বাঙলাদেশ কি মুসলিম রাষ্ট্র?
লিখেছেনঃ অরিজিত (তারিখঃ বৃহঃ, ১৪/১০/২০১০ - ০৭:৩২)
সম্প্রতি (actually চিরকাল ই) কিছুলোক দাবি করেছেন: যদি ৯৫% লোকের ভাষা বাঙলা হলে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করা হয়, তবে ৯০% লোকের ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করা হবে না কেন?
প্রথমত, ধর্ম আর ভাষা দুটো এক জিনিস নয়। ভাষার প্রয়োজন যোগাযোগ রক্ষার সার্থে, যেটা অপরিহার্য। সেটা জীবন-যাপন এর রাস্তা নয়। কাজ চালাবার মত ভাষা শিক্ষাও কোনো শক্ত কাজ নয়। আমরা প্রত্যেকেই কমবেশী ২-৪ টে ভাষা জানি, কাজ চালাবার মত। রাষ্ট্রভাষা বাঙলা করা সেজন্যই দরকার, যাতে সেটা বেশীরভাগ লোকের বোধগম্য হয়। এর সাথে cultural একটা কারন ও আছে, সেটা পরে বলছি। অপরপক্ষে, ধর্ম অনেক ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা কদ্দূর প্রয়োজন, তাও তর্কের ব্যাপার। এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে "translation" ও হয় না আর ধর্মান্তকরন কোনো রাস্তা নয় কারন, সামহাও, কোনো ধর্মই অপর ধর্ম কে মানতে সেখায় না। তাহলে, রাষ্ট্র কি করবে ধর্ম নিয়ে (মধ্যযুগীয় উদাহরন টানবেন না।)?
দ্বিতীয়ত, অনেকে বলতে পারেন, ধর্ম একটা cultural বয়ে নিয়ে চলে। কিন্তু, এখন আর সেটা খুব সত্যি কথা না। মধ্যযুগে, সেটাই ছিলো 'truly' part of the culture. আধুনিক মানসিকতার সাথে সাথে ভাষা হয়ে উঠেছে সংস্কৃতির আসল ধারক। আসলে, freedom of speech এর মত openness of culture বলেও একটা নিঃশব্দ আন্দোলন বয়ে চলেছে, যার মূল কথা: সমাজের কোনো একটা শ্রেনীর সংস্কৃতি, উৎসব কে সবার মধ্যে ছরিয়ে দেওয়া। আর এ সবের মধ্যদিয়েই আসে আসল ধর্ম-নিরপেক্ষতা।
সবথেকে বড় কথা, ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থা একটা হাস্যকর কথা, কারন যে কোনো ধর্মেই সমাজের একটা আংশকে suppressed করা হয়। মুসলিম ছাড়া অন্যকোনো ধর্মে এরকম শাসন ব্যবস্থা আছে বলেও জানা নেই আমার। সেটা সবার শাসন ব্যবস্থা হতে পারে না। একান্ত ভাবেই যুক্তি-তর্কহীন একটা মধ্যযুগীও racist শাসন ব্যবস্থা নিশ্চয়ই শিক্ষিত লোকেরা মেনে নেবে না।
শেষঃত, ধর্ম-নিরপেক্ষতা মানেই কিন্তু কমুনিসম্ না। এ নিয়ে পরে কথা হবে।
কাজেই, ৭০% হিন্দুর দেশ ভারত হিন্দু দেশ নয়, ৯০% মুসলিম দেশ বাঙলাদেশ ও মুসলিম দেশ নয়, united states ও একটা খ্রীষ্টান দেশ নয়।
প্রথমত, ধর্ম আর ভাষা দুটো এক জিনিস নয়। ভাষার প্রয়োজন যোগাযোগ রক্ষার সার্থে, যেটা অপরিহার্য। সেটা জীবন-যাপন এর রাস্তা নয়। কাজ চালাবার মত ভাষা শিক্ষাও কোনো শক্ত কাজ নয়। আমরা প্রত্যেকেই কমবেশী ২-৪ টে ভাষা জানি, কাজ চালাবার মত। রাষ্ট্রভাষা বাঙলা করা সেজন্যই দরকার, যাতে সেটা বেশীরভাগ লোকের বোধগম্য হয়। এর সাথে cultural একটা কারন ও আছে, সেটা পরে বলছি। অপরপক্ষে, ধর্ম অনেক ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা কদ্দূর প্রয়োজন, তাও তর্কের ব্যাপার। এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে "translation" ও হয় না আর ধর্মান্তকরন কোনো রাস্তা নয় কারন, সামহাও, কোনো ধর্মই অপর ধর্ম কে মানতে সেখায় না। তাহলে, রাষ্ট্র কি করবে ধর্ম নিয়ে (মধ্যযুগীয় উদাহরন টানবেন না।)?
