মতাদর্শের প্রশ্নেই আক্রমণে সনিয়া
বিভাজনের রাজনীতি ও ফাঁপা প্রতিশ্রুতি৷
এই দুই অস্ত্রেই রবিবার দেশের দুই প্রান্তে বিজেপিকে বিঁধলেন কংগ্রেস সভানেত্রী ও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী৷ অসমের লখিমপুরে বিজেপির উন্নয়ন নিয়ে 'বড় বড় বুলি'কে তীব্র কটাক্ষ থাকলে, রাজধানীর জনতার জন্য ছিল তাদের 'ঘৃণার রাজনীতি' নিয়ে চেতাবনি৷ লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ার পর থেকে দু'দল একে অপরের মেয়াদে হওয়া উন্নয়নকে ইস্যু করেছে৷ এ দিন সে পথ নিয়েছেন সনিয়াও৷ তাঁর কথায়, 'বিরোধীরা , বিশেষ করে বিজেপি গোটা দেশে ঘুরে বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে৷
কিন্ত্ত তাদের সরকার যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা কী করেছে মানুষের জন্য? কথা বলা আর কাজ করার মধ্যে তফাত আছে৷' এর পরেই সনিয়া চলে গিয়েছেন ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের 'সুশাসনে 'র উদাহরণে৷ তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না৷ ২০০৯ সালের ইস্তাহারে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা, তার অধিকাংশই পালনও করেছে৷ পাশাপাশি এ দেশে কংগ্রেসের ঐতিহ্যও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সনিয়া৷ তাঁর কথায়, 'অসমে ও দেশের অন্যান্য প্রান্তে সেই স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশের জন্য জীবন উত্সর্গ করে এসেছেন কংগ্রেস কর্মীরা৷ স্বাধীনতা পাওয়ার পরেও বারবার দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে এসেছেন তাঁরাই৷ এই বিরোধীরা তখন কোথায় ছিল?'
রাজনীতি'র প্রসঙ্গ ছুঁয়ে গেলেও তা নিয়ে আক্রমণ তীব্রতর হয়েছে দিল্লির আজমল খান পার্কের সভায়৷ লোকসভা ভোটের ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এটাই ছিল রাজধানীতে কংগ্রেস সভানেত্রীর প্রথম প্রকাশ্য জনসভা৷ সেখানে বিজেপির 'চরমপন্থা'কে ছুড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন সনিয়া৷ ইস্তাহার প্রকাশের দিন রাহুল গান্ধী যে মতাদর্শগত লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন, এ দিন সেই সুরেই সনিয়ার বক্তব্য, 'গঙ্গা-যমুনা' সংস্কৃতি, অর্থাত্ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ধারণাই ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তি৷ 'চরমপন্থী'দের পক্ষে তা বোঝা সম্ভবই নয়৷ তাঁর কথায়, 'কিছু লোক দেশভক্তির ঢাক পেটাচ্ছে৷ আপনারাই বলুন, যারা ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে মানে না তাদের পক্ষে কি দেশের সেবা করা সম্ভব?' সনিয়ার সাবধানবাণী, দেশের এই অনন্য সংস্কৃতিকে ছারখার করে দিতে পারে বিজেপির মতাদর্শ৷
ভোটাররা যেন সেটা ভুলে না যান৷ দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন সনিয়া৷ তাঁর কথায়, 'কেউ কেউ মনে করে সরকার স্বাধীনতার আগে দেশের জন্য জীবন উত্সর্গ করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা৷ দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে এসেছেন তাঁরাই৷ এই বিরোধীরা তখন কোথায় ছিল?
এই দুই অস্ত্রেই রবিবার দেশের দুই প্রান্তে বিজেপিকে বিঁধলেন কংগ্রেস সভানেত্রী ও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী৷ অসমের লখিমপুরে বিজেপির উন্নয়ন নিয়ে 'বড় বড় বুলি'কে তীব্র কটাক্ষ থাকলে, রাজধানীর জনতার জন্য ছিল তাদের 'ঘৃণার রাজনীতি' নিয়ে চেতাবনি৷ লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ার পর থেকে দু'দল একে অপরের মেয়াদে হওয়া উন্নয়নকে ইস্যু করেছে৷ এ দিন সে পথ নিয়েছেন সনিয়াও৷ তাঁর কথায়, 'বিরোধীরা , বিশেষ করে বিজেপি গোটা দেশে ঘুরে বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে৷
কিন্ত্ত তাদের সরকার যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা কী করেছে মানুষের জন্য? কথা বলা আর কাজ করার মধ্যে তফাত আছে৷' এর পরেই সনিয়া চলে গিয়েছেন ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের 'সুশাসনে 'র উদাহরণে৷ তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না৷ ২০০৯ সালের ইস্তাহারে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা, তার অধিকাংশই পালনও করেছে৷ পাশাপাশি এ দেশে কংগ্রেসের ঐতিহ্যও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সনিয়া৷ তাঁর কথায়, 'অসমে ও দেশের অন্যান্য প্রান্তে সেই স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশের জন্য জীবন উত্সর্গ করে এসেছেন কংগ্রেস কর্মীরা৷ স্বাধীনতা পাওয়ার পরেও বারবার দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে এসেছেন তাঁরাই৷ এই বিরোধীরা তখন কোথায় ছিল?'
রাজনীতি'র প্রসঙ্গ ছুঁয়ে গেলেও তা নিয়ে আক্রমণ তীব্রতর হয়েছে দিল্লির আজমল খান পার্কের সভায়৷ লোকসভা ভোটের ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এটাই ছিল রাজধানীতে কংগ্রেস সভানেত্রীর প্রথম প্রকাশ্য জনসভা৷ সেখানে বিজেপির 'চরমপন্থা'কে ছুড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন সনিয়া৷ ইস্তাহার প্রকাশের দিন রাহুল গান্ধী যে মতাদর্শগত লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন, এ দিন সেই সুরেই সনিয়ার বক্তব্য, 'গঙ্গা-যমুনা' সংস্কৃতি, অর্থাত্ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ধারণাই ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তি৷ 'চরমপন্থী'দের পক্ষে তা বোঝা সম্ভবই নয়৷ তাঁর কথায়, 'কিছু লোক দেশভক্তির ঢাক পেটাচ্ছে৷ আপনারাই বলুন, যারা ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে মানে না তাদের পক্ষে কি দেশের সেবা করা সম্ভব?' সনিয়ার সাবধানবাণী, দেশের এই অনন্য সংস্কৃতিকে ছারখার করে দিতে পারে বিজেপির মতাদর্শ৷
ভোটাররা যেন সেটা ভুলে না যান৷ দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন সনিয়া৷ তাঁর কথায়, 'কেউ কেউ মনে করে সরকার স্বাধীনতার আগে দেশের জন্য জীবন উত্সর্গ করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা৷ দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে এসেছেন তাঁরাই৷ এই বিরোধীরা তখন কোথায় ছিল?
http://eisamay.indiatimes.com/nation/sonia-attacked-bjp/articleshow/33007342.cms?
No comments:
Post a Comment