বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এখনও ঝুলছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি
তাপস প্রামাণিক
নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সরকারি দপ্তরে আগের মতোই বহাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি৷ নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর সরকারি অফিসে কোনও দলের জীবিত নেতা ও মন্ত্রীদের ছবি রাখা নিষিদ্ধ৷ সেইমতো প্রতিটি দপ্তরকে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করেছে কমিশন৷ তার পরও টনক নড়েনি সরকারি কর্তাদের৷ ভোটের প্রচার পুরোদমে শুরু হলেও, মন্ত্রীদের ঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানোর কোনও তাগিদ চোখে পড়ছে না৷ কলকাতা পুরভবনে মেয়র এবং মেয়র পারিষদদের ঘরেও জ্বলজ্বল করছে ফ্রেমে বাঁধানো মুখ্যমন্ত্রীর ছবি৷ শহরের বিভিন্ন রাস্তা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের ছবি সম্বলিত সরকারি হোর্ডিং নজরে পড়ছে৷ যা আদতে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের সামিল৷
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য প্রশাসন কি তা হলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে?
মাত্র একদিন আগেই কলকাতায় কেন্দ্রীয় উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুত্সি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে গিয়েছিলেন, নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ কিন্ত্ত তাতে যে খুব একটা কাজ হয়নি, বুধবার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তার হাতেগরম প্রমাণ মিলেছে৷ নবান্ন থেকে সল্টলেক কিংবা কলকাতা পুরভবন, সব জায়গাতেই সরকারি দপ্তরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে৷ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, যুবকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ সব মন্ত্রীর ঘরেই টাঙানো রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি৷ মন্ত্রীদের মতো কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অফিসের দেওয়ালেও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো রয়েছে৷ ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলম, উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, স্বাস্থ্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ এবং নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ রাজীব দেবের অফিসেও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানো রয়েছে বহাল তবিয়তে৷ পার্ক সার্কাস সাতমাথার মোড়ে ঝুলছে সরকারি হোর্ডিং৷ তার মধ্যে বসানো রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ৷
নির্বাচন বিধি চালু হওয়ার পরও কেন পুরভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানো হচ্ছে না? পুর কমিশনার খলিল আহমেদ বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কোনও নির্দেশ দিয়েছে বলে আমি জানি না৷ খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব৷' সরকারি অফিসের দেখভাল করেন যাঁরা, সেই পূর্ত দপ্তরের কর্তারা অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ পূর্ত দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা নিজেদের অক্ষমতা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, 'মন্ত্রীরা না-বললে তাঁদের ঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানো সম্ভব নয়৷'
মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খোলার প্রশ্নে প্রশাসনের এই গাছাড়া মনোভাবকে অবশ্য খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না কমিশনের কর্তারা৷ কমিশনের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী অফিসার শৈবাল বর্মন বলেন, 'কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ আছে, ভোট ঘোষণা হওয়ার পরই সরকারি দপ্তর থেকে মন্ত্রীদের ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে৷ এই মর্মে প্রতিটি দপ্তরকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷ যদি কোথাও এই নির্দেশ মানা না হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন৷'
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/cms-picture-still-in-government-offices/articleshow/32977699.cms?
তাপস প্রামাণিক
নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সরকারি দপ্তরে আগের মতোই বহাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি৷ নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর সরকারি অফিসে কোনও দলের জীবিত নেতা ও মন্ত্রীদের ছবি রাখা নিষিদ্ধ৷ সেইমতো প্রতিটি দপ্তরকে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করেছে কমিশন৷ তার পরও টনক নড়েনি সরকারি কর্তাদের৷ ভোটের প্রচার পুরোদমে শুরু হলেও, মন্ত্রীদের ঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানোর কোনও তাগিদ চোখে পড়ছে না৷ কলকাতা পুরভবনে মেয়র এবং মেয়র পারিষদদের ঘরেও জ্বলজ্বল করছে ফ্রেমে বাঁধানো মুখ্যমন্ত্রীর ছবি৷ শহরের বিভিন্ন রাস্তা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের ছবি সম্বলিত সরকারি হোর্ডিং নজরে পড়ছে৷ যা আদতে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের সামিল৷
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য প্রশাসন কি তা হলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে?
মাত্র একদিন আগেই কলকাতায় কেন্দ্রীয় উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুত্সি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে গিয়েছিলেন, নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ কিন্ত্ত তাতে যে খুব একটা কাজ হয়নি, বুধবার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তার হাতেগরম প্রমাণ মিলেছে৷ নবান্ন থেকে সল্টলেক কিংবা কলকাতা পুরভবন, সব জায়গাতেই সরকারি দপ্তরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে৷ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, যুবকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ সব মন্ত্রীর ঘরেই টাঙানো রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি৷ মন্ত্রীদের মতো কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অফিসের দেওয়ালেও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো রয়েছে৷ ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলম, উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, স্বাস্থ্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ এবং নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ রাজীব দেবের অফিসেও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানো রয়েছে বহাল তবিয়তে৷ পার্ক সার্কাস সাতমাথার মোড়ে ঝুলছে সরকারি হোর্ডিং৷ তার মধ্যে বসানো রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ৷
নির্বাচন বিধি চালু হওয়ার পরও কেন পুরভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানো হচ্ছে না? পুর কমিশনার খলিল আহমেদ বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কোনও নির্দেশ দিয়েছে বলে আমি জানি না৷ খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব৷' সরকারি অফিসের দেখভাল করেন যাঁরা, সেই পূর্ত দপ্তরের কর্তারা অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ পূর্ত দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা নিজেদের অক্ষমতা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, 'মন্ত্রীরা না-বললে তাঁদের ঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানো সম্ভব নয়৷'
মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খোলার প্রশ্নে প্রশাসনের এই গাছাড়া মনোভাবকে অবশ্য খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না কমিশনের কর্তারা৷ কমিশনের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী অফিসার শৈবাল বর্মন বলেন, 'কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ আছে, ভোট ঘোষণা হওয়ার পরই সরকারি দপ্তর থেকে মন্ত্রীদের ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে৷ এই মর্মে প্রতিটি দপ্তরকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷ যদি কোথাও এই নির্দেশ মানা না হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন৷'
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/cms-picture-still-in-government-offices/articleshow/32977699.cms?
No comments:
Post a Comment