দ্বিতীয়ত, অনেকে বলতে পারেন, ধর্ম একটা cultural বয়ে নিয়ে চলে। কিন্তু, এখন আর সেটা খুব সত্যি কথা না। মধ্যযুগে, সেটাই ছিলো 'truly' part of the culture. আধুনিক মানসিকতার সাথে সাথে ভাষা হয়ে উঠেছে সংস্কৃতির আসল ধারক। আসলে, freedom of speech এর মত openness of culture বলেও একটা নিঃশব্দ আন্দোলন বয়ে চলেছে, যার মূল কথা: সমাজের কোনো একটা শ্রেনীর সংস্কৃতি, উৎসব কে সবার মধ্যে ছরিয়ে দেওয়া। আর এ সবের মধ্যদিয়েই আসে আসল ধর্ম-নিরপেক্ষতা।
সবথেকে বড় কথা, ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থা একটা হাস্যকর কথা, কারন যে কোনো ধর্মেই সমাজের একটা আংশকে suppressed করা হয়। মুসলিম ছাড়া অন্যকোনো ধর্মে এরকম শাসন ব্যবস্থা আছে বলেও জানা নেই আমার। সেটা সবার শাসন ব্যবস্থা হতে পারে না। একান্ত ভাবেই যুক্তি-তর্কহীন একটা মধ্যযুগীও racist শাসন ব্যবস্থা নিশ্চয়ই শিক্ষিত লোকেরা মেনে নেবে না।
শেষঃত, ধর্ম-নিরপেক্ষতা মানেই কিন্তু কমুনিসম্ না। এ নিয়ে পরে কথা হবে।
কাজেই, ৭০% হিন্দুর দেশ ভারত হিন্দু দেশ নয়, ৯০% মুসলিম দেশ বাঙলাদেশ ও মুসলিম দেশ নয়, united states ও একটা খ্রীষ্টান দেশ নয়।
- অরিজিত-এর ব্লগ
- মন্তব্য প্রদানের জন্য লগইন অথবা রেজিস্টার করুন
- ২৩৯৯ বার পঠিত
- Twitter-এ প্রকাশ করুন
মন্তব্য
শনিবার, ১৬/১০/২০১০ - ২২:৫৩ তারিখে মুসাফির বলেছেন
আল্লা মানুষ সৃষ্টি করে যেমন আহার, থাকার ব্যবস্থা করে পাঠিয়েছেন, তেমনি মানুষের জীবন ধারনের স্টাইল শেখাতে ধর্ম নামের মাপকাঠিও ঠিক করে দিয়েছেন।
এবার কেউ যদি মনে করে ধর্মগ্রন্থগুলো অসম্পূর্ন তবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার এটা নিয়ে ধর্মকে দোষারোপ করার কিছু নেই। সোজা কথায় আমি ঐ ব্যক্তির উদহারনই দিবো যে অন্ধত্বের কারনে পৃথীবি দেখতে না পেয়ে তার সুজলা-সুফলা সৌন্দর্য নিয়ে অহেতুক মন্তব্য করে।
আজকে পাশবিকতা, অন্যায় আর পংঙ্কিলতায় ডুবে গেছে পৃথীবি, কি পশ্চিম আর পূব সব দেশেই মানুষ বঞ্ছিত। বস্তুগত উৎকষর্তার পরেও পশ্চিমের যেমন শান্তি নেই তেমনি অনুন্নত দেশগুলো মনে করে বস্তগত উন্নতিতেই শান্তি। মরিচীকা মাত্রা।
জোর জুলুম সবই চলছে সব জায়গায়। বুকে হাত দিয়ে কেউই আমরা বলতে পারে না যে আমার এখানেই শান্তি আছে। মানুষ নিজেই যদি সবকিছুর ফায়সালা করতে পারতো তবে অশান্তি মানুষের থাকতো না। প্রত্যেকেই নিজের মতো চলতে পারতো, কিন্তু চরম প্রাকৃতিক বাস্তবতা ভিন্ন।
