ইসরাইল-জাতিসংঘ সম্পর্কে অবনতি
টানা ইসরাইলী হামলায় ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ কর্মকর্তারা
জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরাইলী হামলা এবং হতাহত বেসামরিক লোকজনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের উর্ধতন কর্মকর্তারা ইসরাইলের প্রতি ক্রমশ তিরস্কার ও সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। এ পরিস্থিতি বৃহস্পতিবার রাতে অস্ত্রবিরতি ঘোষিত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে চরম উত্তেজনার রূপ নেয়। খবর নিউইয়র্ক টাইমস/অনলাইনের।
দৃশ্যের অন্তরালে জাতিসংঘ দফতরে দফতরে কূটনীতিকরা ইসরাইলী, ফিলিস্তিনী ও ইসরাইলের প্রধান শত্রু হামাসের ওপর প্রভাব রয়েছে এমন সব দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনবরত ফোনে কথা বলেন। এ চেষ্টার ফলে মানবিক কারণে বৃহস্পতিবার রাতে ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র এবং নয়াদিল্লী সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ওই অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশ্য বাকযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করে। জাতিসংঘ বুধবার ভোরে জাতিসংঘ পরিচালনাধীন এক স্কুলে হামলা চালানোর দায়ে ইসরাইলকে দোষারোপ করে। এত অন্তত ১৯ ব্যক্তি নিহত হয়। তারা ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। আর ইসরাইলও হামাসকে সহায়তা করার দায়ে বিশ্ব সংস্থাকে অভিযুক্ত করে। জাতিসংঘকে সংঘর্ষে টেনে আনা হয়েছে। গত ২৪ দিনে এর আট কর্মী নিহত হন এবং ওই স্কুলটিসহ জাতিসংঘের ১০০টিরও বেশি স্থাপনা গোলাবর্ষণের শিকারে পরিণত হয়। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা ইসরাইলকে স্কুলটির সঠিক অবস্থান বার বার জানিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের ডেপুটি মহাসচিব ও সাবেক সুইডিশ কূটনীতিক জ্যান এলিয়াসন বুধবার ইসরাইলকে জেনেভা কনভেনশনের কথা প্রকাশ্যে স্মরণ করিয়ে দিতে গিয়ে স্পষ্টতই রাগান্বিত হন। এ কনভেনশনই যুদ্ধ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন প্রতিষ্ঠা করে। জেনেভাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা নাবি পিল্লাই যুদ্ধাপরাধের সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
গাজার জাতিসংঘ ত্রাণ ও পূর্ত সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস্টোফার গানেস আলজাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাতকারের পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আর ওই সংস্থার কমিশনার জেনারেল পিয়ারে ক্রাহেনবুল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন যে, সামরিক অভিযান মাত্রাতিরিক্ত শক্তি সহকারে ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকাগুলোতে চালানো হয়। ফিলিস্তিনীদের সহায়তা করা ওই সংস্থার দায়িত্ব। ইসরাইল কদাচিৎই জাতিসংঘকে এক বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে দেখেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে উত্তেজনা এত প্রকট হয়ে উঠেছে যে, দু’পক্ষে কতজন মারা গেছে তা নিয়ে এ পর্যন্ত মতবিভক্ত রয়েছে। জাতিসংঘের মতে, নিহতদের শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরাইল ক্ষুব্ধকণ্ঠে ওই বক্তব্যের জবাব দেয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলী রাষ্ট্রদূত রন প্রোসর মাত্র গত সপ্তাহেই বলেন যে, তার সরকার নিহতদের প্রায় অর্ধেকই যোদ্ধা ছিল বলে প্রমাণ করেছে। গাজার চারদিকে ইসরাইলের অবরোধ আরোপে দুঃখ প্রকাশ করছেন এমন জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের প্রতি উপহাস করেন প্রোসর। তিনি বলেন, হামাস সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ‘সুড়ঙ্গপথ’ তৈরি করতে কনক্রিট ব্যবহার করছে। তিনি জাতিসংঘের স্কুলগুলোতে রকেট দেখতে পাওয়া যাওয়ায় এর কর্মকর্তাদের বার বার তিরস্কার করেন।
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে এক ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রোসর জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়ক ভ্যালেরি আমোসকে তিরস্কার করেন। কারণ আমোস ইসরাইল রকেট হামলার মুখে পড়েছে বলে স্বীকার করলেও সে জন্য হামাসকে দোষারোপ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। আমোস নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া তাঁর ব্রিফিংয়ে অবশ্যই হামাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের আওতায় ইসরাইলী সরকার, হামাস ও অন্যান্য দলের অবশ্যই সামরিক লক্ষ্যবস্তু ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু এবং যোদ্ধা ও বেসামরিক লোকজনকে পৃথক পৃথক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। রকেট ইস্যুতে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা নিরাপত্তার কারণে ছেড়ে গিয়েছিলেন এমন সব ভবনে রকেটগুলো দেখতে পাওয়া যায় এবং তাদের কর্মচারীরাই সেগুলো দেখতে পান। তাঁরা জাতিসংঘের ভবনে যারা সেগুলো রেখেছিল তাদের নিন্দা করেন। এটি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।
