৪৪তম স্বাধীনতা দিবসের ডাক
মার্ক্সবাদীদের বিশ্বাস, সমাজতস্ত্র উত্তম রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজতন্ত্রে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি হয়, গণতন্ত্র মানে ধনতন্ত্র। দাসতন্ত্র, ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র হলো অসাম্যমূলক, বৈষম্যমূলক ও শোষণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা। তাই বিশ্বে গণদ্রোহে দাসতন্ত্র, ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র রাষ্ট্রব্যবস্থার পতন হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ব্যক্তির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমাধিকার, স্বাধীনতা ও সম্মৃদ্ধি ক্রমশঃ বাড়তে থাকে। এজন্যে গণতন্ত্র হলো প্রগতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্রব্যবস্থা যত সুষম-গণতান্ত্রিক হবে, রাষ্ট্র তত প্রগতিশীল হবে।
বৃহত্তর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তিমূলক তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো, পারিবারিক প্রতিষ্ঠান, সরকারব্যবস্থা ও রাষ্ট্র-অবকাঠামো। এ তিনটি প্রতিষ্ঠান যত গণতন্ত্রমুখী হবে, রাষ্ট্রব্যবস্থা তত গণতান্ত্রিক হবে। পলিমাটির কৃষি ও পরিবেশে লালিত এবং সুষম-গণতান্ত্রিক মুসলিম পারিবারিক বিধানে হাজার বছর গড়ে উঠায় বাংলাদেশে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সেরা সুষম-গণতান্ত্রিক। কেবল রাষ্ট্র-অবকাঠামো ও সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রমুখী হলে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিনত হবে।
১৯৪৭ উত্তর ৪টি বিভাগ, ১৮টি জেলা ও গড়ে ৬৮টি মহকুমা ক্রমবিভক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র-অবকাঠামো স্বৈরমুখী ছিল।এতে পাইকারী বাজার প্রতিষ্ঠান কম-প্রতিযোগী হওয়ায় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.০%-এ আবদ্ধ হয়। ১৯৮২ থেকে উপজেলা-জেলা-ইউনিয়ন-বিভাগ গণতন্ত্রমুখী পুনর্গঠনের জন্যে রাষ্ট্র-অবকাঠামো আধা-গণতন্ত্রমুখী হয়ে উঠে। পাইকারী বাজারকাঠামো মধ্যমমাত্রায় প্রতিযোগী হওয়ায় প্রবৃদ্ধির গড় হার ক্রমশঃ ৬.৭%-এ উন্নীত হয়েছে। ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগ গঠিত বাজারকাঠামো উচ্চমাত্রায় প্রতিযোগী হবে। বিদ্যমান নীতিমালা-সম্পদেই প্রবৃদ্ধির গড় হার ৯%-এর ঊর্দ্ধে উন্নীত হবে। অন্যান্য পূনর্গঠন/সংস্কারের মাধ্যমে তা ১২%-এর উর্ধে তোলা অসম্ভব নয়।
দলীয় নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে এককক্ষ সংসদব্যবস্থায় সংসদীয় সরকারব্যবস্থা সর্বদাই স্বেচ্ছামুখী, দলমুখী ও স্বৈরমুখী। সংসদে সরকারী দলের আসন বৃদ্ধির সাথে সাথে তা আরও বৃদ্ধি পায়। এ থেকে মুক্তির জন্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রাষ্ট্রপতিকেন্দ্রিক সংসদীয় সরকারব্যবস্থা চালু করেন। তাতে স্বৈরমুখী সরকারব্যবস্থা থেকে জাতির মুক্তি হয়নি। রাজনীতি কোন আমি-তুমি বা দয়া-দাক্ষিণ্যের বিষয় নয়।এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা।
গণতন্ত্রমুখী সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার সমন্বয়ে আমার এ উন্নয়ণ মডেলটির হলো সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগ গঠন এবং দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা চালু হলে তা শেষ হবে। গ্রেটবৃটেন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জার্মানীর মতো বাংলাদেশও উচ্চমাত্রায় সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিনত হবে।
আসুন স্বৈরবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মোল্লাবাদ ও হরতালবাদ রাজনীতির অভিশাপ থেকে মুক্ত উদার, নৈতিক ও সৃজনশীল তথা “সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ” গড়ে তুলি। তাই ১৯৮২ থেকে গণতন্ত্রমুখী উপজেলা-জেলা-বিভাগ গঠনের ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগ গঠনসহ দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা ও দ্বিতীয়কক্ষ ভিত্তিক অন্তর্বর্তীকালীণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার জন্যে ১৬শ সংশেধনী এবং স্বল্পসময়ে প্রথমে দ্বিতীয়কক্ষের নির্বাচনের জন্যে সোচ্চার হন।
