Sunday, March 30, 2014

By Maskwaith Ahsan বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বার্তা সংস্থা

By Maskwaith Ahsan

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বার্তা সংস্থা

সাংবাদিকতা জীবনে আমার চোখে সেরা বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ। এর প্রধান মার্ক ট্যালির চেয়েও ড্যাশিং ইনফরমেশন হিট্ম্যান। অত্যন্ত শিক্ষিত রুচিশীল মানুষ। আমি বলবো বাংলাদেশের সাংবাদিকতা শিল্পে এই প্রধান তাঁর অমরতার আয়োজন করেছেন তার জীবদ্দশায়। উনার বার্তা সংস্থায় বেবী মওদুদ ও আমানুল্লাহ কবিরের মত নির্দলীয় নৈতিকতার মিশেলে তৈরী হয়েছে এক আস্থা ও টেকসই নৈতিকতার প্রতিমূর্তি।
মুসা ইব্রাহিম বলে এক ছেলে সহ আমার প্রয়াত অনুজ সজল, ইনাম আল হক নামের এক বাতিঘরের শিষ্য হয়। মি ইনাম বোধহয় এয়ারফোর্সে ছিলেন; ওটাই তাঁর একমাত্র আসক্তি। উনি সম্পন্ন চিরকুমার, ধ্রুপদী সংগীত শোনেন, পেইন্টিং পছন্দ করেন। গোটা পৃথিবী সম্পর্কে সব জানেন।
ডয়চেভেলেতে কাজ করার সময় আমি প্রয়াত সজলের অনুরোধে উনার বেশ কিছু আড্ডা প্রচার করেছিলাম সেই জার্মান রেডিও থেকে। আমি যদিও মনে করি, যে দেশের মানুষের শীতে গরম কাপড় থাকে না ; সেইখানে এই হাজার হাজার ডলার নষ্ট করার মানে হয়না এভারেস্টে উঠে। কিন্তু সজল তরুণ তার উতসাহকে মেনে নিতে হয়। মি ইনাম রেডিওতে এক মিষ্টি পেলব কন্ঠ। উনি তার শিষ্য -শিষ্যাদের পরিচয় করিয়ে দেবার সময় নারীর ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে খুব মিষ্টি তোপধনি করলেন একটি কিশোরী অভিযাত্রীর নাম বলতে। যেভাবে গলায় সাদা পাওডর লেগে থাকা গানের মাস্টর গানের ছাত্রীকে র-উ-ম-পা বলে ডাকে। রোমান পোলানস্কির মত কন্ঠ এই পাহাড়ের সন্ন্যাসী ইনাম। অথচ ছেলেগুলোর নাম বলার সময় মডুলেশন ফ্লাট ছিল। সজলকে সোনালাম তিনবার বাজিয়ে; ও মুচকি হাসলো।

তো প্রথম আলোর স্পনসরশীপে মুসা এভারেস্টে গেল। তার বিজয়ের সংবাদ আমি প্রথম আলোতে পড়িনি; বিডিনিউজেই পড়লাম। কিন্তু একটি ব্লগে বলা হলো, মুসা এভারেস্টে যায়নি। এমনি বলেছে।

আমি বেশ কিছু বিদেশী বার্তা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। সবাই বলছে মুসা এভারেস্ট জিতেছে, এটা তারা কনফার্ম করেছে।

আমি ভাবলাম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বার্তা সংস্থা বিডিনিউজের এক অনুজ প্রতিমকে ফোন করি; যে জীবনে কোনদিন কনফার্ম না হয়ে স্টোরি রিলিজ করে না। আমি আবার সংশয় প্রকাশ করলে সে জানালো, এটা কনফার্ম।

আমরা কোন সাংবাদিকই তো আর মুসার সঙ্গে এভারেস্টে যেতে পারিনা। সুতরাং বার্তা সংস্থা ছাড়া কার ওপরে আস্থা রাখবো? ঐ ব্লগটিতেও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এক্সপার্ট আছেন, তারা প্রথম দিকে যা কিছু কালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো প্রমাণিত পূর্ব-সংস্কার থেকে এটাকে ভাঁওতা মনে করলেও; যেহেতু তারা প্রফেশনাল; হিসাব করে দেখালেন মুসার ছবিটি অথেন্টিক। প্রশ্ন উঠতেই পারে; কিন্তু কেউ অংক কষে দেখিয়ে দিলে আর তো কথা থাকে না। ব্লগাররা তাদের অন্য লেখায় ফিরে গেলেন।

শুধু যুদ্ধ থেকে ফেরেনি সজল ও তার পর্বত গুরু ইনাম। মুহিত-ওয়াশফিয়া মুসার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে সচেতন হয়ে ছবি টবি তুলে আনলেন। উনারা প্রথম বিজয়ী নারী-পুরুষ হতে চান; ঐ যে ফার্স্ট হতে হবে। সুতরাং মুসাকে ইতিহাস থেকে সরানোর খন্দকের যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। এদেশে সেটাই হয়ে আসছে।

