আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য বাড়তি ভাতার প্রস্তাব
এই সময়: আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য আগামী ১ এপ্রিল থেকে মাসে অতিরিক্ত চার হাজার টাকা ভাতা চালু করতে চায় রাজ্য সরকার৷ কিন্তু ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ফলে এই চিন্তাভাবনা এখনই বাস্তবায়িত করা যাবে কি না, তা জানতে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার৷ এক পক্ষকাল কেটে যাওয়ার পরেও কমিশনের অনুমতি আসেনি৷ ফলে, কিছুটা সমস্যায় পড়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর৷
কিষেণজির মৃত্যুর পর জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরলেও, ভোটের মুখে মাওবাদীরা ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে গোয়েন্দারা প্রশাসনকে জানিয়েছেন৷ সংগঠন চাঙ্গা করতে মাওবাদীরা প্রচার করছে, আত্মসমর্পণ করেও অনেকে সুখে নেই৷ যে সামান্য টাকা সরকারি ভাতা দেওয়া হয়, তাতে চিকিত্সা ও খাওয়াখরচ উঠছে না৷ চাকরি বলতে হোমগার্ডের চাকরি৷ যার বেতনও সামান্য৷ এ ছাড়া হাতে আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও, তা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করা রয়েছে৷ নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে তা ভাঙানো যাবে না৷ মাওবাদীরা বলছে, সরকারের হাতে অস্ত্র তুলে দিলে যে টাকা পাওয়া যায়, তা-ও একই ভাবে রাখা থাকে৷ এই গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র দপ্তর আত্মসমর্পণকারীদের আর্থিক হাল ফেরাতে সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ তড়িঘড়ি তাঁদের জন্য বিশেষ মাসিক ভাতা চালু করার সিদ্ধান্ত হয়৷
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের হিসেবে রাজ্যে এখন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীর সংখ্যা ৪৩৷ এর মধ্যে ৩২ জনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে৷ এঁদের বেতন বলতে দৈনিক মজুরি, টাকার অঙ্কে যা খুব বেশি নয়৷ শর্ত অনুযায়ী সরকারের থেকে এঁরা কোনও মাসিক ভাতা পান না৷ বাকি ১১ জন ভাতা পেয়ে থাকেন৷
গত বছরের এপ্রিল থেকে চার হাজার টাকা করে ভাতা চালু হয়েছে৷ এই ভাতাপ্রাপক আত্মসমর্পণকারীদের তালিকায় সুচিত্রা মাহাতোর মতো মাও স্কোয়াডের প্রাক্তন নেত্রীও রয়েছেন৷ অভিযোগ, এই টাকায় তাঁদের সংসার চলছে না৷ স্বরাষ্ট্র দপ্তর তাই ৪৩ জন আত্মসমর্পণকারীকে তিনটি খাতে অতিরিক্ত চার হাজার টাকা ভাতা হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর মধ্যে বাড়ি ভাড়া বাবদ আড়াই হাজার টাকা, চিকিত্সার জন্য এককালীন এক হাজার টাকা ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য মাসে পাঁচশো টাকা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে৷
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্তাদের কথায়, এই আত্মসমর্পণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ব্যারাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্ত্ত স্থানাভাবের জন্য অনেককে থানা বা পুলিশ ব্যারাকের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ বাজারদর যে হারে বেড়েছে, তাতে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য কম টাকায় বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না৷ এ ছাড়া সুচিত্রার মতো মাওবাদীরা অসুস্থ৷ সরকারি হাসপাতালে সব সময়ে তাঁদের ভালো চিকিত্সা হচ্ছে না৷ নিরাপত্তার স্বার্থে বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হয়৷ যা তাঁদের আর্থিক ক্ষমতার বাইরে৷ পুলিশ অফিসাররা ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করেন৷
এই সময়: আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য আগামী ১ এপ্রিল থেকে মাসে অতিরিক্ত চার হাজার টাকা ভাতা চালু করতে চায় রাজ্য সরকার৷ কিন্তু ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ফলে এই চিন্তাভাবনা এখনই বাস্তবায়িত করা যাবে কি না, তা জানতে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার৷ এক পক্ষকাল কেটে যাওয়ার পরেও কমিশনের অনুমতি আসেনি৷ ফলে, কিছুটা সমস্যায় পড়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর৷
কিষেণজির মৃত্যুর পর জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরলেও, ভোটের মুখে মাওবাদীরা ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে গোয়েন্দারা প্রশাসনকে জানিয়েছেন৷ সংগঠন চাঙ্গা করতে মাওবাদীরা প্রচার করছে, আত্মসমর্পণ করেও অনেকে সুখে নেই৷ যে সামান্য টাকা সরকারি ভাতা দেওয়া হয়, তাতে চিকিত্সা ও খাওয়াখরচ উঠছে না৷ চাকরি বলতে হোমগার্ডের চাকরি৷ যার বেতনও সামান্য৷ এ ছাড়া হাতে আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও, তা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করা রয়েছে৷ নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে তা ভাঙানো যাবে না৷ মাওবাদীরা বলছে, সরকারের হাতে অস্ত্র তুলে দিলে যে টাকা পাওয়া যায়, তা-ও একই ভাবে রাখা থাকে৷ এই গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র দপ্তর আত্মসমর্পণকারীদের আর্থিক হাল ফেরাতে সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ তড়িঘড়ি তাঁদের জন্য বিশেষ মাসিক ভাতা চালু করার সিদ্ধান্ত হয়৷
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের হিসেবে রাজ্যে এখন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীর সংখ্যা ৪৩৷ এর মধ্যে ৩২ জনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে৷ এঁদের বেতন বলতে দৈনিক মজুরি, টাকার অঙ্কে যা খুব বেশি নয়৷ শর্ত অনুযায়ী সরকারের থেকে এঁরা কোনও মাসিক ভাতা পান না৷ বাকি ১১ জন ভাতা পেয়ে থাকেন৷
গত বছরের এপ্রিল থেকে চার হাজার টাকা করে ভাতা চালু হয়েছে৷ এই ভাতাপ্রাপক আত্মসমর্পণকারীদের তালিকায় সুচিত্রা মাহাতোর মতো মাও স্কোয়াডের প্রাক্তন নেত্রীও রয়েছেন৷ অভিযোগ, এই টাকায় তাঁদের সংসার চলছে না৷ স্বরাষ্ট্র দপ্তর তাই ৪৩ জন আত্মসমর্পণকারীকে তিনটি খাতে অতিরিক্ত চার হাজার টাকা ভাতা হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর মধ্যে বাড়ি ভাড়া বাবদ আড়াই হাজার টাকা, চিকিত্সার জন্য এককালীন এক হাজার টাকা ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য মাসে পাঁচশো টাকা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে৷
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্তাদের কথায়, এই আত্মসমর্পণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ব্যারাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্ত্ত স্থানাভাবের জন্য অনেককে থানা বা পুলিশ ব্যারাকের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ বাজারদর যে হারে বেড়েছে, তাতে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য কম টাকায় বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না৷ এ ছাড়া সুচিত্রার মতো মাওবাদীরা অসুস্থ৷ সরকারি হাসপাতালে সব সময়ে তাঁদের ভালো চিকিত্সা হচ্ছে না৷ নিরাপত্তার স্বার্থে বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হয়৷ যা তাঁদের আর্থিক ক্ষমতার বাইরে৷ পুলিশ অফিসাররা ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করেন৷
No comments:
Post a Comment