সুতারং স্রষ্টাকে দায়ী করা না করে তার দেখানো পথ মেনে নিলেই শান্তি পাওয়া সম্ভব। প্রত্যেক ধর্মেই এই শান্তি কথাই আছে, কিন্তু অশান্তি করি আমরা মানুষেরা এসবকে অগ্রাহ্য ও অপব্যাখা ও বিকৃতির পথে গিয়ে। তাই এত অশান্তি।
এবার কেউ যদি মনে করে ধর্মগ্রন্থগুলো অসম্পূর্ন তবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার এটা নিয়ে ধর্মকে দোষারোপ করার কিছু নেই। সোজা কথায় আমি ঐ ব্যক্তির উদহারনই দিবো যে অন্ধত্বের কারনে পৃথীবি দেখতে না পেয়ে তার সুজলা-সুফলা সৌন্দর্য নিয়ে অহেতুক মন্তব্য করে।
আজকে পাশবিকতা, অন্যায় আর পংঙ্কিলতায় ডুবে গেছে পৃথীবি, কি পশ্চিম আর পূব সব দেশেই মানুষ বঞ্ছিত। বস্তুগত উৎকষর্তার পরেও পশ্চিমের যেমন শান্তি নেই তেমনি অনুন্নত দেশগুলো মনে করে বস্তগত উন্নতিতেই শান্তি। মরিচীকা মাত্রা।
জোর জুলুম সবই চলছে সব জায়গায়। বুকে হাত দিয়ে কেউই আমরা বলতে পারে না যে আমার এখানেই শান্তি আছে। মানুষ নিজেই যদি সবকিছুর ফায়সালা করতে পারতো তবে অশান্তি মানুষের থাকতো না। প্রত্যেকেই নিজের মতো চলতে পারতো, কিন্তু চরম প্রাকৃতিক বাস্তবতা ভিন্ন।
সুতারং স্রষ্টাকে দায়ী করা না করে তার দেখানো পথ মেনে নিলেই শান্তি পাওয়া সম্ভব। প্রত্যেক ধর্মেই এই শান্তি কথাই আছে, কিন্তু অশান্তি করি আমরা মানুষেরা এসবকে অগ্রাহ্য ও অপব্যাখা ও বিকৃতির পথে গিয়ে। তাই এত অশান্তি।
রবিবার, ১৭/১০/২০১০ - ০৭:০৮ তারিখে অরিজিত বলেছেন
@মুসাফির, আমার বাবা-মা বলেছেন ঈশ্বর পৃথিবী তৈরি করেছেন, আল্লা-ফাল্লা কেই ছিল না। আমার কলিগ বলেন, যীশুই সব, আল্লা মিথ্যা। আপনি বল্লেন আল্লাই কর্মকর্তা। সাইন্স বলে সব ধর্মই bullshit। কার কথা শুনব?
বৃহঃ, ১৪/১০/২০১০ - ০৯:১৯ তারিখে রণতূর্য বলেছেন
উমম...দেখেন ইসলাম হচ্ছে একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামে বলা আছে একজন ব্যাক্তির জীবন ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত, একিভাবে ইসলামে বলা আছে একটা রাষ্ট্র কিভাবে চলবে। আপনি যেমনটা বললেন অন্য কোনো ধর্মে এটা নেই। এখানেই ইসলামের সাথে অন্য ধর্মগুলোর সবচেয়ে বড় তফাৎ।
এখন কেউ কেউ বলতে পারে বেশীরভাগ মানুষ মুসলিম অতএব দেশ ইসলামিক আইন অনুযায়ী চালাতে হবে অথবা উচিত। উচিত আসলেই কিন্তু কথা হচ্ছে মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বাংলাদেশের মানুষ আসলে কতটা পারফেক্ট মুসলিম?
