ঘরবাড়ি এবং জাতিসংঘ স্থাপনাসহ বেসামরিক মানুষ বসবাসকারী এলাকায় হামলা করে তেলআবিব আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করেছে। এ জাতীয় হামলা ঘটনাক্রমে হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য মানবিক কারণে গাজায় যুদ্ধের বিরতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তা হলে পানি ও খাদ্য জোগাড়ের অবকাশ পাবেন ফিলিস্তিনিরা।
এছাড়া গাজার বিদ্যুৎ প্লান্ট, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, পানির কূপগুলোর ওপর ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা করে নাভি পিল্লাই বলেন, ২০০৯ সালের গাজা যুদ্ধের সময়ও একই কাজ করেছে ইসরাইল। গাজায় এখন যা ঘটছে তা আগেও ঘটেছে এবং গাজা যুদ্ধসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি ইসরাইলের এ জাতীয় তৎপরতাকে যুদ্ধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
তার কঠোর সমালোচনা থেকে রেহাই পায়নি ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ইসরাইলের গোলার আঘাত থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার বদলে তেলআবিবের আয়রন ডোম উন্নয়নে অর্থ ঢালছে আমেরিকা
No comments:
Post a Comment