মালগাড়ির চাকায় ছিন্নভিন্ন ট্রেনচালক
রাজাভাতখাওয়া: চলন্ত মালগাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গেল অপেক্ষারত যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকের দেহ৷ শনিবার সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে৷ মৃতের নাম নিরঞ্জন কুমার পণ্ডিত (৫৯)৷ বাড়ি আলিপুরদুয়ারের শান্তি রেল কলোনিতে৷ তিনি আলিপুরদুয়ারগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের চালকের দায়িত্বে ছিলেন৷ এ মাসেরই ৩১শে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল৷ ঘটনার জেরে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ওই লাইনে রেল চলাচল ব্যহত হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটিকে স্পষ্ট ভাবে আত্মহত্যা বললেও রেল কর্তৃপক্ষ সে কথা স্বীকার করতে চাননি৷ তাঁরা বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখাচ্ছেন৷ রেলেরই একটি সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন৷ তা সত্ত্বেও কেন তাঁর হাতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল, এ প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেলকর্তারা৷ অভিযোগ, রেলের তরফে এই গাফিলতি ধামাচাপা দিতেই বিষয়টিকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ৷ ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম বীরেন্দ্র কুমার৷ নিরঞ্জনবাবুর এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর বাড়িতেও৷
নিরঞ্জনবাবুর পারিবারিক সূত্রে খবর, অবসরের মুখে চলে আসা নিরঞ্জনবাবু দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন৷ তাঁর স্ত্রী উচ্চরক্তচাপের রোগী৷ ছেলের চাকরি নেই৷ মেয়ে বিবাহযোগ্যা৷ ফলে সাংসারিক কারণেই অশান্তিতে থাকতেন নিরঞ্জনবাবু৷ কিন্ত্ত রেলের নিয়ম অনুসারে, যে কোনও ট্রেন চালনার দায়িত্ব দেওয়ার আগে চালকের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷ প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি নিরঞ্জনবাবুর পরীক্ষা করানো হয়নি? কারণ, রেল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা বললেও রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে উপস্থিত একাধিক যাত্রীর দাবি, তাঁরা নিরঞ্জনবাবুকে মালগাড়ির সামনে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছেন৷ যেমন দলগাঁওয়ের বাসিন্দা, ইন্টারসিটিরই এক যাত্রী ঊষা বর্মণের কথায়, 'ইন্টারসিটি প্রায় মিনিট পনেরো ধরে রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল৷ মালগাড়ি উল্টোদিকের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে আচমকা আমাদের চালক ইঞ্জিন থেকে নেমে লাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েন৷ চোখ বন্ধ করে দু'হাতে কান চেপে দাঁড়িয়েছিলেন৷ রাজাভাতখাওয়ার স্টেশন মাস্টারও দেখেছিলেন৷ আমরাও প্রাণপণ চিত্কার করতে থাকি৷ কিন্ত্ত কারও হাতে কিছু ছিল না৷ মুহূর্তের মধ্যে মালগাড়িটি এসে পড়ে৷ ওঁর দেহটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়৷' আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম বীরেন্দ্র কুমার অবস্য বলছেন, 'আত্মহত্যার কোনও খবর আমাদের জানা নেই৷ প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ, ট্রেনের ইঞ্জিন পরীক্ষার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷ তবে তদন্ত তো হবেই৷'
http://eisamay.indiatimes.com/state/train-driver-suicide/articleshow/32919416.cms?
রাজাভাতখাওয়া: চলন্ত মালগাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গেল অপেক্ষারত যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকের দেহ৷ শনিবার সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে৷ মৃতের নাম নিরঞ্জন কুমার পণ্ডিত (৫৯)৷ বাড়ি আলিপুরদুয়ারের শান্তি রেল কলোনিতে৷ তিনি আলিপুরদুয়ারগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের চালকের দায়িত্বে ছিলেন৷ এ মাসেরই ৩১শে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল৷ ঘটনার জেরে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ওই লাইনে রেল চলাচল ব্যহত হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটিকে স্পষ্ট ভাবে আত্মহত্যা বললেও রেল কর্তৃপক্ষ সে কথা স্বীকার করতে চাননি৷ তাঁরা বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখাচ্ছেন৷ রেলেরই একটি সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন৷ তা সত্ত্বেও কেন তাঁর হাতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল, এ প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেলকর্তারা৷ অভিযোগ, রেলের তরফে এই গাফিলতি ধামাচাপা দিতেই বিষয়টিকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ৷ ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম বীরেন্দ্র কুমার৷ নিরঞ্জনবাবুর এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর বাড়িতেও৷
নিরঞ্জনবাবুর পারিবারিক সূত্রে খবর, অবসরের মুখে চলে আসা নিরঞ্জনবাবু দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন৷ তাঁর স্ত্রী উচ্চরক্তচাপের রোগী৷ ছেলের চাকরি নেই৷ মেয়ে বিবাহযোগ্যা৷ ফলে সাংসারিক কারণেই অশান্তিতে থাকতেন নিরঞ্জনবাবু৷ কিন্ত্ত রেলের নিয়ম অনুসারে, যে কোনও ট্রেন চালনার দায়িত্ব দেওয়ার আগে চালকের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷ প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি নিরঞ্জনবাবুর পরীক্ষা করানো হয়নি? কারণ, রেল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা বললেও রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে উপস্থিত একাধিক যাত্রীর দাবি, তাঁরা নিরঞ্জনবাবুকে মালগাড়ির সামনে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছেন৷ যেমন দলগাঁওয়ের বাসিন্দা, ইন্টারসিটিরই এক যাত্রী ঊষা বর্মণের কথায়, 'ইন্টারসিটি প্রায় মিনিট পনেরো ধরে রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল৷ মালগাড়ি উল্টোদিকের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে আচমকা আমাদের চালক ইঞ্জিন থেকে নেমে লাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েন৷ চোখ বন্ধ করে দু'হাতে কান চেপে দাঁড়িয়েছিলেন৷ রাজাভাতখাওয়ার স্টেশন মাস্টারও দেখেছিলেন৷ আমরাও প্রাণপণ চিত্কার করতে থাকি৷ কিন্ত্ত কারও হাতে কিছু ছিল না৷ মুহূর্তের মধ্যে মালগাড়িটি এসে পড়ে৷ ওঁর দেহটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়৷' আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম বীরেন্দ্র কুমার অবস্য বলছেন, 'আত্মহত্যার কোনও খবর আমাদের জানা নেই৷ প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ, ট্রেনের ইঞ্জিন পরীক্ষার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷ তবে তদন্ত তো হবেই৷'
http://eisamay.indiatimes.com/state/train-driver-suicide/articleshow/32919416.cms?
No comments:
Post a Comment