আমার ব্যাক্তিগত ধারনা বা বিশ্বাস হচ্ছে আমরা বাংলাদেশী মুসলিমরা পারফেক্ট প্রাকটিসিং মুসলমান না। আমরা আল্লাহ তে বিশ্বাস করি, কোরানে বিশ্বাস করি, কেউ পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, সব রোজা রাখি, যাকাত আদায় করি, কেউ করিনা। আমার কথা বলতে পারি আমি নিয়মিত নামাজ পড়িনা। যতক্ষন না মা, বাবা বকা না দেয় নামাজ না পড়ার জন্য। অথচ আমার বাবা, মা, চাচা,চাচি, ফুপা,ফুপি, খালা, খালু অর্থাৎ ১৪ গোষ্ঠী নামাজি এবং ইসলামের মূল ভিত্তিগুলো মেনে চলেন।
এখন আমার পরিবারের সবাই মোটামুটি ইসলাম মেনে চলেন কিন্তু তাদেরকে যদি বলা হয় দেশ এখন থেকে ইসলামের শরিয়াহ অনুযায়ী চলবে তাহলে ৮০% ই মেনে নিবেনা। এটা হচ্ছে পুরো বাংলাদেশের চিত্র।
অর্থ্যাৎ আমরা মুসলমানরা কেউ ইসলামের সব বিধান মেনে চলি কেউ চলিনা, আমরা কেউই রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলামিক শরিয়াহ মেনে চলার জন্য প্রস্তুত না। এটাকে যদি সেল্ফ কন্ট্রাডিকশন বলেন তো বলতে পারেন।
বাংলাদেশের মুসলমানরা মধ্যপন্থি, উদার। এটা ভৌগলিক, প্রাকৃতিক ইত্যাদি কারনেই হয়ে থাকবে।
এখন কেউ কেউ বলতে পারে বেশীরভাগ মানুষ মুসলিম অতএব দেশ ইসলামিক আইন অনুযায়ী চালাতে হবে অথবা উচিত। উচিত আসলেই কিন্তু কথা হচ্ছে মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বাংলাদেশের মানুষ আসলে কতটা পারফেক্ট মুসলিম?
আমার ব্যাক্তিগত ধারনা বা বিশ্বাস হচ্ছে আমরা বাংলাদেশী মুসলিমরা পারফেক্ট প্রাকটিসিং মুসলমান না। আমরা আল্লাহ তে বিশ্বাস করি, কোরানে বিশ্বাস করি, কেউ পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, সব রোজা রাখি, যাকাত আদায় করি, কেউ করিনা। আমার কথা বলতে পারি আমি নিয়মিত নামাজ পড়িনা। যতক্ষন না মা, বাবা বকা না দেয় নামাজ না পড়ার জন্য। অথচ আমার বাবা, মা, চাচা,চাচি, ফুপা,ফুপি, খালা, খালু অর্থাৎ ১৪ গোষ্ঠী নামাজি এবং ইসলামের মূল ভিত্তিগুলো মেনে চলেন।
এখন আমার পরিবারের সবাই মোটামুটি ইসলাম মেনে চলেন কিন্তু তাদেরকে যদি বলা হয় দেশ এখন থেকে ইসলামের শরিয়াহ অনুযায়ী চলবে তাহলে ৮০% ই মেনে নিবেনা। এটা হচ্ছে পুরো বাংলাদেশের চিত্র।
অর্থ্যাৎ আমরা মুসলমানরা কেউ ইসলামের সব বিধান মেনে চলি কেউ চলিনা, আমরা কেউই রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলামিক শরিয়াহ মেনে চলার জন্য প্রস্তুত না। এটাকে যদি সেল্ফ কন্ট্রাডিকশন বলেন তো বলতে পারেন।
বাংলাদেশের মুসলমানরা মধ্যপন্থি, উদার। এটা ভৌগলিক, প্রাকৃতিক ইত্যাদি কারনেই হয়ে থাকবে।
https://www.amarblog.com/index.php?q=arijitku/posts/118205
No comments:
Post a Comment