Monday, March 31, 2014

পনজি স্কিম সংস্থা দমনে অতিরিক্ত ক্ষমতা সেবির

পনজি স্কিম সংস্থা দমনে অতিরিক্ত ক্ষমতা সেবির

sebi
নয়াদিল্লি: সারদা বা সাহারার মতো বেআইনি লগ্নি স্কিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে নতুন করে ক্ষমতা দেওয়া হল শেয়ারবাজার নিয়ামক সংস্থা সেবিকে৷ সিকিউরিটি (প্রতিভূতি) সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য এবার চাইতে পারবে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবি৷ নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দেওয়ায়, ২৭ মার্চ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমতি দেওয়ায় ও ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় সম্মতি দেওয়ায় এ ব্যাপারে বিজ্ঞন্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক৷ এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, যদিও পনজি স্কিমের ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সেবির অধিকার রয়েছে, তা সত্ত্বেও এর ফলে আরও বেশি মাত্রায় ক্ষমতা পেল শেয়ারবাজার নিয়ামক সংস্থাটি৷ এর ফলে ১০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ তুলতে হলেই সেবিতে নথিভুক্ত হতে হবে৷ তা ছাড়া তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত, অ্যাটাচ ও রিকভারি করার ক্ষমতা পেল সেবি৷ শুধু তাই নয়, অর্থমন্ত্রক বলেছে, কারও উপরে জরিমানা ধার্য করা হলে তা প্রত্যাহারও করার ক্ষমতা এবং একই সঙ্গে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোর ক্ষমতাও সেবিকে দেওয়া হয়েছে৷ বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রক বলেছে, জটিল বিষয় যেমন বেআইনি লগ্নি ও পনজি স্কিমের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণে সেবির আইনি হাত আরও শক্ত করল সিকিউরিটিজ লজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০১৪৷ তা ছাড়া এর মধ্যে অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সুপারিশ এবং সেবির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করে অতিরিক্ত কয়েকটি পরির্তন করা হয়েছে এই অর্ডিন্যান্সে৷ এর ফলে তল্লাশি ও বাজেয়ান্ত করার প্রয়োজনে কোনও পুলিশ আধিকারিক বা কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের সহায়তা চাওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেবির আধিকারিকদের৷ অ্যামেন্ডমেন্টে বলা হয়েছে, 'তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে, কেন সেই নির্দেশ দেওয়া হল, তার লিখিত রেকর্ড রাখতে হবে সেবি প্রধানকে৷ এ সম্বন্ধে অর্থমন্ত্রক বলেছে, 'সেবি ইতিধ্যেই যে পদক্ষেপ করেছে, অর্ডিন্যান্সের এই বিজ্ঞপ্তি শুধু তাকেই জারি রাখল না, তাদের দুর্নীতিদমনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে৷' সিকিউরিটিজ লজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০১৩ লাগু হয়েছিল ১৮ জুলাই ২০১৩য়৷ ১৮ জুলাই সেবি আইন ১৯৯২-এ পরিবর্তনের ব্যাপারে সায় দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ ১৬ সেপ্টেম্বর নতুন করে সেই অর্ডিন্যান্স লাগু হয়৷ সংসদের বাদল অধিবেশন, শীতকালীন অধিবেশন ও বর্ধিত শীতকালীন অধিবেশনে সিকিউরিটিজ (লজ ) অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাস হয়নি৷ এ ব্যাপারে যে অর্ডিন্যান্স জারি হয়েছিল তার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে ১৭ জানুয়ারি৷

সাম্প্রতিক কালে পনজি স্কিম নিয়ে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে এ রাজ্যেই৷ ২,৫০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির জেরে সারদা রিয়েলটির কর্তা সুদীন্ত সেনের বিচার চলছে, বিচারাধীন রয়েছেন তাঁর সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ৷ এই ঘরনার পরে সেবির নজরে রয়েছে রোজ ভ্যালি, এমপিএস গ্রিনারি, সুমঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজের মতো এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি সংস্থা৷

No comments:

Post a Comment