Sunday, March 30, 2014

পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে বিয়ে করে ফিরল যুবতী

পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে বিয়ে করে ফিরল যুবতী

girl-eloped
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের পোশাক পড়ে, মা-বাবার আশীর্বাদ নিয়ে সকাল সকাল দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে ছিল মেয়েটি। মা-বাবাও নিশ্চিন্তে ছিলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরবে মেয়ে। কিন্তু তা আর হল কই। মেয়ের খোঁজে প্রতিবেশীর বাড়ি গিয়ে চোখ কপালে উঠল মা-বাবার। সেখানে বসে তাঁদেরই মেয়ে। তবে পরনে স্কুল ইউনিফর্ম নয়, বরং লাল রঙের শাড়ি। সিঁদুরের ছোঁয়ায় পাল্টে গিয়েছে মুখও। কোনও চিত্রনাট্য নয়। বাস্তব। ঘটনাটি ঘটেছে দেহরাদুনের কোতওয়ালি এলাকার বিকাশ নগরে।

শুক্রবার পরীক্ষার নাম করে স্কুলের পোশাকেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর ১৯-এর মেয়েটি। কিন্তু অনেক দেরি হওয়া সত্ত্বেও, তাকে বাড়ি আসতে না-দেখে বিকাশ নগর থানায় যান তার অভিভাবকরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন যে প্রতিবেশীর বাড়িতেই রয়েছে তাঁদের মেয়ে। এর পরই সেখানে যান তাঁরা। ভিতরে ঢুকেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। দেখেন, মেয়ের পরনে লাল শাড়ি। সিঁদুর, লাল টিপ, মঙ্গলসূত্র-- সবই জানান দিচ্ছিল, মেয়ে আর অবিবাহিত নেই। বরং সাত পাকে বাঁধা পড়েছে সে।

এর পরই মেয়েটি তাঁর মা-বাবাকে জানায় যে, সে দেবাশিসকে বিয়ে করেছে এবং তার সঙ্গেই থাকবে। তিনি জানান, হিন্দু নিয়মানুসারে মন্দিরে গিয়ে দেবাশিসকে বিয়ে করেছে সে। শুধু তাই নয়, আদালতে গিয়ে রেজিস্ট্রিও করিয়েছে।

এর পরই ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা নববিবাহিত দম্পতির সঙ্গে মারধর শুরু করে। পাশাপাশি পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে বলেন, যাতে তাদের মধ্যস্ততায় তাঁরা মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।

পুলিশ আধিকারিক রাজীব ধানড্রিয়াল জানান যে, 'বিয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মেয়েটি নিজের বয়স এবং বিবাহের সার্টিফিকেট পেশ করে এবং জানায় যে তিনি মা-বাবার সঙ্গে যাবেন না।'

এর পরে মেয়েটিকে বিকাশ নগর এসডিএমের কাছে পেশ করা হয়। সেখানে সে বলে যে, তাঁর বয়স ১৯ বছর। হিন্দু রীতিনীতি অনুসারেই মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছে। রাজীব ধান্ড্রিয়াল জানান, 'সব শোনার পর এসডিএম তাঁদের সুখি দাম্পত্য জীবনের জন্য অভিনন্দন জানান এবং ছেড়ে দেন।'

No comments:

Post a Comment