রাজনীতিক হওয়ার মতো তেজস্বিতা রাহুলের নেই
এনডিটিভিকে নটবর
‘ওয়ান লাইফ টু লাভ’ নামে স্মৃতিচারণ বইটি নিয়ে সোনিয়া গান্ধী যেভাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তাতে ভারতের কংগ্রেস দলের সাবেক শীর্ষ নেতা নটবর সিং উদ্বিগ্ন নন। শুক্রবার এনডিটিভিকে বলেছেন, কংগ্রেস সভানেত্রীর প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে তিনি বিচলিত বোধ করছেন। নটবর দাবি করেন যে, নতুন লেখা বইটিতে সত্য প্রকাশের জন্য অন্তত ৫০ জন কংগ্রেস সদস্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভি অনলাইনের।
সোনিয়ার ছেলে রাহুল গান্ধীকে নটবর একজন ভাল মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একজন পুরোদস্তুর রাজনীতিক হওয়ার জন্য যে ধরনের তেজস্বিতা থাকা দরকার সেটি রাহুলের নেই। সোনিয়া বৃহস্পতিবার এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি নিজের একটি বই লিখব... যদি সে রকম কিছু লিখি কেবলই তখন সত্য প্রকাশিত হতে পারে।’ সোনিয়া নটবরের লেখা সদ্য প্রকাশিত ওয়ান লাইফ টু লাভ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওই বইতে সোনিয়াকে এক ‘বিষাক্ত’ চরিত্র হিসেবে নটবর তুলে ধরেছেন। নটবরের মতে, সোনিয়া এক সন্দেহবাতিকগ্রস্ত মহিলা। তিনি আরও বলেন, সোনিয়া ভারতে পা রাখার শুরু থেকেই এক ধরনের রাজকীয় আচরণ করে গেছেন। শুক্রবার এনডিটিভিকে নটবর বলেন, তাঁর সাবেক নেত্রী (সোনিয়া) যদি কিছু লেখেন সেটি পড়ার জন্য তিনি অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। নটবরের বয়স এখন ৮৩ বছর। ২০০৪ সালে কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন নটবরের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল। নটবরকে তখন পররাষ্ট্র্রমন্ত্রীর পদটি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর এক বছর পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। নটবর অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। নটবর লিখেছেন, তখন এমন ধারণা তৈরি করা হয়েছিল যে তিনি সোনিয়ার পক্ষ হয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করছেন কিন্তু এমন একটি অভিযোগ ওঠার পরও সোনিয়া চুপ করে থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণের পথ করে দিয়েছিলেন। সোনিয়ার ইতালীয় যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করে নটবর লিখেছেন যে, কোন ভারতীয় তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করতেন না। নটবর অবশ্য সোনিয়ার প্রয়াত স্বামী রাজীব গান্ধীকে একজন চমৎকার মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নটবর বলেন, ‘বয়োজ্যেষ্ঠকে বয়োকনিষ্ঠের সম্মান করার যে রীতি আমরা মেনে চলি সেটা ভারতে জন্মগ্রহণ করেনি তারা উপলব্ধি করবে না।’
প্রকৃত সত্য প্রকাশ করে দেব ॥ সোনিয়া
নটবরের বই-বোমা নিষ্ক্রিয় করতে পাল্টা বই লেখার হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া বলেন, এবার আমিও বই লিখব। তখনই সবাই আসল সত্যিটা জানতে পারবেন। বুধবার এক সাক্ষাতকারে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিংহ বলেছিলেন, অন্তরাত্মার ডাকে সোনিয়া প্রধানমন্ত্রী পদের দাবি ছেড়েছিলেন, তা একেবারেই ঠিক নয়। রাহুলই চাননি মা প্রধানমন্ত্রী হোন। তার পর ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এই প্রতিক্রিয়া সোনিয়ার।
নেত্রীর সমর্থনে মুখ খোলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও। তাঁর কথায়, ‘ঘরোয়া আলোচনায় এমন অনেক কথা হয়, যেগুলো বেচে মুনাফা করা ঠিক নয়।’ বৃহস্পতিবার সংসদের সেন্ট্রাল হল থেকে বেরোচ্ছিলেন সোনিয়া।
তখনই নটবরের আত্মজীবনী ও সাক্ষাতকার নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে দৃশ্যত রুষ্ট সোনিয়া বলেন, ‘সত্যিটা একমাত্র তখনই প্রকাশ পাবে যদি আমি বই লিখি। এ ব্যাপারে আমি সিরিয়াস।’ কংগ্রেস সভানেত্রী স্বীকার করেন, প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে তিনি নটবরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি বলেন, এর পরেও যদি উনি কিছু লেখেন, তো লিখুন!