মার্ক্সবাদীদের বিশ্বাস, সমাজতস্ত্র উত্তম রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজতন্ত্রে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি হয়, গণতন্ত্র মানে ধনতন্ত্র। দাসতন্ত্র, ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র হলো অসাম্যমূলক, বৈষম্যমূলক ও শোষণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা। তাই বিশ্বে গণদ্রোহে দাসতন্ত্র, ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র রাষ্ট্রব্যবস্থার পতন হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ব্যক্তির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমাধিকার, স্বাধীনতা ও সম্মৃদ্ধি ক্রমশঃ বাড়তে থাকে। এজন্যে গণতন্ত্র হলো প্রগতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্রব্যবস্থা যত সুষম-গণতান্ত্রিক হবে, রাষ্ট্র তত প্রগতিশীল হবে।
বৃহত্তর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তিমূলক তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো, পারিবারিক প্রতিষ্ঠান, সরকারব্যবস্থা ও রাষ্ট্র-অবকাঠামো। এ তিনটি প্রতিষ্ঠান যত গণতন্ত্রমুখী হবে, রাষ্ট্রব্যবস্থা তত গণতান্ত্রিক হবে। পলিমাটির কৃষি ও পরিবেশে লালিত এবং সুষম-গণতান্ত্রিক মুসলিম পারিবারিক বিধানে হাজার বছর গড়ে উঠায় বাংলাদেশে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সেরা সুষম-গণতান্ত্রিক। কেবল রাষ্ট্র-অবকাঠামো ও সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রমুখী হলে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিনত হবে।
১৯৪৭ উত্তর ৪টি বিভাগ, ১৮টি জেলা ও গড়ে ৬৮টি মহকুমা ক্রমবিভক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র-অবকাঠামো স্বৈরমুখী ছিল।এতে পাইকারী বাজার প্রতিষ্ঠান কম-প্রতিযোগী হওয়ায় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.০%-এ আবদ্ধ হয়। ১৯৮২ থেকে উপজেলা-জেলা-ইউনিয়ন-বিভাগ গণতন্ত্রমুখী পুনর্গঠনের জন্যে রাষ্ট্র-অবকাঠামো আধা-গণতন্ত্রমুখী হয়ে উঠে। পাইকারী বাজারকাঠামো মধ্যমমাত্রায় প্রতিযোগী হওয়ায় প্রবৃদ্ধির গড় হার ক্রমশঃ ৬.৭%-এ উন্নীত হয়েছে। ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগ গঠিত বাজারকাঠামো উচ্চমাত্রায় প্রতিযোগী হবে। বিদ্যমান নীতিমালা-সম্পদেই প্রবৃদ্ধির গড় হার ৯%-এর ঊর্দ্ধে উন্নীত হবে। অন্যান্য পূনর্গঠন/সংস্কারের মাধ্যমে তা ১২%-এর উর্ধে তোলা অসম্ভব নয়।
দলীয় নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে এককক্ষ সংসদব্যবস্থায় সংসদীয় সরকারব্যবস্থা সর্বদাই স্বেচ্ছামুখী, দলমুখী ও স্বৈরমুখী। সংসদে সরকারী দলের আসন বৃদ্ধির সাথে সাথে তা আরও বৃদ্ধি পায়। এ থেকে মুক্তির জন্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রাষ্ট্রপতিকেন্দ্রিক সংসদীয় সরকারব্যবস্থা চালু করেন। তাতে স্বৈরমুখী সরকারব্যবস্থা থেকে জাতির মুক্তি হয়নি। রাজনীতি কোন আমি-তুমি বা দয়া-দাক্ষিণ্যের বিষয় নয়।এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা।
গণতন্ত্রমুখী সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার সমন্বয়ে আমার এ উন্নয়ণ মডেলটির হলো সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগ গঠন এবং দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা চালু হলে তা শেষ হবে। গ্রেটবৃটেন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জার্মানীর মতো বাংলাদেশও উচ্চমাত্রায় সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিনত হবে।
আসুন স্বৈরবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মোল্লাবাদ ও হরতালবাদ রাজনীতির অভিশাপ থেকে মুক্ত উদার, নৈতিক ও সৃজনশীল তথা “সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ” গড়ে তুলি। তাই ১৯৮২ থেকে গণতন্ত্রমুখী উপজেলা-জেলা-বিভাগ গঠনের ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগ গঠনসহ দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা ও দ্বিতীয়কক্ষ ভিত্তিক অন্তর্বর্তীকালীণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার জন্যে ১৬শ সংশেধনী এবং স্বল্পসময়ে প্রথমে দ্বিতীয়কক্ষের নির্বাচনের জন্যে সোচ্চার হন।
No comments:
Post a Comment