ভারতে রেসিডেন্ট পারমিট মিলেছে: তসলিমা
নিউজ ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-08-02 22:34:11.0 BdST Updated: 2014-08-03 10:23:36.0 BdST
ভারতে বসবাসের জন্য ফের রেসিডেন্ট পারমিট (আবাসিক অবস্থানের অনুমতি) পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন।
RELATED STORIES
-
2014-08-02 18:38:08.0
শনিবার রাতে এনডিটিভিকে তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি। আমাকে এ দেশে বসবাসের অনুমতি দেয়ায় সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”
এর পাশাপাশি যারা ভিসা জটিলতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টুইটও করেছেন এই লেখক।
“আমি এখন আর নিরাশ্রয় বোধ করছি না। আপনাদের ভালবাসাই আমার বাড়ি, আমার দেশ।”
এর আগে দুপুরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করে দেশটিতে বেশি দিন বসবাসের অনুমতি চান তিনি।
চিকিৎসক তসলিমা গত শতকের ’৯০ এর দশকে লেখালেখি শুরুর পর আলোচনায় উঠে আসেন। বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে উপন্যাস ‘লজ্জা’ প্রকাশের পর মৌলবাদীদের হুমকি ও ব্যাপক হৈ চৈয়ের মধ্যে ১৯৯৪ সালে দেশত্যাগে বাধ্য হন তিনি। এরপর বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন এই লেখিকা।
২০০৪ সালে ভারত রেসিডেন্ট পারমিট ভিসা দেয় তসলিমাকে। প্রথমে ছয় মাসের এবং পরবর্তী সময় এক বছর করে এ পারমিট দেয়া হতো।
সম্প্রতি এই সুবিধা বাতিল করে তার ভিসার মেয়াদ দুই মাস নির্দিষ্ট করে দেয় সরকার।
ভারত সরকারের ওই সিদ্ধান্তে হতাশা জানিয়ে তসলিমা বলেন, এমনটা হবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তসলিমাকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান দেশটির সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মারকান্ডে কাতজু।
ভারতের প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে থাকা এই বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে ভারতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, তসলিমার বিতর্কিত বই লজ্জা তিনি পড়েছেন। তবে তাতে ইসলামবিরোধী কোনো বক্তব্য পাননি।
“আমার মতে ভারতে বসবাসের জন্য তাকে স্থায়ী ভিসা দেয়া উচিত। লজ্জা লেখার পর কিছু গোঁড়ামির জন্য তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।”
“এতে শুধু বাবরি মসজিদ ভাঙার পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের বিষয়টি উঠে এসেছে। এই বইতে ইসলামবিরোধী কিছু নেই।”
এরপর শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথের সঙ্গে দেখা করেন তসলিমা।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এক টুইটে তিনি বলেন,“আজ বিকালে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করলাম। তাকে আমার ‘ও আঁধেরি দিন’ বইটা দিলাম। উনি বললেন, আপকা আঁধেরি দিন খতম হো জায়েগা।”
বর্তমানে সুইডেনের নাগরিকত্ব থাকলেও গত দুই দশকে ভারত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশে কাটিয়েছেন তসলিমা। অবশ্য বিভিন্ন সময়ে ভারতে বিশেষ করে কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment