পিসি-র সাফাই, মানুষের মনের কথাই বলেছি
এই সময়: নির্বাচন কমিশনের শো কজের জবাব দিলেন বিজেপি প্রার্থী পিসি সরকার। কিন্তু দুঃখপ্রকাশ করেননি তিনি। সোমবার নির্বাচন কমিশনকে তিনি জানিয়েছেন, 'জনগণের মনের কথা বলেছি।'
এদিন পিসি সরকারকে আক্রমণ করেছেন কাকলি ঘোষদস্তিদারও। প্রতিক্রিয়ায় মুকুল রায় বলেছেন, 'জনগণ এর জবাব দেবে।'
রাশ পড়েনি মুখের ভাষায়! ২০০৯ থেকে ২০১৪৷ গত পাঁচ বছরে ভোটের প্রচার আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে অনেকটা এগিয়ে গেলেও ভোটপ্রার্থীদের মুখে লাগাম টানা যাচ্ছে না৷ নির্বাচনের প্রচার জোরকদমে শুরু হতেই মাত্রাছাড়া কুত্সিত মন্তব্যে জড়িয়ে পড়ছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ এ বারের ভোটে বিতর্কিত মন্তব্যের তালিকায় অনুব্রত মণ্ডল, আনিসুর রহমান, দেব, সৌগত রায়ের পর নতুন সংযোজন বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী, জাদুকর পি সি সরকার৷ পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ নিয়ে নিজের মতামত জানিয়ে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার৷ এ বার সেই ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের শো-কজের মুখে পড়েন প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নামা পিসি সরকার৷ উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা নির্বাচনী অফিসার তাঁকে তিন দিনের মধ্যে শো-কজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ যদিও পরে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে পিসি সরকার বলেন, 'কেউ অন্যায় করলে দোষ নেই, অথচ সেটা বললেই দোষ?'
শনিবার ঠিক কী বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন বারাসতে বিজেপির ভোট-প্রার্থী? প্রচারে বেরিয়ে পিসি সরকার মন্তব্য করেন, 'উনি গাইনকোলজিস্ট, তাই পুরুষদের কথা বুঝবেন না৷ আমি মনোবিজ্ঞানী, তাই পাগলের চিকিত্সা করি৷ উনি যদি পাগল হন, তা হলে আমার কাছে নিয়ে এলে আমি চিকিত্সা করতে পারি৷' ধর্ষণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য, 'উনি বলেছেন, দুষ্টু ছেলেরা রেপ করেছে৷ কিন্তু ওঁকে রেপ করলে উনি কী বলবেন?' শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এই কথা বললেও রবিবার পিসি সরকার জানিয়ে দেন, 'আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি৷ ভোটে দাঁড়িয়ে আমাদের দু'জনেরই উদ্দেশ্য এক৷ আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ আমি শুধু সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছি৷ কাউকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়৷'
তাতে অবশ্য রাগ পড়েনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কাকলি ঘোষদস্তিদারের৷ তিনি এদিন জানান, 'প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এ রকম মন্তব্য কাম্য নয়৷ আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি৷' শনিবারই এই বিতর্কিক মন্তব্যের অভিযোগপত্র এবং সিডি জমা পড়ার পর জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বিজেপি প্রার্থীকে শো-কজ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর জবাব চেয়েছেন৷
অন্য দিকে, বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের শো-কজের মুখে পড়া দমদম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় কমিশনকে তাঁর লিখিত ব্যাখ্যায় জানিয়েছিলেন, 'আমি রিগিংয়ের কথা কিছু বলিনি৷ কিন্তু তাতেও যদি কমিশনের মনে হয় আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে, তা হলে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি৷' বেফাঁস মন্তব্য করে কমিশনের রোষে পড়া অন্য দুই নেতা, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং মুর্শিদাবাদের সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের অবশ্য আজ, সোমবারের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা ৷
এদিন পিসি সরকারকে আক্রমণ করেছেন কাকলি ঘোষদস্তিদারও। প্রতিক্রিয়ায় মুকুল রায় বলেছেন, 'জনগণ এর জবাব দেবে।'
রাশ পড়েনি মুখের ভাষায়! ২০০৯ থেকে ২০১৪৷ গত পাঁচ বছরে ভোটের প্রচার আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে অনেকটা এগিয়ে গেলেও ভোটপ্রার্থীদের মুখে লাগাম টানা যাচ্ছে না৷ নির্বাচনের প্রচার জোরকদমে শুরু হতেই মাত্রাছাড়া কুত্সিত মন্তব্যে জড়িয়ে পড়ছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ এ বারের ভোটে বিতর্কিত মন্তব্যের তালিকায় অনুব্রত মণ্ডল, আনিসুর রহমান, দেব, সৌগত রায়ের পর নতুন সংযোজন বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী, জাদুকর পি সি সরকার৷ পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ নিয়ে নিজের মতামত জানিয়ে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার৷ এ বার সেই ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের শো-কজের মুখে পড়েন প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নামা পিসি সরকার৷ উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা নির্বাচনী অফিসার তাঁকে তিন দিনের মধ্যে শো-কজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ যদিও পরে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে পিসি সরকার বলেন, 'কেউ অন্যায় করলে দোষ নেই, অথচ সেটা বললেই দোষ?'
শনিবার ঠিক কী বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন বারাসতে বিজেপির ভোট-প্রার্থী? প্রচারে বেরিয়ে পিসি সরকার মন্তব্য করেন, 'উনি গাইনকোলজিস্ট, তাই পুরুষদের কথা বুঝবেন না৷ আমি মনোবিজ্ঞানী, তাই পাগলের চিকিত্সা করি৷ উনি যদি পাগল হন, তা হলে আমার কাছে নিয়ে এলে আমি চিকিত্সা করতে পারি৷' ধর্ষণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য, 'উনি বলেছেন, দুষ্টু ছেলেরা রেপ করেছে৷ কিন্তু ওঁকে রেপ করলে উনি কী বলবেন?' শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এই কথা বললেও রবিবার পিসি সরকার জানিয়ে দেন, 'আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি৷ ভোটে দাঁড়িয়ে আমাদের দু'জনেরই উদ্দেশ্য এক৷ আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ আমি শুধু সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছি৷ কাউকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়৷'
তাতে অবশ্য রাগ পড়েনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কাকলি ঘোষদস্তিদারের৷ তিনি এদিন জানান, 'প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এ রকম মন্তব্য কাম্য নয়৷ আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি৷' শনিবারই এই বিতর্কিক মন্তব্যের অভিযোগপত্র এবং সিডি জমা পড়ার পর জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বিজেপি প্রার্থীকে শো-কজ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর জবাব চেয়েছেন৷
অন্য দিকে, বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের শো-কজের মুখে পড়া দমদম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় কমিশনকে তাঁর লিখিত ব্যাখ্যায় জানিয়েছিলেন, 'আমি রিগিংয়ের কথা কিছু বলিনি৷ কিন্তু তাতেও যদি কমিশনের মনে হয় আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে, তা হলে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি৷' বেফাঁস মন্তব্য করে কমিশনের রোষে পড়া অন্য দুই নেতা, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং মুর্শিদাবাদের সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের অবশ্য আজ, সোমবারের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা ৷
No comments:
Post a Comment