ইনামের বয়স মুসার ডবল। কিন্তু ঐ যে এক ঘারমে দো পির যাও বাছা শো রাহো।
অডিপাল কনফ্লিক্ট। গোষ্ঠীপিতা একাই যেখানে সমস্ত যশ ও পাখি উপভোগ করতে চান। সজল খুব ভালো ফিলম মেকার হতে পারতো। খ্যাতিমান মিডিয়া পারসোনালিটি চলচ্চিত্রকার কাওসার (একুশে টিভির প্রথম নিউজ হোস্ট) আর আমি একাত্তরের শব্দসেনা ছবিটি তৈরীতে অনেক উদ্দীপনা দিয়েছি ওকে। কাজলের দিনরাত্রি ফিল্ম বানানোর সময় বিরাট ইনাম মহাশয়ের মত থলথলে, অভিজ্ঞতার মেছেতায় পোড়া গম্ভীর মুখে ওহি নাজেল করতে না পারলেও; বারবার বলেছি ফিল্মে থিতু হও। দুটো প্রামাণ্য চিত্র তৈরীতে সজল আমার সহযোগী হিসেবেও দক্ষতা দেখিয়েছে। এক তারেক মাসুদকে হত্যা করলেন গরুছাগলের লাইসেন্স বিশারদ ও বিতরক সাজাহান আরেক চলচ্চিত্রকার সজলকে মেরে দিলেন এই নিঃসঙ্গ পর্যটক, কিশোরদের মাথায় নিজের একাকী জীবন থেকে উদগারিত ট্র্যাশ দর্শনে রেসের ঘোড়া বানিয়ে জিদ জেতা বাজিকর। কিছু ঘোড়া জিতলো, একটি ঘোড়া বেঘোরে প্রাণ দিল।

সেখানেও থামেনি চিনিকন্ঠী ইনাম। সে আদালতে কেস করে মুসার মুকুট কেড়ে নিতে চেষ্টা করে। পারে না। শুরু করে এখানে ওখানে ইমেইল লেখা। মুহিতদের বলছেন আমি অকৃতদার বাজিকর; সজল মরেছে তো কী হয়েছে! শো মাস্ট গো অন। তো এই ইনামের চেহারাটি একটি মূর্তিমান ঘিড়িঙ্গি। সে জীবনের আসল যুদ্ধে হেরে গিয়ে শিশুদের সঙ্গে চানমারী করে।

এখানে উল্লেখ্য অধ্যাপক ইউনুসের বিরুদ্ধে অসংখ্য ইমেইল নোবেল কমিটির কাছে গিয়েছিল বলে আমাকে জানিয়েছিলেন নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। বিটিভির জন্য একটি সাক্ষাতকার নেবার পরে। আমাদের দোজখের কড়াই-এ পাহারাদার লাগবে না এটা নিশ্চিত।
অবশেষে এনামও সফল হয়। মুসা ঢাকার এপার্ট্মেন্টে আটকে থাকা বাচ্চাদের জীবন বৈচিত্র দিতে একটি একাডেমী খুলেছেন। বৃক্ষ রোপণ করছেন। আর ইনামের কাজ একটাই মুসাকে হত্যা করা। সুতরাং সে প্রমাণ করে দিল দশচক্রে ভগবান ভূত।

বিডিনিউজ সেটি লুফে নিলো; মুসা মানেই প্রথম আলো, আওয়ামী লীগের শত্রু, কাজেই প্রথম আলোর ক্রেডিবিলিটি ভেঙ্গে বিডিনিউজকেই বাংলাদেশ মিডিয়ার আইভরী টাওয়ার হতে হবে।
আমিই সেরা। অথচ এই সংবাদ সংস্থার প্রধানের এমন কোন রিপোর্ট দেখিনি যেটি মার্ক ট্যালির কাছাকাছি। গ্রামের এই ট্যালি ইনফরমেশন হিটম্যানের মতো বলে দিল; মুসা এভারেস্টে যায়নি। (ভেতরের বার্তা প্রথম আলো বোগাস, বিডিনিউজ-ই গর্জিয়াস।

যেমন ইউনুসকে নিয়ে করা নরওয়ের একটি ডকুমেন্টারীর সংবাদ ভেঙ্গে দিয়েছিল আওয়ামী লীগের ছায়াতলে সংবাদ তালুকদার প্রতিষ্ঠান্টি। ঐ যে ইউনুস বধ করলেই দরবেশের আশীর্বাদ, বেবী আপার ম্লান হাসি, বুবুর প্রশান্তি।

আজ যদি বিডিনিউজকে লিখতেই হয় মুসা এভারেস্টে যায়নি; তাহলে সে গিয়েছে এটি তিনদিন সময় নিয়ে কনফার্ম হয়ে কেন প্রকাশ করেছিল বিডিনিউজ? এটা তো বার্তা সংস্থারই অপেশাদারী অনৈতিক আচরণ। পাঠক নিয়ে লীলা খেলা করেতো হলুদ পত্রিকারা।

ইনাম- বার্তা সংস্থার প্রধান; এরা আসলে জীবনে কিছুই করতে পারেনি অনেক কিছু করে। তাই কাক স্যুটকোটের ময়ূরপুচ্ছ পরে পাঁচতারা হোটেলে ঘুরে দুটো ইংরেজী বাক্য দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়ে কয়েকদিন অনন্তজলিল হওয়া যায়। কিন্তু ইনামের একাকী জীবনের মনো বৈকল্য বা বিডিনিউজ প্রধানের ম্যাগালোম্যানিয়া ও প্রথম আলোকে টপকে যাওয়া টাঙ্গাইল বাজারে গামছা বিক্রির রেসে মারা মুসা ও আগামীর সাহসী তারুণ্য।

বিডিনুজের এই প্রধান ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আমার সিনিয়র ছিলেন; একটি পিকনিকের বাসে উনি অজানা আক্রোশে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের দিকে কমলার ছিলকা ছূঁড়ে মেরেছিল। আমি সেদিন থেকেই এই লোকটিকে প্রতিবেদক হিসেবে অনুসরণ করছি। কোন ধরণের ছাত্র শিক্ষকের দিকে ইউনিভার্সিটিতে কমলার ছিলকা ছুঁড়ে। ইংলিশ ডিপার্ট মেন্টের আর একজনো ছিলনা। ছিলেন একমাত্র তিনি। উনি সাধারণ নন অসাধারণ।

No comments:

Post a Comment