উপযুক্ত প্রার্থী নেই, খুনের আসামিই ভরসা সিপিএমের
সূর্যকান্ত কুমার
কালনা: এক কংগ্রেস নেতাকে গুলি খুনের অভিযোগ ঝুলছে তাঁর মাথার উপর৷ তিনি ঈশ্বরচন্দ্র দাস৷ বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী৷ সম্প্রতি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা পড়েছে ৷ তবু তাঁকে প্রার্থী করেছে দল৷ কেন এমন সিদ্ধান্ত? সিপিএম জেলা নেতৃত্বের অকপট স্বীকারোক্তি, আর কাউকে খুঁজেই পাওয়া গেল না যে৷ সবার বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলছে৷ কেউ জেল খাটছেন৷ উপযুক্ত আর কাউকে না পেয়ে তাই ঈশ্বরবাবুর কাঁধে ভর করে জয়ের স্বপ্নও দেখছে সিপিএম৷
দলের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদারের সদম্ভ ঘোষণা, 'প্রার্থীর আসামি হওয়াটা আমাদের কাছে লজ্জার নয়, গর্বের৷' অঙ্ক কষে সিপিএম দাবি করছে, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে তাদের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল৷ এই লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় সাতটি বিধানসভার মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের তুমুল হাওয়ার মধ্যেও রায়না দখলে রেখেছিল সিপিএম৷ কাটোয়ায় জেতে কংগ্রেস৷ জামালপুর, মেমারি, পূর্বস্থলি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জেতার খুব ব্যবধান ছিল সামান্যই৷ পাঁচ অঙ্কের ব্যবধানে তৃণমূলের জয় এসেছিল শুধু কালনা আর দক্ষিণ পূর্বস্থলিতে৷ সে দিক থেকে এই লোকসভা আসনকে সম্ভাবনাময় মনে করছে বামফ্রন্ট৷
সেই 'নিশ্চিত' আসনেই কিনা খুনের মামলার আসামিকে প্রার্থী করল সিপিএম৷ এত প্রথমেই বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া৷ দলের জেলা সম্পাদক অমল হালদার বলেন, 'কি করব বলুন, যাঁকেই খুঁজছি, তাঁর বিরুদ্ধেই দেখছি মিথ্যে মামলা ঝুলছে৷ আমাদের জেলার ৭৪৬২ জন নেতা-কর্মীকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ৭৬৯ জন জেল খাটছেন৷ মামলায় অভিযুক্ত নন, এমন কাউকে পেতে হলে তো মহাকাল থেকে প্রার্থী ধরে আনতে হত৷ আর ঈশ্বরবাবু তো নির্দোষ৷ সবাই জানেন, কংগ্রেস নেতা খুনে আসল অভিযুক্ত একজন পুলিশ অফিসার৷ তার ছবিও আছে৷ কিন্ত্ত ফাঁসানো হয়েছে ঈশ্বরবাবুকে৷ তৃণমূল যত ইচ্ছে অপপ্রচার করুক৷ জিতব আমরাই৷'
২০০৭-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়ার একটি স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তুহিন সামন্তের৷ অভিযোগ, কাটোয়ার তত্কালীন ওসি দেবজ্যোতি সাহা তাঁকে গুলি করেন৷ কিন্ত্ত মামলা শুরু হলে দেখা যায়, মূল অভিযুক্তের নাম কাটোয়া রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের ইতিহাসের শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র দাস৷ তিনি প্রার্থী হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুনের মামলার কথা তুলে ধরে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসকদল৷
তৃণমূল কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খুনের মামলার কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে৷ তৃণমূলের বর্ধমান জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, 'সিপিএমের প্রার্থী তো একজন চার্জশিটেড আসামি৷ প্রচারে এটাকেই বেশি করে তুলে ধরছি৷' সিপিএমেরর জেলা সম্পাদক পাল্টা বলছেন, 'তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল কে? তিনি তো বিশ্বাসঘাতক, বেইমান৷ ফরোয়ার্ড ব্লকে ছিলেন৷ রং বদলে তৃণমূলে গিয়েছেন৷ তাঁকে তৃণমূলের অন্দরেই অধিকাংশ লোক সহ্য করতে পারছেন না৷'
ঈশ্বরবাবু নিজে বলেন, 'আমি নির্দোষ৷ খুনের সময় বেশ কিছুটা দূরে সাংগঠনিক কাজে ছিলাম৷ আসলে তৃণমূলের কাছে কোনও ইস্যু নেই৷ তাই এ সব বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে৷' কিন্ত্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলছে, দোষী সাব্যস্ত হলে খারিজ হয়ে যাবে সাংসদ পদ৷ ফলে ঈশ্বরবাবু গেলেও পরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কী হবে? প্রার্থীর জবাব, 'দল আমাকে দাঁড় করিয়েছে৷ দলই বুঝবে৷'