দৃশ্যের অন্তরালে জাতিসংঘ দফতরে দফতরে কূটনীতিকরা ইসরাইলী, ফিলিস্তিনী ও ইসরাইলের প্রধান শত্রু হামাসের ওপর প্রভাব রয়েছে এমন সব দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনবরত ফোনে কথা বলেন। এ চেষ্টার ফলে মানবিক কারণে বৃহস্পতিবার রাতে ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র এবং নয়াদিল্লী সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ওই অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশ্য বাকযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করে। জাতিসংঘ বুধবার ভোরে জাতিসংঘ পরিচালনাধীন এক স্কুলে হামলা চালানোর দায়ে ইসরাইলকে দোষারোপ করে। এত অন্তত ১৯ ব্যক্তি নিহত হয়। তারা ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। আর ইসরাইলও হামাসকে সহায়তা করার দায়ে বিশ্ব সংস্থাকে অভিযুক্ত করে। জাতিসংঘকে সংঘর্ষে টেনে আনা হয়েছে। গত ২৪ দিনে এর আট কর্মী নিহত হন এবং ওই স্কুলটিসহ জাতিসংঘের ১০০টিরও বেশি স্থাপনা গোলাবর্ষণের শিকারে পরিণত হয়। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা ইসরাইলকে স্কুলটির সঠিক অবস্থান বার বার জানিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের ডেপুটি মহাসচিব ও সাবেক সুইডিশ কূটনীতিক জ্যান এলিয়াসন বুধবার ইসরাইলকে জেনেভা কনভেনশনের কথা প্রকাশ্যে স্মরণ করিয়ে দিতে গিয়ে স্পষ্টতই রাগান্বিত হন। এ কনভেনশনই যুদ্ধ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন প্রতিষ্ঠা করে। জেনেভাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা নাবি পিল্লাই যুদ্ধাপরাধের সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
গাজার জাতিসংঘ ত্রাণ ও পূর্ত সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস্টোফার গানেস আলজাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাতকারের পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আর ওই সংস্থার কমিশনার জেনারেল পিয়ারে ক্রাহেনবুল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন যে, সামরিক অভিযান মাত্রাতিরিক্ত শক্তি সহকারে ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকাগুলোতে চালানো হয়। ফিলিস্তিনীদের সহায়তা করা ওই সংস্থার দায়িত্ব। ইসরাইল কদাচিৎই জাতিসংঘকে এক বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে দেখেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে উত্তেজনা এত প্রকট হয়ে উঠেছে যে, দু’পক্ষে কতজন মারা গেছে তা নিয়ে এ পর্যন্ত মতবিভক্ত রয়েছে। জাতিসংঘের মতে, নিহতদের শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরাইল ক্ষুব্ধকণ্ঠে ওই বক্তব্যের জবাব দেয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলী রাষ্ট্রদূত রন প্রোসর মাত্র গত সপ্তাহেই বলেন যে, তার সরকার নিহতদের প্রায় অর্ধেকই যোদ্ধা ছিল বলে প্রমাণ করেছে। গাজার চারদিকে ইসরাইলের অবরোধ আরোপে দুঃখ প্রকাশ করছেন এমন জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের প্রতি উপহাস করেন প্রোসর। তিনি বলেন, হামাস সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ‘সুড়ঙ্গপথ’ তৈরি করতে কনক্রিট ব্যবহার করছে। তিনি জাতিসংঘের স্কুলগুলোতে রকেট দেখতে পাওয়া যাওয়ায় এর কর্মকর্তাদের বার বার তিরস্কার করেন।
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে এক ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রোসর জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়ক ভ্যালেরি আমোসকে তিরস্কার করেন। কারণ আমোস ইসরাইল রকেট হামলার মুখে পড়েছে বলে স্বীকার করলেও সে জন্য হামাসকে দোষারোপ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। আমোস নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া তাঁর ব্রিফিংয়ে অবশ্যই হামাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের আওতায় ইসরাইলী সরকার, হামাস ও অন্যান্য দলের অবশ্যই সামরিক লক্ষ্যবস্তু ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু এবং যোদ্ধা ও বেসামরিক লোকজনকে পৃথক পৃথক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। রকেট ইস্যুতে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা নিরাপত্তার কারণে ছেড়ে গিয়েছিলেন এমন সব ভবনে রকেটগুলো দেখতে পাওয়া যায় এবং তাদের কর্মচারীরাই সেগুলো দেখতে পান। তাঁরা জাতিসংঘের ভবনে যারা সেগুলো রেখেছিল তাদের নিন্দা করেন। এটি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।
No comments:
Post a Comment