টিটাগড়ে পুলিশ লক আপে মার যুবককে
ব্যারাকপুর: টিটাগড় থানার লক আপে এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে৷ ১২ মার্চ ব্যাঙ্কে একটি কেপমারির অভিযোগে পুলিশ সৌমেন রায় নামে ওই যুবককে ২৯ মার্চ গ্রেপ্তার করে৷ সৌমেনের বাবা সমরেন্দ্র রায়-ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী৷ সমরেন্দ্রবাবুর অভিযোগ, পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা দোষে তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করে৷ তারপর তাকে এমন মারা হয়েছে যে, সারা গায়ে কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে৷ সমরেন্দ্রবাবু গোটা ঘটনাটি রাজ্য পুলিশের ডিজি, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে জানিয়ে অভিযোগ করেছেন৷
ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ মার্চ৷ ওইদিন মসজিদ মোড়ের কাছে পরিবহণ ব্যবসায়ী সৌমেন নোনা চন্দনপুকুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ১৩০০ টাকা জমা দিতে আসেন৷ সেদিনই ওই ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের ২৫ হাজার টাকা কেপমারি হয়৷ তিনি টিটাগড় থানায় অভিযোগ করেন৷ তদন্তে নেমে পুলিশ ২৯ তারিখ সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে৷ অভিযোগ, তার পরই তাঁকে লক আপের মধ্যে এক সাব ইন্সপেক্টর এবং তাঁর দলবল মারধর করে৷ সমরেন্দ্রবাবু জানান খবর পেয়ে থানায় গেলে তাঁদের পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, ২৫ হাজার টাকা না দিলে ওই ব্যাঙ্কে আগে ঘটে যাওয়া সমস্ত ছিনতাইয়ের অভিযোগ দেওয়া হবে সৌমেনের বিরুদ্ধে৷ এমনকি তাঁদেরও গালিগালাজ করা হয়৷ ওই রাতেই সৌমেনের দিদি-জামাইবাবু ২২ হাজার টাকা নিয়ে থানায় যান৷ তখন তাঁদের থানা থেকে বলা হয়, পুরো ২৫ হাজার টাকা না দিলে সৌমেনকে ছাড়া হবে না৷ পরের দিন তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়৷ সমরেন্দ্রবাবু জানান, তখন ছেলে রীতিমতো অসুস্থ৷ আদালত জামিনে মুক্তি দেওয়ার পর সৌমেনকে বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান সি সুধাকর সোমবার বলেন, 'এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি৷ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে৷' সমরেন্দ্রবাবু জানান, ব্যাঙ্কের সিসি টিভির ফুটেজে কেপমারির ঘটনায় যে ছেলেটিকে দেখা গিয়েছে, তার সঙ্গে তাঁর ছেলের কোনও মিল নেই৷ স্রেফ সন্দেহের বশে সৌমেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/police-beat-youth-in-lock-up/articleshow/33031277.cms
ব্যারাকপুর: টিটাগড় থানার লক আপে এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে৷ ১২ মার্চ ব্যাঙ্কে একটি কেপমারির অভিযোগে পুলিশ সৌমেন রায় নামে ওই যুবককে ২৯ মার্চ গ্রেপ্তার করে৷ সৌমেনের বাবা সমরেন্দ্র রায়-ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী৷ সমরেন্দ্রবাবুর অভিযোগ, পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা দোষে তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করে৷ তারপর তাকে এমন মারা হয়েছে যে, সারা গায়ে কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে৷ সমরেন্দ্রবাবু গোটা ঘটনাটি রাজ্য পুলিশের ডিজি, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে জানিয়ে অভিযোগ করেছেন৷
ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ মার্চ৷ ওইদিন মসজিদ মোড়ের কাছে পরিবহণ ব্যবসায়ী সৌমেন নোনা চন্দনপুকুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ১৩০০ টাকা জমা দিতে আসেন৷ সেদিনই ওই ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের ২৫ হাজার টাকা কেপমারি হয়৷ তিনি টিটাগড় থানায় অভিযোগ করেন৷ তদন্তে নেমে পুলিশ ২৯ তারিখ সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে৷ অভিযোগ, তার পরই তাঁকে লক আপের মধ্যে এক সাব ইন্সপেক্টর এবং তাঁর দলবল মারধর করে৷ সমরেন্দ্রবাবু জানান খবর পেয়ে থানায় গেলে তাঁদের পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, ২৫ হাজার টাকা না দিলে ওই ব্যাঙ্কে আগে ঘটে যাওয়া সমস্ত ছিনতাইয়ের অভিযোগ দেওয়া হবে সৌমেনের বিরুদ্ধে৷ এমনকি তাঁদেরও গালিগালাজ করা হয়৷ ওই রাতেই সৌমেনের দিদি-জামাইবাবু ২২ হাজার টাকা নিয়ে থানায় যান৷ তখন তাঁদের থানা থেকে বলা হয়, পুরো ২৫ হাজার টাকা না দিলে সৌমেনকে ছাড়া হবে না৷ পরের দিন তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়৷ সমরেন্দ্রবাবু জানান, তখন ছেলে রীতিমতো অসুস্থ৷ আদালত জামিনে মুক্তি দেওয়ার পর সৌমেনকে বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান সি সুধাকর সোমবার বলেন, 'এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি৷ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে৷' সমরেন্দ্রবাবু জানান, ব্যাঙ্কের সিসি টিভির ফুটেজে কেপমারির ঘটনায় যে ছেলেটিকে দেখা গিয়েছে, তার সঙ্গে তাঁর ছেলের কোনও মিল নেই৷ স্রেফ সন্দেহের বশে সৌমেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/police-beat-youth-in-lock-up/articleshow/33031277.cms
No comments:
Post a Comment