জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নয় মুজিবনগর সরকারের শুধুমাত্র একজন বেতনভুক কর্মচারী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন। একইসাথে জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলায় খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার বীর উত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত আলোচনা সভায় হাসান মাহমুদ এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের শুধুমাত্র একজন বেতনভুক কর্মচারী ছিলেন। এ সংক্রান্ত নথিপত্র আমাদের কাছে আছে। প্রয়োজনে সেটা প্রকাশ করব। জিয়াউর রহমান প্রকৃতপক্ষে স্বইচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধে যাননি। তিনি বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। সুতরাং তাদের এ বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী, সংবিধান পরিপন্থী ও ষড়যন্ত্রমূলক। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে যুদ্ধ করেননি। পাকিস্তানিদের গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিগেডিয়ার বেগ জিয়াউর রহমানকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে লেখেন, তোমার কাজে আমরা খুশি। তোমার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চিন্তা করো না। এই চিঠি প্রমাণ করে জিয়া ছদ্মাবরণে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত সেই চিঠি তিনি সাংবাদিকদের দেখান।
জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক কিংবা প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করেননি বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
সংগঠনের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এইচআর/মুফা
No comments:
Post a Comment