কালনা: এক কংগ্রেস নেতাকে গুলি খুনের অভিযোগ ঝুলছে তাঁর মাথার উপর৷ তিনি ঈশ্বরচন্দ্র দাস৷ বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী৷ সম্প্রতি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা পড়েছে ৷ তবু তাঁকে প্রার্থী করেছে দল৷ কেন এমন সিদ্ধান্ত? সিপিএম জেলা নেতৃত্বের অকপট স্বীকারোক্তি, আর কাউকে খুঁজেই পাওয়া গেল না যে৷ সবার বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলছে৷ কেউ জেল খাটছেন৷ উপযুক্ত আর কাউকে না পেয়ে তাই ঈশ্বরবাবুর কাঁধে ভর করে জয়ের স্বপ্নও দেখছে সিপিএম৷
দলের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদারের সদম্ভ ঘোষণা, 'প্রার্থীর আসামি হওয়াটা আমাদের কাছে লজ্জার নয়, গর্বের৷' অঙ্ক কষে সিপিএম দাবি করছে, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে তাদের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল৷ এই লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় সাতটি বিধানসভার মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের তুমুল হাওয়ার মধ্যেও রায়না দখলে রেখেছিল সিপিএম৷ কাটোয়ায় জেতে কংগ্রেস৷ জামালপুর, মেমারি, পূর্বস্থলি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জেতার খুব ব্যবধান ছিল সামান্যই৷ পাঁচ অঙ্কের ব্যবধানে তৃণমূলের জয় এসেছিল শুধু কালনা আর দক্ষিণ পূর্বস্থলিতে৷ সে দিক থেকে এই লোকসভা আসনকে সম্ভাবনাময় মনে করছে বামফ্রন্ট৷
সেই 'নিশ্চিত' আসনেই কিনা খুনের মামলার আসামিকে প্রার্থী করল সিপিএম৷ এত প্রথমেই বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া৷ দলের জেলা সম্পাদক অমল হালদার বলেন, 'কি করব বলুন, যাঁকেই খুঁজছি, তাঁর বিরুদ্ধেই দেখছি মিথ্যে মামলা ঝুলছে৷ আমাদের জেলার ৭৪৬২ জন নেতা-কর্মীকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ৭৬৯ জন জেল খাটছেন৷ মামলায় অভিযুক্ত নন, এমন কাউকে পেতে হলে তো মহাকাল থেকে প্রার্থী ধরে আনতে হত৷ আর ঈশ্বরবাবু তো নির্দোষ৷ সবাই জানেন, কংগ্রেস নেতা খুনে আসল অভিযুক্ত একজন পুলিশ অফিসার৷ তার ছবিও আছে৷ কিন্ত্ত ফাঁসানো হয়েছে ঈশ্বরবাবুকে৷ তৃণমূল যত ইচ্ছে অপপ্রচার করুক৷ জিতব আমরাই৷'
২০০৭-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়ার একটি স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তুহিন সামন্তের৷ অভিযোগ, কাটোয়ার তত্কালীন ওসি দেবজ্যোতি সাহা তাঁকে গুলি করেন৷ কিন্ত্ত মামলা শুরু হলে দেখা যায়, মূল অভিযুক্তের নাম কাটোয়া রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের ইতিহাসের শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র দাস৷ তিনি প্রার্থী হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুনের মামলার কথা তুলে ধরে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসকদল৷
তৃণমূল কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খুনের মামলার কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে৷ তৃণমূলের বর্ধমান জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, 'সিপিএমের প্রার্থী তো একজন চার্জশিটেড আসামি৷ প্রচারে এটাকেই বেশি করে তুলে ধরছি৷' সিপিএমেরর জেলা সম্পাদক পাল্টা বলছেন, 'তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল কে? তিনি তো বিশ্বাসঘাতক, বেইমান৷ ফরোয়ার্ড ব্লকে ছিলেন৷ রং বদলে তৃণমূলে গিয়েছেন৷ তাঁকে তৃণমূলের অন্দরেই অধিকাংশ লোক সহ্য করতে পারছেন না৷'
ঈশ্বরবাবু নিজে বলেন, 'আমি নির্দোষ৷ খুনের সময় বেশ কিছুটা দূরে সাংগঠনিক কাজে ছিলাম৷ আসলে তৃণমূলের কাছে কোনও ইস্যু নেই৷ তাই এ সব বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে৷' কিন্ত্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলছে, দোষী সাব্যস্ত হলে খারিজ হয়ে যাবে সাংসদ পদ৷ ফলে ঈশ্বরবাবু গেলেও পরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কী হবে? প্রার্থীর জবাব, 'দল আমাকে দাঁড় করিয়েছে৷ দলই বুঝবে৷'
http://eisamay.indiatimes.com/state/a-murderer-is-cpm-candidate/articleshow/32977829.cms
No comments:
Post a Comment