সোনিয়ার ছেলে রাহুল গান্ধীকে নটবর একজন ভাল মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একজন পুরোদস্তুর রাজনীতিক হওয়ার জন্য যে ধরনের তেজস্বিতা থাকা দরকার সেটি রাহুলের নেই। সোনিয়া বৃহস্পতিবার এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি নিজের একটি বই লিখব... যদি সে রকম কিছু লিখি কেবলই তখন সত্য প্রকাশিত হতে পারে।’ সোনিয়া নটবরের লেখা সদ্য প্রকাশিত ওয়ান লাইফ টু লাভ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওই বইতে সোনিয়াকে এক ‘বিষাক্ত’ চরিত্র হিসেবে নটবর তুলে ধরেছেন। নটবরের মতে, সোনিয়া এক সন্দেহবাতিকগ্রস্ত মহিলা। তিনি আরও বলেন, সোনিয়া ভারতে পা রাখার শুরু থেকেই এক ধরনের রাজকীয় আচরণ করে গেছেন। শুক্রবার এনডিটিভিকে নটবর বলেন, তাঁর সাবেক নেত্রী (সোনিয়া) যদি কিছু লেখেন সেটি পড়ার জন্য তিনি অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। নটবরের বয়স এখন ৮৩ বছর। ২০০৪ সালে কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন নটবরের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল। নটবরকে তখন পররাষ্ট্র্রমন্ত্রীর পদটি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর এক বছর পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। নটবর অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। নটবর লিখেছেন, তখন এমন ধারণা তৈরি করা হয়েছিল যে তিনি সোনিয়ার পক্ষ হয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করছেন কিন্তু এমন একটি অভিযোগ ওঠার পরও সোনিয়া চুপ করে থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণের পথ করে দিয়েছিলেন। সোনিয়ার ইতালীয় যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করে নটবর লিখেছেন যে, কোন ভারতীয় তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করতেন না। নটবর অবশ্য সোনিয়ার প্রয়াত স্বামী রাজীব গান্ধীকে একজন চমৎকার মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নটবর বলেন, ‘বয়োজ্যেষ্ঠকে বয়োকনিষ্ঠের সম্মান করার যে রীতি আমরা মেনে চলি সেটা ভারতে জন্মগ্রহণ করেনি তারা উপলব্ধি করবে না।’
প্রকৃত সত্য প্রকাশ করে দেব ॥ সোনিয়া
নটবরের বই-বোমা নিষ্ক্রিয় করতে পাল্টা বই লেখার হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া বলেন, এবার আমিও বই লিখব। তখনই সবাই আসল সত্যিটা জানতে পারবেন। বুধবার এক সাক্ষাতকারে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিংহ বলেছিলেন, অন্তরাত্মার ডাকে সোনিয়া প্রধানমন্ত্রী পদের দাবি ছেড়েছিলেন, তা একেবারেই ঠিক নয়। রাহুলই চাননি মা প্রধানমন্ত্রী হোন। তার পর ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এই প্রতিক্রিয়া সোনিয়ার।
নেত্রীর সমর্থনে মুখ খোলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও। তাঁর কথায়, ‘ঘরোয়া আলোচনায় এমন অনেক কথা হয়, যেগুলো বেচে মুনাফা করা ঠিক নয়।’ বৃহস্পতিবার সংসদের সেন্ট্রাল হল থেকে বেরোচ্ছিলেন সোনিয়া।
তখনই নটবরের আত্মজীবনী ও সাক্ষাতকার নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে দৃশ্যত রুষ্ট সোনিয়া বলেন, ‘সত্যিটা একমাত্র তখনই প্রকাশ পাবে যদি আমি বই লিখি। এ ব্যাপারে আমি সিরিয়াস।’ কংগ্রেস সভানেত্রী স্বীকার করেন, প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে তিনি নটবরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি বলেন, এর পরেও যদি উনি কিছু লেখেন, তো লিখুন!
No comments:
Post a Comment